ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকির মুখে মালদ্বীপ, আইএমএফের সতর্কবার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ০৩

মালদ্বীপ তার নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না আনলে ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকির মুখে আছে দেশটি। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিরোধ এবং চীনের দিকে ঝুঁকে পড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের ব্যাপারে সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক এই ঋণদাতা সংস্থা।

মালদ্বীপের বৈদেশিক ঋণের বিশদ বিবরণ না দিলেও আইএমএফ বলেছে যে, মালদ্বীপের জন্য জরুরি ভিত্তিতে নীতি পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। মালদ্বীপের অর্থনীতির পর্যালোচনার পর সংস্থাটি বলেছে, উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন না আনলে সামগ্রিক রাজস্ব ঘাটতি এবং বিদেশি ঋণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ঋণ পরিশোধ করতে না পারার উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে মালদ্বীপ।

দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু সরকারের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব এবং চীনের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধির মধ্যেই এই সতর্কবার্তা এল আইএমএফ থেকে। গত নভেম্বরে চীনপন্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেইজিং মালদ্বীপের জন্য আরও তহবিল বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। গত মাসে বেইজিং সফরের পর মালদ্বীপের উন্নয়ন তহবিলের জন্য ‘নিঃস্বার্থ সহায়তা’ দেওয়ায় চীনকে ধন্যবাদ জানান মুইজ্জু।

পর্যটনের ওপর নির্ভর করে মালদ্বীপের অর্থনীতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। করোনা মহামারির ধাক্কা সামনে উঠতে মালদ্বীপকে সাহায্য করেছিল পর্যটক খাত। বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং হোটেল বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে মালদ্বীপ। এরই মধ্য আইএমএফ বলছে, পুরো পরিস্থিতি ঘিরে রেখেছে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি।

মুইজ্জুর পরামর্শদাতা এবং মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর দেশ শাসন করেছেন। সে সময়, নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বেইজিং থেকে প্রচুর ধার নিয়েছিল মালদ্বীপ। মালদ্বীপের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০২১ সালে চীনের থেকে নেওয়া ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি বৈদেশিক ঋণের ৪২ শতাংশই এখনো বকেয়া।

মালদ্বীপের নিকট অতীতে কোনো প্রেসিডেন্টই দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে ভারতকে বাদ দিয়ে চীন সফরে যাননি। তবে এই রীতি ব্যতিক্রম ঘটিয়ে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি না গিয়ে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। এরপর মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের জন্য সময় বেধে দেন তিনি। এসবের মধ্যে লাক্ষাদ্বীপকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে মালদ্বীপের।

এরপর মালদ্বীপের পর্যটন এলাকাগুলো বয়কটের ডাক দেয় ভারতীয়রা। মূলত ভারতীয়দের বয়কটের পর থেকেই পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে মালদ্বীপের। ভারতীয় পর্যটকদের অনেকেই মালদ্বীপের পরিবর্তে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ভ্রমণ করছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত