জাপানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬, নিখোঁজ দুই শতাধিক

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৩৬
Thumbnail image

জাপানে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ১২৬। উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয়রা এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ভূমিকম্পে রক্ষা পাওয়াদের পরিবর্তে লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আরও ২১০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জাপানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা এনএইচকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

নতুন বছরের প্রথম দিনই জাপানের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে আজ শনিবার পর্যন্ত ১২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ২০১৬ সালের কুমামোতো ভূমিকম্পের পর এই প্রথম কোনো ভূমিকম্পে শতাধিক প্রাণহানি ঘটল।

খারাপ আবহাওয়ার কারণে হাজারো উদ্ধারকর্মীর উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। আগামী রোববার তুষারপাত হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে। ভূমিকম্পের কারণে রাস্তায় ফাটলসহ হাজারখানেক ভূমিধস দেখা দিয়েছে। 

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, উদ্ধার অভিযানে সাহায্য করার জন্য আত্মরক্ষা বাহিনীর ৫ হাজার ৪০০ সেনা নিযুক্ত করা হয়েছে। এ অভিযানে ৯টি জাহাজ, ৩০টি উড়োজাহাজ ও ১২টি স্নিফার কুকুর রয়েছে। উদ্ধার অভিযানের জন্য দেশব্যাপী পুলিশ ও দমকল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।   

গত বৃহস্পতিবার নতো দ্বীপপুঞ্জের ওয়াজিমা শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকে আর জীবন্ত কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে ভূমিকম্পের পরপরই হওয়া সুনামি ও বৃষ্টিপাতের কারণে। এর ফলে উপদ্রুত অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। 

জাপানের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা থাকা সত্ত্বেও এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও অন্যান্য দেশও এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে। 

ভূমিকম্পের কারণে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের প্রায় ২৩ হাজার ৮০০ বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং ৬৬ হাজার ৪০০-রও বেশি বাড়িতে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। 

বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ না থাকায় হাসপাতাল ও অন্য সেবাকেন্দ্রগুলোতে কাজে বিঘ্ন দেখা দেয়। ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ৩৫৭টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়।

জাপানে প্রতিবছর ১০০টিরও বেশি ভূমিকম্প হয় এবং এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় না। প্রায় চার দশক ধরে দেশটি ভবন নির্মাণের কঠোর নিয়ম মেনে চলছে। তবে এখন বেশির ভাগ ভবনই পুরোনো হয়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত