Ajker Patrika

পশ্চিমের উদ্বেগ বাড়িয়ে ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে কিম জং উন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১: ১০
পশ্চিমের উদ্বেগ বাড়িয়ে ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে কিম জং উন

গুঞ্জন সত্যি করে ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া দুই দেশই তাঁর সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

এ সফরের মাধ্যমে কিম জং উন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মস্কোর সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে উদ্বেগে আছে পশ্চিমা দেশগুলো। 

ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিনের আমন্ত্রণে ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যে’ রাশিয়া সফরে আসছেন কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা থেকেও স্থান–কাল উল্লেখ না করে এ দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সফরকালে মাননীয় কমরেড কিম জং উন কমরেড পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন ও আলাপ করবেন।’ 

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দুই দেশের প্রতিনিধি দল দেখা করবেন। কিন্তু তিনি কিম ও পুতিনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন হলে তাঁরা মুখোমুখি বসে কথা বলবেন।’ 

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকেরা উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সীমান্তের একটি স্টেশনে সবুজ–হলুদ রঙের একটি ট্রেন দেখতে পেয়েছেন। এর আগেও বিদেশ সফরকালে কিম একই ট্রেন ব্যবহার করেছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, কিম জং উন ট্রেনে চেপে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। 

তবে তখন কিম ওই ট্রেনে ছিলেন কি না তা স্পষ্ট নয়। ট্রেনটি স্টেশন ও দেশ দুটিকে সংযোগকারী সেতু মাঝ বারবার আসা যাওয়া করছিল। কিন্তু স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ট্রেনটির সেতু পার হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম চসুন ইলবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ট্রেনটি রাজধানী পিয়ংইয়ং ছেড়ে যায়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কিম–পুতিন বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি। 

২০১৯ সালে এ ট্রেনে করে কিম জং উন পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ছবি: এএফপি দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা ও অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জাপানের কিয়োদো সংবাদ সংস্থা রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, কিম সম্ভবত তাঁর ব্যক্তিগত ট্রেনে করে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। 

তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। 

এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিম ও পুতিনের বৈঠকটি হতে পারে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা ভ্লাদিভস্তক ও মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সরকার প্রধানের সফরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা তদারক করেন রাশিয়ার এমন নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ছিলেন। 

আশঙ্কা করা হচ্ছে চুক্তি হলে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে, আবার পিয়ংইয়ংয়ের প্রয়োজনের সময় রাশিয়াও অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পে সফল হওয়ার জন্য উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি বা জ্ঞান সরবরাহের জন্য পুতিনকে অনুরোধ জানাতে পারেন। 

এ চুক্তি কৌশলের চেয়ে লেনদেন–ভিত্তিক হবে বেশি। এ মুহূর্তে রাশিয়ার প্রয়োজন অস্ত্র, আর নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার প্রয়োজন অর্থ ও খাদ্য। 

বিশ্লেষকেরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার কাছে সম্ভবত ১ কোটি কামানের গোলা ও সোভিয়েত ডিজাইন ভিত্তিক রকেট আছে। এগুলো ইউক্রেনে রুশ সেনাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত