জাপানে পাউরুটিতে মরা ইঁদুর, ১ লাখ প্যাকেট প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ১৭: ৫৯
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ১৮: ১০

পাউরুটির মধ্যে মরা ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া যাওয়ায় প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার রুটির প্যাকেট বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে জাপানের একটি সুপরিচিত কোম্পানি। প্যাকেটের মূল্যও ফেরত দিচ্ছে তারা।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে পাউরুটির ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোর অন্যতম পাস্কো শিকিশিমা করপোরেশনের তৈরি অন্তত দুটি রুটির প্যাকেটে কালো ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। তারপরই এ পদক্ষেপ নিল কোম্পানিটি।

বুধবার এক বিবৃতিতে পাসকো শিকিশিমা করপোরেশন জানিয়েছে, দুই প্যাকেট স্লাইস করা পাউরুটির প্যাকেটে কীভাবে ‘একটি ছোট প্রাণীর’ দেহাবশেষ পাওয়া গেছে, সে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এখন পর্যন্ত এই পাউরুটি খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়নি।

পরে তারা জানায়, পাউরুটিতে মরা ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। কোম্পানিটি আরও বলেছে, ‘আমাদের গ্রাহক, ব্যবসায়িক অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সবার অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

চোজুকু ব্রেড নামের এই সাদা পাউরুটির একটি চালানে ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। ‘সুপার ফারমেন্টেড ব্রেড’ হিসেবে পরিচিত এই রুটি বেশ মচমচে ও মুখরোচক। পশ্চিম টোকিও প্রিফ্যাকচারের এক কারখানায় এটি উৎপাদন করা হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই কারখানায় উৎপাদিত সব পণ্য আমরা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেব। কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান করা না পর্যন্ত এই কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

আপাতত ১ লাখ ৪ হাজার পাউরুটির প্যাকেট বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে পাসকো নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘আমাদের পণ্য বেছে নেওয়ার জন্য ভোক্তাদের অশেষ ধন্যবাদ জানাই।’

এই পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয় না বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র। একই সঙ্গে কোম্পানিটি তাদের ওয়েবসাইটে একটি ফর্ম প্রকাশ করেছে। এই ফর্মে ক্ষতিগ্রস্তরা অনলাইনে রুটির প্যাকেটের মূল্য ফেরত নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

প্রথাগত জাপানি খাবারের বিকল্প হিসেবে সাদা পাউরুটি জাপানিদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত পাসকো জাপানে বেক করা খাবারের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। জাপানের এই প্রতিষ্ঠানের ১২টি কারখানায় ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি কর্মী কাজ করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে এটাই জাপানের প্রথম ‘খাদ্য কেলেঙ্কারির’ ঘটনা নয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিয়াগি প্রশাসনিক এলাকায় শত শত শিক্ষার্থী তাদের স্কুল থেকে দেওয়া দুধ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

এরপর মার্চে জাপানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোবাইয়াশি ফার্মাসিউটিক্যালের তিনটি ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। এই ওষুধ সেবনে তিনজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন ১০০ জনের বেশি মানুষ।

গত বছরের আগস্টে খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ারাবেয়া নিচিয়োর রাইস বলে তেলাপোকা খুঁজে পান দুই ক্রেতা। রয়টার্স জানায়, টোকিওর উত্তরে সাইতামা অঞ্চলে সেভেন ইলেভেন স্টোরে এই পণ্য বিক্রি করা হয়।

জাপান ছাড়াও পাসকো ব্র্যান্ডের পণ্য অন্যান্য দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি করা হয়। উচ্চ মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা বজায় থাকা জাপানে বাজার থেকে এমনভাবে খাবার তুলে নেওয়ার ঘটনা বিরল।

পণ্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলেছে পাসকো। ক্রেতা ও ভক্তরা এই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রতি ভালোবাসা এবং এতে ইঁদুরের দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়ার বিস্ময় নিয়ে লিখেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত