সন্ন্যাসী পালক পুত্রের সঙ্গে বিছানায় থাই রাজনীতিবিদ, ভিডিওসহ স্বামীর অভিযোগে দেশজুড়ে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ১৮: ০৯
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১৮: ৩২

থাইল্যান্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো সয়লাব হয়ে গেছে একটি ভিডিওচিত্রে। এতে দেখা যাচ্ছে, দেশটির জনপ্রিয় এক নারী রাজনীতিবিদ তাঁর পালক পুত্রের সঙ্গে একটি বিছানায় অপ্রস্তুত অবস্থায় রয়েছেন। ভিডিও থেকে নিজেদের লুকানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

এ বিষয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওচিত্রের নারীটি আর কেউ নন, থাইল্যান্ডের ৪৫ বছর বয়সী রাজনীতিবিদ প্রাপাপোর্ন চোয়েইওয়াডকো। আর যে পালক পুত্রের সঙ্গে তিনি বিছানায় ছিলেন ২৪ বছর বয়সী ফ্রা মাহা নামের সেই যুবক একজন সন্ন্যাসী। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো—যিনি ভিডিওটি করেছেন, তিনি হলেন প্রাপাপোর্নের স্বামী। স্ত্রীকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার মধ্যে হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন তিনি। পরে ওই ভিডিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন। 

স্বামীর অভিযোগ, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই পালক পুত্রের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে প্রাপাপোর্নকে সন্দেহ করছিলেন। পরে তাঁদের হাতেনাতে ধরতে একটি পরিকল্পনা করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর অনুমানই ঠিক হয়েছে। দুজনকে একসঙ্গে নগ্ন অবস্থায় বিছানায় আবিষ্কার করেছেন তিনি।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, প্রাপাপোর্ন এবং তাঁর স্বামী গত বছর একটি আশ্রম থেকে সন্ন্যাসী ফ্রা মাহাকে দত্তক নিয়েছিলেন। কারণ, ফ্রাকে দেখে প্রাপাপোর্নের মনে খুব মায়ার উদ্রেক হয়েছিল বলে স্বামীকে জানিয়েছিলেন। এবার হাতেনাতে ধরা পড়ার পর অবশ্য পালিয়ে গেছেন সেই ফ্রা মাহা। 

এ ঘটনাটি থাইল্যান্ডসহ আশপাশের কয়েকটি দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন লিখেছেন, ‘নানা কারণে এই খবরটি বিস্ফোরক। এটাকে সত্যিকারের একটি উপাখ্যান মনে হচ্ছে। ধনী মানুষদের পৃথিবী আসলে চিত্তাকর্ষক এবং বিশৃঙ্খল।’ 

আরেকজন লিখেছেন, ‘৬৪ বছরের স্বামী, ৪৫ বছরের স্ত্রী এবং ২৪ বছরের পালক পুত্র—যে কি না আবার সন্ন্যাসী! এটা এমনই জগাখিচুড়ি। দত্তক নেওয়ার চেয়ে একটি টয়-বয় নিলেই বরং ভালো হতো। নাটকগুলো পর্যন্ত এমন কাহিনি তৈরির সাহস পায় না।’ 

যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে, সেটিতে দেখা যাচ্ছে, ভিডিও করা ব্যক্তি (স্বামী) বিব্রতকর অবস্থায় থাকা প্রাপাপোর্ন এবং ফ্রা মাহাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘তোমরা দুজন কি এবার সুখী?’

প্রাপাপোর্ন এ সময় আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করছিলেন এবং দাবি করেন, তাঁরা কোনো যৌনতায় লিপ্ত হননি, শুধু গল্প করছিলেন। 

এ সময় পালক পুত্র ফ্রা মাহাও নিজেকে নির্দোষ দাবি করছিলেন এবং বলছিলেন, ‘কিছুই ঘটেনি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাপাপোর্ন চোয়েইওয়াডকো সেন্ট্রাল থাইল্যান্ডের সুখোথাই প্রদেশের জনপ্রিয় একজন রাজনীতিবিদ। শুধু তা-ই নয়, স্থানীয় চেম্বার অব কমার্সেরও সভাপতি তিনি। গত বছরের মার্চ মাস থেকে তিনি দেশটির ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঘটনার জের ধরে ইতিমধ্যে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রাপাপোর্নকে। এ ঘটনা নিয়ে একটি তদন্তও শুরু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত