Ajker Patrika

সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: ভারতকে আর সমুদ্র জরিপের কাজ দেবে না মালদ্বীপ

অনলাইন ডেস্ক
সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: ভারতকে আর সমুদ্র জরিপের কাজ দেবে না মালদ্বীপ

মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের জন্য আহ্বানের পর এবার নয়াদিল্লির সঙ্গে সমুদ্র জরিপ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মালদ্বীপ। এ চুক্তির আওতায় এতদিন মালদ্বীপের জলসীমায় হাউড্রোগ্রাফিক জরিপ চালিয়ে আসছিল ভারত। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানীর মালেতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের জননীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফিরুজুল আবদুল খলিল।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ ফিরুজুল আবদুল খলিল বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদ্বীপের নতুন সরকার।

ফিরুজুলকে উদ্ধৃত করে মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম সান এক প্রতিবেদনে বলে, এ চুক্তি অনুসারে, কোনো এক পক্ষ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ছয় মাস আগে অপর পক্ষকে জানাতে হবে। পাঁচ বছর পরপর এ চুক্তিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নবায়ন হওয়ার কথা।

মোহাম্মদ ফিরুজুল বলেছেন, মালদ্বীপের এ চুক্তিটি আর নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভারতকে জানানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাইড্রোগ্রাফির ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারকটি (এমওইউ) সই হয় ২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মালদ্বীপ সফরের সময়।

ওই সময় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই সমঝোতা স্মারক ‘আমাদের উপকূলীয় জলসীমা এবং এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মানচিত্র তৈরি করতে মালদ্বীপ সরকারের সক্ষমতা আরও জোরদার করবে এবং এ সীমার ভেতরের সম্পদগুলো আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে’।

২০১৯ সালেও মালদ্বীপের তৎকালীন বিরোধী দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ (পিপিএম) এ চুক্তির সমালোচনা করেছিল।  

ঐতিহাসিকভাবে মালদ্বীপের বেশির ভাগ হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে করেছে ভারত।

সংবাদ সম্মেলনে ফিরুজুল বর্তমান সরকারের প্রথম চার সপ্তাহের অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। এতে পূর্ববর্তী সরকারের সই করা সব গোপন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়। তিনি বিশেষ করে সেসব চুক্তির কথা উল্লেখ করেন যেগুলো মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

ফিরুজুল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। ভবিষ্যতে হাইড্রোগ্রাফির কার্যক্রমগুলো শতভাগই মালদ্বীপের ব্যবস্থাপনায় করা হবে এবং এর বিস্তারিত তথ্য অন্য কোনো সরকার জানবে না।’

শপথ হাতে নেওয়ার পরদিনই মালদ্বীপ থেকে হেলিকপ্টারসহ ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। এটি তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি।    

এমনকি কপ–২৮ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় সামরিক বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন প্রেসিডেন্ট। দুই পক্ষই এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত