বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারত চুক্তি 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ৪৮
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ৪৭

হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত চীন ও ভারতের মধ্যকার বিতর্কিত সীমান্তে টহলের বিষয়ে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করা সম্ভব হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি জানিয়েছে। 

এই চুক্তির বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল সোমবার নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় ও চীনা কূটনীতিক এবং সামরিক কর্মকর্তারা একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন এবং এই আলোচনার ফলস্বরূপ ভারত-চীন সীমান্তে এলএসি বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। যা ২০২০ সালে উত্থাপিত সমস্যাগুলোর সমাধানের দিকে নিয়ে গেছে।’ 

এলএসি বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বাংলায় যাকে বলা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা—মূলত ভারত ও চীনের মধ্যকার সীমান্তকে নির্দেশ করে। ভারতের উত্তর-পশ্চিমের লাদাখ থেকে পূর্ব দিকের অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত চীন-ভারতের মধ্যে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এই সীমান্ত ইস্যুতে ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে একদফা যুদ্ধ হয়েছে। একাধিকবার চীনা সেনারা এই সীমানা অতিক্রম করে ভারতে অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে নয়া দিল্লি অভিযোগ করেছে। 

চুক্তির কথা বললেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি মিশ্রি। বিশেষ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে লাদাখের উত্তরে মোতায়েনকৃত হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার করা হবে কিনা সে বিষয়টি জানাননি তিনি। 

এই ঘোষণা এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ায় শুরু হওয়া ব্রিকস জোটের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত ছাড়ছেন। এই শীর্ষ সম্মেলনে চীনও অংশগ্রহণ করছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ব্রিকস সম্মেলনের সাইডলাইনে মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। 

এদিকে, এই চুক্তির বিষয়টি আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, ‘সম্প্রতি, চীন এবং ভারত দুই দেশের সীমান্তের বিষয়গুলো নিয়ে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করেছে। এখন দুই পক্ষ বিষয়গুলোর সমাধানে পৌঁছেছে, যা নিয়ে চীন অত্যন্ত সন্তুষ্ট।’

এর আগে, ২০২০ সালের জুলাইয়ে লাদাখের গালওয়ানে চীন-ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ ভারতীয় ও ৪ জন চীনা সেনা নিহত হয়। সেই ঘটনার পর ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। সেই ঘটনার পর দুই পক্ষই পার্বত্য অঞ্চলটি হাজার হাজার সেনা, আর্টিলারি, ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। 

চীন-ভারতের চুক্তির বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শংক বলেন, এই চুক্তি অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও অবিচলিত কূটনীতির ফল। এর ফলে ভারত ২০২০ সালের সংঘর্ষের আগে যেভাবে সামরিক পেট্রলিং শুরু হয়েছিল ঠিক সেভাবেই চালিয়ে যেতে পারবে। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, আমরা শান্তিতে ফিরতে পারব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত