Ajker Patrika

শ্রীলঙ্কার আদালতে ‘সিনেমাটিক স্টাইলে’ গ্যাং লিডারকে গুলি করে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি আদালতে আইনজীবীর ছদ্মবেশে প্রবেশ করে কুখ্যাত গ্যাং লিডার সঞ্জীবা কুমারা সামারারত্নেকে গুলি করে হত্যা করেছে এক অস্ত্রধারী। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী একটি রিভলবার ব্যবহার করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই রিভলবারটি একজন সন্দেহভাজন নারী ফাঁপা বইয়ের ভেতরে লুকিয়ে আদালতে নিয়ে এসেছিলেন। ওই নারী এখনো পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, সঞ্জীবাকে একাধিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। কিন্তু আদালতে শুনানির সময় বন্দুকধারী তাঁকে গুলি করে।

ঘটনার সময় সঞ্জীবার নিরাপত্তার জন্য আদালতে ১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

গুলির পর হামলাকারী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ পরে তাঁকে আটক করে। সন্দেহভাজনের পরিচয় নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তিনি একাধিক নাম ব্যবহার করতেন।

এদিকে পুলিশ ২৫ বছর বয়সী নারী পিনপুরা দেবাগে ইশারা সেওয়ান্দিকে এই ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাঁর সম্পর্কে তথ্য দিলে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া একজন পুলিশ সদস্য এবং একটি ভ্যানের চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা এই হামলার সহযোগী ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ড শ্রীলঙ্কায় চলমান গ্যাং সহিংসতার অংশ। এই সহিংসতা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। গত বুধবার দেশটির সংসদেও এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী দলীয় এক সাংসদ এটিকে ‘গুরুতর নিরাপত্তা সমস্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।

শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নালিন্দা জয়তিসা জানিয়েছেন, সরকার সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

সঞ্জীবাকে হত্যার ঘটনায় শ্রীলঙ্কার আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে বিশেষ ব্যক্তিদের আদালতে আনার সময় সশস্ত্র রক্ষী মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সাধারণত আদালতে অস্ত্রধারী নিরাপত্তা কর্মীদের অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে এই ঘটনার পর বিচারমন্ত্রী হার্শানা নানায়াক্কারা জানিয়েছেন, নিয়ম পরিবর্তন করে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএফপি-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শ্রীলঙ্কায় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত