অনলাইন ডেস্ক
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাৎসুনোও রয়েছেন। জাপানের শাসনতন্ত্রে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদটিকে পূর্ণ মন্ত্রী এবং সরকারের প্রধান মুখপাত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। এর বাইরেও হিরোকাজু মাৎসুনো জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত ছিলেন।
পদত্যাগকারী আর তিন মন্ত্রী হলেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুনজি সুজুকি এবং কৃষিমন্ত্রী ইচিরো মিয়াশিতা।
অর্থ লোপাটের ঘটনা তদন্তে কৌঁসুলিরা দলীয় কার্যালয়গুলোয় তল্লাশি চালানো এবং ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতাদের জেরা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন—এমন খবরের মধ্যে চার মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়ে হিরোকাজু মাৎসুনো জানিয়েছেন, শিগগিরই মন্ত্রিসভার আরও ৫ জন জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা মিচিকো উয়েনোও দায়িত্ব ছাড়ছেন।
এই মন্ত্রীরা ১০০ সদস্যের শক্তিশালী আবে উপদলের সদস্য। এই উপদলের নেতৃত্ব একসময় দিতেন হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) এই আবে উপদলের এমপি’র সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
চার মন্ত্রীর পাশাপাশি এই উপদল থেকে পাঁচজন ঊর্ধ্বতন উপমন্ত্রী ও একজন সংসদীয় উপমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অভিযোগ আছে, আবে উপদলের সদস্যরা গত পাঁচ বছরে তহবিল সংগ্রহের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগৃহীত ৫০ কোটিরও (প্রায় ৩৪ লাখ) বেশি ইয়েনের হিসাব দিতে পারেননি; অর্থাৎ, রাজনৈতিক তহবিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তারা আয় হিসাবে এই অর্থের উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কৌঁসুলিরা এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী কিশিদার উপদলও এতে জড়িত কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে। পাশাপাশি দুর্নীতির তদন্তও করছেন কৌঁসুলিরা।
জাপানে তহবিল সংগ্রহের জন্য অনুষ্ঠান করা বৈধ। দলের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানের জন্য টিকিট বিক্রির যে কোটা থাকে তা আবে উপদলের সদস্যরা অতিক্রম করেছিলেন। তবে সেটিও কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু সংগ্রীহিত অর্থের অঙ্ক সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ না করাটা রাজনৈতিক তহবিল আইনের লঙ্ঘন।
ক্ষমতাসীন দল এলডিপি’র এক আইনপ্রণেতার কার্যালয়ে কাজ করতেন এমন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘টিকিট বিক্রির ব্যাপারে আপনি আত্মবিশ্বাসী হলে আপনার যেটুকু টিকিট বিক্রির সীমা বেঁধে দেওয়া আছে, তার চেয়েও বেশি আপনি বিক্রি করতে পারেন। আর সেটা থেকে সংগ্রীহিত অর্থ আপনার আয় হিসাবেই গণ্য হবে...সহজ হিসাব।’
এই অতিরিক্ত রাজস্বেরই রেকর্ড রাখা হয়নি, বরং এ অর্থ চলে গেছে স্লাশ ফান্ডে। এলডিপিতে ইতোপূর্বে কিশিদার নেতৃত্বাধীন একটি উপদলসহ অন্যান্য উপদলগুলোও তহবিল সংগ্রহ থেকে আয়ের অর্থ কম দেখানোর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে।
আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এলডিপি’র নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। আর ২০২৫ সালে হওয়ার কথা রয়েছে সাধারণ নির্বাচন।
কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে ২০১২ সালে জাপানে এলডিপি দল ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এখনই দলটির জনসমর্থন সবচেয়ে নিম্নে অবস্থান করছে। প্রথমবারের মতো এলডিপি’র জনসমর্থন ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
তা ছাড়া, এলডিপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার মধ্যে কিশিদার অবস্থানই সবচেয়ে নাজুক।
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উপদলের রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহে লোপাটের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রী। দলীয় দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আস্থা সংকটে জর্জরিত থাকার সময়েই পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাৎসুনোও রয়েছেন। জাপানের শাসনতন্ত্রে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদটিকে পূর্ণ মন্ত্রী এবং সরকারের প্রধান মুখপাত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। এর বাইরেও হিরোকাজু মাৎসুনো জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ‘ডান হাত’ নামে পরিচিত ছিলেন।
পদত্যাগকারী আর তিন মন্ত্রী হলেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুনজি সুজুকি এবং কৃষিমন্ত্রী ইচিরো মিয়াশিতা।
অর্থ লোপাটের ঘটনা তদন্তে কৌঁসুলিরা দলীয় কার্যালয়গুলোয় তল্লাশি চালানো এবং ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতাদের জেরা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন—এমন খবরের মধ্যে চার মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়ে হিরোকাজু মাৎসুনো জানিয়েছেন, শিগগিরই মন্ত্রিসভার আরও ৫ জন জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা মিচিকো উয়েনোও দায়িত্ব ছাড়ছেন।
এই মন্ত্রীরা ১০০ সদস্যের শক্তিশালী আবে উপদলের সদস্য। এই উপদলের নেতৃত্ব একসময় দিতেন হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) এই আবে উপদলের এমপি’র সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
চার মন্ত্রীর পাশাপাশি এই উপদল থেকে পাঁচজন ঊর্ধ্বতন উপমন্ত্রী ও একজন সংসদীয় উপমন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অভিযোগ আছে, আবে উপদলের সদস্যরা গত পাঁচ বছরে তহবিল সংগ্রহের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগৃহীত ৫০ কোটিরও (প্রায় ৩৪ লাখ) বেশি ইয়েনের হিসাব দিতে পারেননি; অর্থাৎ, রাজনৈতিক তহবিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তারা আয় হিসাবে এই অর্থের উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কৌঁসুলিরা এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী কিশিদার উপদলও এতে জড়িত কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে। পাশাপাশি দুর্নীতির তদন্তও করছেন কৌঁসুলিরা।
জাপানে তহবিল সংগ্রহের জন্য অনুষ্ঠান করা বৈধ। দলের তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানের জন্য টিকিট বিক্রির যে কোটা থাকে তা আবে উপদলের সদস্যরা অতিক্রম করেছিলেন। তবে সেটিও কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু সংগ্রীহিত অর্থের অঙ্ক সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ না করাটা রাজনৈতিক তহবিল আইনের লঙ্ঘন।
ক্ষমতাসীন দল এলডিপি’র এক আইনপ্রণেতার কার্যালয়ে কাজ করতেন এমন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘টিকিট বিক্রির ব্যাপারে আপনি আত্মবিশ্বাসী হলে আপনার যেটুকু টিকিট বিক্রির সীমা বেঁধে দেওয়া আছে, তার চেয়েও বেশি আপনি বিক্রি করতে পারেন। আর সেটা থেকে সংগ্রীহিত অর্থ আপনার আয় হিসাবেই গণ্য হবে...সহজ হিসাব।’
এই অতিরিক্ত রাজস্বেরই রেকর্ড রাখা হয়নি, বরং এ অর্থ চলে গেছে স্লাশ ফান্ডে। এলডিপিতে ইতোপূর্বে কিশিদার নেতৃত্বাধীন একটি উপদলসহ অন্যান্য উপদলগুলোও তহবিল সংগ্রহ থেকে আয়ের অর্থ কম দেখানোর অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে।
আগামী বছর সেপ্টেম্বরে এলডিপি’র নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। আর ২০২৫ সালে হওয়ার কথা রয়েছে সাধারণ নির্বাচন।
কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে ২০১২ সালে জাপানে এলডিপি দল ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে এখনই দলটির জনসমর্থন সবচেয়ে নিম্নে অবস্থান করছে। প্রথমবারের মতো এলডিপি’র জনসমর্থন ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
তা ছাড়া, এলডিপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার মধ্যে কিশিদার অবস্থানই সবচেয়ে নাজুক।
ভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
২ মিনিট আগেইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া জানাল, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে তাদের সেনারা। অবশ্য রাশিয়ার গ্রাম দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ।
১৯ মিনিট আগেট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরপরই যৌন কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হলো ম্যাট গেটজকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পুরোনো মিত্র পাম বন্ডিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগেকংগ্রেস ভবনের সব শৌচাগার, পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ, লকার রুমগুলো নারী–পুরুষ অনুযায়ী ভাগ করা আছে। নারীদের জন্য নির্ধারিত পরিসরে শুধু নারীদের অধিকার থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন লুইজিয়ানার এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি।
৩ ঘণ্টা আগে