বুদ্ধের জাতিস্মর দাবি করা ‘বুদ্ধ বালকের’ বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

‘বুদ্ধ বালক’ হিসেবে পরিচিত নেপালের এক আধ্যাত্মিক নেতাকে একজন নাবালককে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আজ বুধবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নিজের আশ্রম থেকে অন্তত চারজনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বুদ্ধ বালক’ নামধারী রাম বাহাদুর বামজানকে নেপালের অনেকেই সিদ্ধার্থ গৌতমের পুনর্জন্ম বলে বিশ্বাস করেন। ২ হাজার ৬০০ বছর আগে দক্ষিণ-পশ্চিম নেপালে জন্মগ্রহণ করা সিদ্ধার্থই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে ‘বুদ্ধ’ হিসাবে সম্মানিত। বৌদ্ধ পণ্ডিতেরা অবশ্য বামজানের দাবি নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন। 

নেপালের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর কর্মকর্তা নবরাজ অধিকারী জানিয়েছেন, বামজানকে মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে অবস্থিত তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার বামজানকে হাতকড়া পরিয়ে গণমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসে পুলিশ। দাবি করা হয়, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির দুই তলার একটি জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাঁকে পুলিশ ধরে ফেলতে সক্ষম হয় এবং হেফাজতে নেয়। 

পুলিশ কর্মকর্তারা বামজানের বাড়ি থেকে ২ লাখ ২৭ হাজার ডলারের সমপরিমাণ নেপালি ব্যাংক নোট জব্দ করেন। পাশাপাশি ২৩ হাজার ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রাও জব্দ করা হয়। 

বিচারকের সামনে হাজির করার জন্য বামজানকে প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ নেপালের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ সেখানেই তাঁর দ্বারা কথিত অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। 

বামজানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাঁর কয়েক ডজন অনুসারী বুধবার কাঠমান্ডুর কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো অফিসের বাইরে জড়ো হয়। পরে দাঙ্গা পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করে। 

জানা গেছে, ২০০৫ সালে দক্ষিণ নেপালে তাঁর নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়েছিল। সেসময় অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন যে, খাবার এবং পানি ছাড়া গাছের নিচে বসে কয়েক মাস নড়াচড়া ছাড়াই ধ্যান করতে পারেন বামজান। এ ধরনের প্রচারণায় বুদ্ধ বালক হিসেবেও পরিচিতি পান তিনি। অনুসারীদের যৌন ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ থাকলেও তাঁর হাজার হাজার অনুসারী রয়েছে। তারা তাঁকে উপাসনা করতে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত