অনলাইন ডেস্ক
সৌদি আরবে আমাজনের গুদামে কর্মরত প্রবাসী নেপালিরা প্রতারণা ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। কাজ দেওয়ার নাম করে নেপালিদের কাছ থেকে অর্থ নিলেও বেতন কম দেওয়া, নোংরা জায়গায় থাকতে বাধ্য করা এবং অন্য কোনো কাজ খুঁজে নেওয়া বা দেশত্যাগের সুযোগ তাদের দেওয়া হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রিয়াদে আমাজনের গুদামে কর্মরত ২২ নেপালি শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আবদুল্লাহ ফায়ার আল-বুসাইরি সাপোর্ট সার্ভিসেস কোম্পানি (আল-বুসাইরি) এবং বাঁশদাহ আল-মুসা নাদা করা আর টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিসেস (বাঁশদাহ)-এই দুটি এজেন্সি নেপালের শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়েছিল।
সৌদি আরব গিয়ে আমাজনে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে একজন ছাড়া বাকি সবাই এজেন্টদের গড়ে ১ হাজার ৫০০ ডলার করে দেয়। কেউ কেউ এই ফি শোধ করতে উচ্চ সুদে ঋণও নিয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার সময় সৌদি আরবে শ্রমিক সাপ্লাই কোম্পানির যোগসাজশে এজেন্টরা এই বলে নেপালিদের প্রতারিত করেছিল যে, আমাজন তাদের সবাইকে সরাসরি নিয়োগ দেবে।
সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করার কয়েক ঘণ্টা আগে যখন যুক্তিপত্র এবং অন্যান্য কাগজ পায় নেপালের শ্রমিকেরা, তখন কয়েকজন সন্দেহ করেন যে, তাদের হয়তো আমাজন সরাসরি নিয়োগ দিচ্ছে না। অন্যরা সৌদি আরবে পৌঁছানোর পরই ব্যাপারটা বুঝতে পারে। কিন্তু ততক্ষণে সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে দেওয়ায় এজেন্সির কথা মত চলা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে সাক্ষাৎকার দেওয়া এক নেপালি শ্রমিক বলেন, আমি ফ্লাইটের দিন বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি একটি ভিন্ন কোম্পানি। আমার পাসপোর্টে লেখা ছিল, ’আল বাসমাহ কোং’। কিন্তু এজেন্ট বলল, ’চিন্তা করবেন না, এটি আমাজনের একটি শাখা।
শ্রমিকদের বেশির ভাগকেই কয়েক মাস ধরে রাখা হয়েছিল নোংরা এবং ঠাসাঠাসি করে থাকতে হয় এমন ঘরে। আমাজনের গুদামে কাজ করার পর বেতনেও ক্ষেত্রেও দেখা দেয় অনিয়ম। ঠিকাদাররা প্রায়ই কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা ছাড়াই তাদের বেতন এবং খাবারের ভাতার কিছু অংশ নিজেরাই রেখে দিত। ওভারটাইমের পুরো অর্থও পেত না শ্রমিকেরা।
শ্রমিকেরা জানায়, গুদামগুলোতে তাদের সারা দিন অনেক ভারী জিনিস তুলতে হতো। সব সময় পর্যবেক্ষণের মধ্যে ঠেকে লক্ষ্য পূরণের জন্য ছুটতে হতো। প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অনুমতি তারা পেত না। কিছু ক্ষেত্রে অসুস্থ হইয়ে যায় শ্রমিকেরা। তাদের মধ্যে একজন জানান, হাত ভেঙেছে বলে সন্দেহ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এক মাসের ছুটি নেন। কিন্তু অসুস্থ শ্রমিককে বেতন দেওয়া হবে না বলে এজেন্সি জানালে বাধ্য হয়ে তাঁকে দুই সপ্তাহ পরই কাজে ফিরতে হয়েছিল।
বেশির ভাগ কর্মীই শ্রম সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে ১২ মাসেরও কম সময় পরই চাকরি চলে গেছে অনেকের। বেকার এসব শ্রমিকদের আরও খারাপ থাকার জায়গায় নিয়ে যেত এজেন্সিগুলো। তাদের বেতন দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল এজেন্সিগুলো। খাবারের অর্থও বন্ধ দেওয়া হতো না কিছু ক্ষেত্রে। সরকার কিংবা অন্য কোনো জায়গা থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা না পাওয়া এসব মানুষ রুটি আর লবণ খেয়ে দিন পার করেছে। পান করতে হয়েছে লবণাক্ত পানি।
একজন শ্রমিক জানান, থাকার জায়গা ছিল প্রচণ্ড নোংরা। ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এয়ার কন্ডিশন কিংবা বৈদ্যুতিক পাখা-কোন কিছু ছাড়াই তাদের টিকে থাকতে হয়েছে। ইন্টারনেটও ছিল না বলে দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেননি তারা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার বিভাগের প্রধান স্টিভ ককবার্ন প্রতিবেদনটিতে বলেছেন, শ্রমিকেরা ভেবেছিল যে তারা আমাজনে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এর পরিবর্তে তারা হয়েছে নির্যাতনের শিকার। আমরা ধারণা করছি, এ রকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আরও অনেককেই যেতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাজন অনেক আগেই শ্রমিকদের এই ভয়ংকর দুর্ভোগের ইতি তানতে পারত। কিন্তু আমাজনের নিয়মাবলি সৌদি আরবে এই চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাজনের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং নিশ্চিত করা উচিত যে, এটি যেন আর কখনো না ঘটে। ”
ককবার্ন আরও বলেন, সৌদি আরব সরকারেরও এখানে দায়িত্ব রয়েছে। তাদের অবশ্যই এই ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে হবে এবং শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে শ্রম ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। যার মধ্যে থাকবে স্বাধীনভাবে নিয়োগকর্তা পরিবর্তন করা এবং শর্ত ছাড়াই দেশ ত্যাগের ক্ষমতা থাকা।
সৌদি আরবে আমাজনের গুদামে কর্মরত প্রবাসী নেপালিরা প্রতারণা ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। কাজ দেওয়ার নাম করে নেপালিদের কাছ থেকে অর্থ নিলেও বেতন কম দেওয়া, নোংরা জায়গায় থাকতে বাধ্য করা এবং অন্য কোনো কাজ খুঁজে নেওয়া বা দেশত্যাগের সুযোগ তাদের দেওয়া হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রিয়াদে আমাজনের গুদামে কর্মরত ২২ নেপালি শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আবদুল্লাহ ফায়ার আল-বুসাইরি সাপোর্ট সার্ভিসেস কোম্পানি (আল-বুসাইরি) এবং বাঁশদাহ আল-মুসা নাদা করা আর টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিসেস (বাঁশদাহ)-এই দুটি এজেন্সি নেপালের শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়েছিল।
সৌদি আরব গিয়ে আমাজনে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে একজন ছাড়া বাকি সবাই এজেন্টদের গড়ে ১ হাজার ৫০০ ডলার করে দেয়। কেউ কেউ এই ফি শোধ করতে উচ্চ সুদে ঋণও নিয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার সময় সৌদি আরবে শ্রমিক সাপ্লাই কোম্পানির যোগসাজশে এজেন্টরা এই বলে নেপালিদের প্রতারিত করেছিল যে, আমাজন তাদের সবাইকে সরাসরি নিয়োগ দেবে।
সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করার কয়েক ঘণ্টা আগে যখন যুক্তিপত্র এবং অন্যান্য কাগজ পায় নেপালের শ্রমিকেরা, তখন কয়েকজন সন্দেহ করেন যে, তাদের হয়তো আমাজন সরাসরি নিয়োগ দিচ্ছে না। অন্যরা সৌদি আরবে পৌঁছানোর পরই ব্যাপারটা বুঝতে পারে। কিন্তু ততক্ষণে সম্পূর্ণ অর্থ দিয়ে দেওয়ায় এজেন্সির কথা মত চলা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে সাক্ষাৎকার দেওয়া এক নেপালি শ্রমিক বলেন, আমি ফ্লাইটের দিন বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি একটি ভিন্ন কোম্পানি। আমার পাসপোর্টে লেখা ছিল, ’আল বাসমাহ কোং’। কিন্তু এজেন্ট বলল, ’চিন্তা করবেন না, এটি আমাজনের একটি শাখা।
শ্রমিকদের বেশির ভাগকেই কয়েক মাস ধরে রাখা হয়েছিল নোংরা এবং ঠাসাঠাসি করে থাকতে হয় এমন ঘরে। আমাজনের গুদামে কাজ করার পর বেতনেও ক্ষেত্রেও দেখা দেয় অনিয়ম। ঠিকাদাররা প্রায়ই কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা ছাড়াই তাদের বেতন এবং খাবারের ভাতার কিছু অংশ নিজেরাই রেখে দিত। ওভারটাইমের পুরো অর্থও পেত না শ্রমিকেরা।
শ্রমিকেরা জানায়, গুদামগুলোতে তাদের সারা দিন অনেক ভারী জিনিস তুলতে হতো। সব সময় পর্যবেক্ষণের মধ্যে ঠেকে লক্ষ্য পূরণের জন্য ছুটতে হতো। প্রয়োজনীয় বিশ্রামের অনুমতি তারা পেত না। কিছু ক্ষেত্রে অসুস্থ হইয়ে যায় শ্রমিকেরা। তাদের মধ্যে একজন জানান, হাত ভেঙেছে বলে সন্দেহ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এক মাসের ছুটি নেন। কিন্তু অসুস্থ শ্রমিককে বেতন দেওয়া হবে না বলে এজেন্সি জানালে বাধ্য হয়ে তাঁকে দুই সপ্তাহ পরই কাজে ফিরতে হয়েছিল।
বেশির ভাগ কর্মীই শ্রম সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে ১২ মাসেরও কম সময় পরই চাকরি চলে গেছে অনেকের। বেকার এসব শ্রমিকদের আরও খারাপ থাকার জায়গায় নিয়ে যেত এজেন্সিগুলো। তাদের বেতন দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল এজেন্সিগুলো। খাবারের অর্থও বন্ধ দেওয়া হতো না কিছু ক্ষেত্রে। সরকার কিংবা অন্য কোনো জায়গা থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা না পাওয়া এসব মানুষ রুটি আর লবণ খেয়ে দিন পার করেছে। পান করতে হয়েছে লবণাক্ত পানি।
একজন শ্রমিক জানান, থাকার জায়গা ছিল প্রচণ্ড নোংরা। ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এয়ার কন্ডিশন কিংবা বৈদ্যুতিক পাখা-কোন কিছু ছাড়াই তাদের টিকে থাকতে হয়েছে। ইন্টারনেটও ছিল না বলে দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেননি তারা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার বিভাগের প্রধান স্টিভ ককবার্ন প্রতিবেদনটিতে বলেছেন, শ্রমিকেরা ভেবেছিল যে তারা আমাজনে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এর পরিবর্তে তারা হয়েছে নির্যাতনের শিকার। আমরা ধারণা করছি, এ রকম ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আরও অনেককেই যেতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাজন অনেক আগেই শ্রমিকদের এই ভয়ংকর দুর্ভোগের ইতি তানতে পারত। কিন্তু আমাজনের নিয়মাবলি সৌদি আরবে এই চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাজনের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং নিশ্চিত করা উচিত যে, এটি যেন আর কখনো না ঘটে। ”
ককবার্ন আরও বলেন, সৌদি আরব সরকারেরও এখানে দায়িত্ব রয়েছে। তাদের অবশ্যই এই ঘটনাগুলোর তদন্ত করতে হবে এবং শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে শ্রম ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। যার মধ্যে থাকবে স্বাধীনভাবে নিয়োগকর্তা পরিবর্তন করা এবং শর্ত ছাড়াই দেশ ত্যাগের ক্ষমতা থাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বাস্তবায়িত হলে আয়ারল্যান্ডের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস ওষুধ ও রসায়ন খাতে ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ দেশটির মোট রপ্তানি আয়ের ৭০ শতাংশেরও বেশি আসে এই খাত থেকে। আর এর ৮০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। তাই, ট্রাম্
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির কংগ্রেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন এক ভারতীয় আমেরিকান নেতা। আগামী বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন সঞ্জয় বাঙ্গার। এর আগে বা পরে তিনি ভারতের হয়ে খুব বেশি দিন খেলেননি বা কোনো চমক দেখাতে পারেননি। তবে এবার তিনি ভিন্ন এক কারণে এসেছেন আলোচনায়। তাঁর ছেলে আরিয়ান বাঙ্গার লিঙ্গ পরিবর্তন করে মেয়ে হয়ে গেছেন। নিজের নাম দিয়েছেন আনায়া বাঙ্গার।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি আদালত বাংলাদেশি এক নাগরিককে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একটি সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র মামলায় গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) বিশেষ আদালত তাঁকে এই কারাদণ্ড দেন
৭ ঘণ্টা আগে