জাপানে কাজের চাপে চিকিৎসকের আত্মহত্যার দাবি পরিবারের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৩৬
Thumbnail image

জাপানে গত বছর ২৬ বছর বয়সী একজন চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন। তবে গত সপ্তাহে ওই চিকিৎসকের পরিবার দাবি করেছে, কর্মক্ষেত্রে এক মাসে ২০৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়েছিল তাকাশিমা শিঙ্গোকে। আর এ কারণেই আত্মহত্যা করেন তিনি। জাপানে অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের জন্য আবেদনও করেছে ওই যুবকের পরিবার।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

তাকাশিমা শিঙ্গো কোবে শহরের কোনান মেডিকেল সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু গত বছরের মে মাসে তিনি আত্মহত্যা করেন। জাপানের এনএইচকে টেলিভিশন চ্যানেল এমনটাই জানিয়েছে। এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবারের আইনজীবীর মতে শিঙ্কো তাঁর মৃত্যুর আগের মাসে ২০৭ ঘণ্টার বেশি ওভারটাইম করেছিলেন এবং তিন মাস ধরে এক দিনও ছুটি কাটাননি। 

সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকের মা জুঙ্কো তাকাশিমা বলেন, আত্মহত্যার আগে কর্মক্ষেত্রে কঠিন সময় পার করতে হয়েছিল তাঁর ছেলেকে। এমনকি সহকর্মীরা শিঙ্কোকে খুব একটা সহায়তা করতেন না। তিনি আরও বলেন, ‘ছেলে আমাকে বলেছিল, “কেউ আমার কষ্টটা দেখে না।” আমি মনে করি, কাজের কঠিন পরিবেশই ধীরে ধীরে আমার ছেলেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়েছে।’ 

জুঙ্কো তাকাশিমা বলেন, ‘আমার ছেলে একজন ভালো চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। সে আর তা হতে পারবে না। আর কোনো দিন রোগীদের জীবন বাঁচাতে, সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে না। আমি চাই না, আর কারও বুক খালি হোক। আশা করছি, জাপানে চিকিৎসকদের জন্য কাজের পরিবেশ উন্নত করা হবে, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।’ 

কোনান মেডিকেল সেন্টার গত সপ্তাহে একটি সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হাসপাতালটির একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাড়তি সময় কাজ করার জন্য তাকাশিমা শিঙ্গো আত্মহত্যা করেনি বলে আমাদের ধারণা।’ এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতেও নারাজ। তবে হাসপাতালটি দায় এড়াতে পারবে না। কারণ, গত জুনে জাপানের সরকারি শ্রম পরিদর্শন কর্তৃপক্ষ তদন্তে শিঙ্গোর আত্মহত্যার সঙ্গে অতিরিক্ত কাজ করার সম্পর্ক খুঁজে পায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত