এএফপি, বেইজিং
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থিতিশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। এ জন্য মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর দেশ। চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গতকাল সোমবার। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বার্তা বিনিময়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার এই আগ্রহের কথা জানান সি।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি বলছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীল, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই উন্নয়নে দুই পক্ষেরই বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি চিনপিং জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি চীন-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এবং দুই দেশের জনগণেরই উপকার হবে। এ ছাড়া বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। এর আগে গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোয় জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন সি চিনপিং। ওই সময় দ্বিপক্ষীয় প্রতিযোগিতা যাতে সংঘাতে রূপ না পায়, সে জন্য যোগাযোগের মাধ্যম চালু রাখার কথা বলেন দুই নেতা।
এদিকে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র কণ্টকাকীর্ণ সম্পর্ক মসৃণ করতে বিদায়ী বছরের শেষ দিকে বেশ চেষ্টা হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও বৈরী দুই দেশের সম্পর্ক মধুর হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হিসেবেই দেখছেন চীনা বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা থেকে ওয়াশিংটন আগামী বছর পিছু হটবে তেমনটা ভাবার কারণ নেই।
চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইদং বলেন, ‘ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্য প্রথাগত যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিকতা ও বিভাজিত বিশ্ব ব্যবস্থারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে। চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক নীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে কেবল নিজের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়, তা ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যে সুস্পষ্ট।’
লি হাইদং আরও বলেন, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বিশ্বজুড়ে প্রাধান্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিযোগীদের (যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার) বাইরে রাখার চেষ্টা করছে।’
লি হাইদংয়ের মতে, বিশ্বব্যবস্থা বজায় রাখতে এ ধরনের সেকেলে স্নায়ুযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপট বিশ্বে কেবল বিভাজন ও অস্থিরতাই ডেকে আনবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র তার কিছু সমর্থকও পেয়ে গেছে। তবে বিশ্লেষকেরা বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য সমর্থক পাওয়ার পরিবর্তে মার্কিন চাপের বিপরীতে নতি স্বীকার করার ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করছেন।
লি হাইদংয়ের মতে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে যে সফল পরিকল্পনা করেছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে গলদ রয়েছে এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে সমর্থক দেশগুলো কি চায় তাও সঠিকভাবে ধরতে পারছে বলে মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘এই পথটি মার্কিন জনগণ যা চায় তার বিপরীত। কারণ চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন জোটের সংঘর্ষ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আরও একটি সংকট সৃষ্টি করবে, যা দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবিলার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের যোগাযোগের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ দেখাচ্ছে। এর ফলে, বিশ্বও যেন অনেকটা হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে। কারণ, বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির সংঘাত থেমে যাওয়া যেকোনো অর্থেই বিশ্বের জন্য স্বস্তিদায়ক।
তারপরও ২০২৪ সালে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বন্ধুর থাকবে। এর মূল কারণ হবে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ও প্ররোচনায় চীনকে উসকে দেওয়া অব্যাহত থাকবে। লি হাইদংয়ের মতে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এই বিষয়টিতে আরও অনিশ্চয়তা যোগ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থিতিশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। এ জন্য মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর দেশ। চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গতকাল সোমবার। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বার্তা বিনিময়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার এই আগ্রহের কথা জানান সি।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি বলছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীল, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই উন্নয়নে দুই পক্ষেরই বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি চিনপিং জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি চীন-মার্কিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এবং দুই দেশের জনগণেরই উপকার হবে। এ ছাড়া বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। এর আগে গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোয় জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন সি চিনপিং। ওই সময় দ্বিপক্ষীয় প্রতিযোগিতা যাতে সংঘাতে রূপ না পায়, সে জন্য যোগাযোগের মাধ্যম চালু রাখার কথা বলেন দুই নেতা।
এদিকে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র কণ্টকাকীর্ণ সম্পর্ক মসৃণ করতে বিদায়ী বছরের শেষ দিকে বেশ চেষ্টা হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও বৈরী দুই দেশের সম্পর্ক মধুর হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হিসেবেই দেখছেন চীনা বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা ধরে রাখার চেষ্টা থেকে ওয়াশিংটন আগামী বছর পিছু হটবে তেমনটা ভাবার কারণ নেই।
চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইদং বলেন, ‘ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্য প্রথাগত যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিকতা ও বিভাজিত বিশ্ব ব্যবস্থারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে। চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক নীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যে কেবল নিজের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়, তা ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যে সুস্পষ্ট।’
লি হাইদং আরও বলেন, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বিশ্বজুড়ে প্রাধান্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিযোগীদের (যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার) বাইরে রাখার চেষ্টা করছে।’
লি হাইদংয়ের মতে, বিশ্বব্যবস্থা বজায় রাখতে এ ধরনের সেকেলে স্নায়ুযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপট বিশ্বে কেবল বিভাজন ও অস্থিরতাই ডেকে আনবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র তার কিছু সমর্থকও পেয়ে গেছে। তবে বিশ্লেষকেরা বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য সমর্থক পাওয়ার পরিবর্তে মার্কিন চাপের বিপরীতে নতি স্বীকার করার ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করছেন।
লি হাইদংয়ের মতে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে যে সফল পরিকল্পনা করেছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে গলদ রয়েছে এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে সমর্থক দেশগুলো কি চায় তাও সঠিকভাবে ধরতে পারছে বলে মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘এই পথটি মার্কিন জনগণ যা চায় তার বিপরীত। কারণ চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন জোটের সংঘর্ষ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে আরও একটি সংকট সৃষ্টি করবে, যা দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবিলার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের যোগাযোগের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল হওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ দেখাচ্ছে। এর ফলে, বিশ্বও যেন অনেকটা হাফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ পেয়েছে। কারণ, বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির সংঘাত থেমে যাওয়া যেকোনো অর্থেই বিশ্বের জন্য স্বস্তিদায়ক।
তারপরও ২০২৪ সালে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বন্ধুর থাকবে। এর মূল কারণ হবে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ও প্ররোচনায় চীনকে উসকে দেওয়া অব্যাহত থাকবে। লি হাইদংয়ের মতে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এই বিষয়টিতে আরও অনিশ্চয়তা যোগ করবে।
ভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
১১ মিনিট আগেইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া জানাল, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে তাদের সেনারা। অবশ্য রাশিয়ার গ্রাম দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ।
২৯ মিনিট আগেট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরপরই যৌন কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হলো ম্যাট গেটজকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পুরোনো মিত্র পাম বন্ডিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগেকংগ্রেস ভবনের সব শৌচাগার, পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ, লকার রুমগুলো নারী–পুরুষ অনুযায়ী ভাগ করা আছে। নারীদের জন্য নির্ধারিত পরিসরে শুধু নারীদের অধিকার থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন লুইজিয়ানার এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি।
৩ ঘণ্টা আগে