
বিগত কয়েক বছর ধরেই চীনের জনসংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। দেশটির সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারছে না। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কাসহ নানা কারণে চীনা সমাজে বিয়ের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ ক্রমেই কমছে। বিপরীতে আগ্রহ বাড়ছে প্রেমে।
চীনের জনসংখ্যা সমস্যা এতটাই প্রকট যে, একসময়কার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি বর্তমানে শীর্ষ জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) আজ জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কম। এনবিএসের তথ্যমতে, গত বছর চীনে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার জনের।
শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল, যা গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড নামে পরিচিত বিপর্যয়কর মাও সেতুং কৃষিনীতির কারণে সৃষ্ট হয়েছিল। এরপর অবশ্য বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যার কারণে ১৯৮০ সালে চীন তার কঠোর নীতি ‘এক সন্তান নীতি’ আরোপ করেছিল।
পরে অবশ্য ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে চীন। ২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয় চীন সরকার। কিন্তু চীনের এই পদক্ষেপ কাজে আসেনি করোনার কারণে। করোনার কারণে সবার জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তখন বেশির ভাগ মানুষই সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু জন্মহার কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই সংখ্যাটাও ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছর দেশটিতে জন্মহার ছিল মাত্র ১ দশমিক ১৬।
তবে কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণ-তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৬৮ লাখে।
চীনা তরুণ-তরুণীরা মনে করেন, তাঁদের আধুনিক জীবনপ্রণালির সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি খাপ খায় না। এ বিষয়ে সাংহাইয়ের ২৬ বছর বয়সী তরুণ ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ইউ ঝাং আল-জাজিরাকে বলেন, ‘চীনে এখন বিয়ে করা মানে হলো একপ্রকার মরে যাওয়া।’
ঝাং দুই বছর ধরে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে ডেটিং করছেন। তাঁরা একাধিকবার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি, বরং উপসংহার টেনেছেন এভাবে—‘বিয়ের চিন্তা আমাদের সুখী করার চেয়ে মানসিকভাবে অসুখী করে তোলে।’
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়নিজ অ্যান্ড এশিয়া স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার প্যান ওয়াংয়ের মতে, ‘চীনা সমাজে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়ার সঙ্গে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।’ তাঁর মতে, বিয়ে বর্তমান চীনা সমাজে অনেকগুলো জীবনধারার একটি।
তবে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনা বিশেষ করে বিয়ের আগ্রহ কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে প্রেম-ডেটিংয়ের আগ্রহ বেড়েছে ব্যাপক। ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষক মু ঝেং এ বিষয়ে বলেন, চীনে ডেটিং আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে এবং তরুণ-তরুণীরা বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজে বের করার চেয়ে অন্যান্য কারণেই ডেট করে বেশি।
মু ঝেংয়ের মতে, ডেটিং অফলাইন বা অনলাইনে শুরু হতে পারে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপস বা ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও হতে পারে। বিষয়টি আজকাল খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। ফলে তরুণ-তরুণীদের এতে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘চীনে বর্তমানে ডেটিং একটি স্বপ্রণোদিত এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চীনের গুয়াংজু প্রদেশের তরুণী জেসিকা ফু। তিনি আল-জাজিরাকে জানান, তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়রা তাঁকে বিয়ে করার জন্য সঙ্গী খুঁজে পেতে চাপ দিচ্ছিলেন। তবে তিনি সেই চাপ দূরে সরিয়ে প্রেম ও ডেটিংয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমাকে বুঝিয়েছি যে, বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই। তার পরিবর্তে ডেটিং করা এবং অন্য কারও সঙ্গে উপভোগ করা অনেক বেশি আনন্দের।’
জেসিকা ফু বলেন, বিয়ের চাপ সরানোর জন্য এটি একটি দারুণ উপায়। বিষয়টি উপভোগ করার জন্য আমি ডেটিংয়ে মনোনিবেশ করেছি। তবে এখন আবার তিনি ডেটিং থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছেন।

বিগত কয়েক বছর ধরেই চীনের জনসংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। দেশটির সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারছে না। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কাসহ নানা কারণে চীনা সমাজে বিয়ের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ ক্রমেই কমছে। বিপরীতে আগ্রহ বাড়ছে প্রেমে।
চীনের জনসংখ্যা সমস্যা এতটাই প্রকট যে, একসময়কার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি বর্তমানে শীর্ষ জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) আজ জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কম। এনবিএসের তথ্যমতে, গত বছর চীনে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার জনের।
শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল, যা গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড নামে পরিচিত বিপর্যয়কর মাও সেতুং কৃষিনীতির কারণে সৃষ্ট হয়েছিল। এরপর অবশ্য বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যার কারণে ১৯৮০ সালে চীন তার কঠোর নীতি ‘এক সন্তান নীতি’ আরোপ করেছিল।
পরে অবশ্য ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে চীন। ২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয় চীন সরকার। কিন্তু চীনের এই পদক্ষেপ কাজে আসেনি করোনার কারণে। করোনার কারণে সবার জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তখন বেশির ভাগ মানুষই সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু জন্মহার কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই সংখ্যাটাও ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছর দেশটিতে জন্মহার ছিল মাত্র ১ দশমিক ১৬।
তবে কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণ-তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৬৮ লাখে।
চীনা তরুণ-তরুণীরা মনে করেন, তাঁদের আধুনিক জীবনপ্রণালির সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি খাপ খায় না। এ বিষয়ে সাংহাইয়ের ২৬ বছর বয়সী তরুণ ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ইউ ঝাং আল-জাজিরাকে বলেন, ‘চীনে এখন বিয়ে করা মানে হলো একপ্রকার মরে যাওয়া।’
ঝাং দুই বছর ধরে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে ডেটিং করছেন। তাঁরা একাধিকবার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি, বরং উপসংহার টেনেছেন এভাবে—‘বিয়ের চিন্তা আমাদের সুখী করার চেয়ে মানসিকভাবে অসুখী করে তোলে।’
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়নিজ অ্যান্ড এশিয়া স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার প্যান ওয়াংয়ের মতে, ‘চীনা সমাজে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়ার সঙ্গে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।’ তাঁর মতে, বিয়ে বর্তমান চীনা সমাজে অনেকগুলো জীবনধারার একটি।
তবে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনা বিশেষ করে বিয়ের আগ্রহ কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে প্রেম-ডেটিংয়ের আগ্রহ বেড়েছে ব্যাপক। ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষক মু ঝেং এ বিষয়ে বলেন, চীনে ডেটিং আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে এবং তরুণ-তরুণীরা বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজে বের করার চেয়ে অন্যান্য কারণেই ডেট করে বেশি।
মু ঝেংয়ের মতে, ডেটিং অফলাইন বা অনলাইনে শুরু হতে পারে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপস বা ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও হতে পারে। বিষয়টি আজকাল খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। ফলে তরুণ-তরুণীদের এতে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘চীনে বর্তমানে ডেটিং একটি স্বপ্রণোদিত এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চীনের গুয়াংজু প্রদেশের তরুণী জেসিকা ফু। তিনি আল-জাজিরাকে জানান, তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়রা তাঁকে বিয়ে করার জন্য সঙ্গী খুঁজে পেতে চাপ দিচ্ছিলেন। তবে তিনি সেই চাপ দূরে সরিয়ে প্রেম ও ডেটিংয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমাকে বুঝিয়েছি যে, বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই। তার পরিবর্তে ডেটিং করা এবং অন্য কারও সঙ্গে উপভোগ করা অনেক বেশি আনন্দের।’
জেসিকা ফু বলেন, বিয়ের চাপ সরানোর জন্য এটি একটি দারুণ উপায়। বিষয়টি উপভোগ করার জন্য আমি ডেটিংয়ে মনোনিবেশ করেছি। তবে এখন আবার তিনি ডেটিং থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছেন।

বিগত কয়েক বছর ধরেই চীনের জনসংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। দেশটির সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারছে না। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কাসহ নানা কারণে চীনা সমাজে বিয়ের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ ক্রমেই কমছে। বিপরীতে আগ্রহ বাড়ছে প্রেমে।
চীনের জনসংখ্যা সমস্যা এতটাই প্রকট যে, একসময়কার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি বর্তমানে শীর্ষ জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) আজ জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কম। এনবিএসের তথ্যমতে, গত বছর চীনে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার জনের।
শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল, যা গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড নামে পরিচিত বিপর্যয়কর মাও সেতুং কৃষিনীতির কারণে সৃষ্ট হয়েছিল। এরপর অবশ্য বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যার কারণে ১৯৮০ সালে চীন তার কঠোর নীতি ‘এক সন্তান নীতি’ আরোপ করেছিল।
পরে অবশ্য ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে চীন। ২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয় চীন সরকার। কিন্তু চীনের এই পদক্ষেপ কাজে আসেনি করোনার কারণে। করোনার কারণে সবার জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তখন বেশির ভাগ মানুষই সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু জন্মহার কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই সংখ্যাটাও ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছর দেশটিতে জন্মহার ছিল মাত্র ১ দশমিক ১৬।
তবে কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণ-তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৬৮ লাখে।
চীনা তরুণ-তরুণীরা মনে করেন, তাঁদের আধুনিক জীবনপ্রণালির সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি খাপ খায় না। এ বিষয়ে সাংহাইয়ের ২৬ বছর বয়সী তরুণ ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ইউ ঝাং আল-জাজিরাকে বলেন, ‘চীনে এখন বিয়ে করা মানে হলো একপ্রকার মরে যাওয়া।’
ঝাং দুই বছর ধরে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে ডেটিং করছেন। তাঁরা একাধিকবার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি, বরং উপসংহার টেনেছেন এভাবে—‘বিয়ের চিন্তা আমাদের সুখী করার চেয়ে মানসিকভাবে অসুখী করে তোলে।’
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়নিজ অ্যান্ড এশিয়া স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার প্যান ওয়াংয়ের মতে, ‘চীনা সমাজে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়ার সঙ্গে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।’ তাঁর মতে, বিয়ে বর্তমান চীনা সমাজে অনেকগুলো জীবনধারার একটি।
তবে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনা বিশেষ করে বিয়ের আগ্রহ কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে প্রেম-ডেটিংয়ের আগ্রহ বেড়েছে ব্যাপক। ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষক মু ঝেং এ বিষয়ে বলেন, চীনে ডেটিং আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে এবং তরুণ-তরুণীরা বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজে বের করার চেয়ে অন্যান্য কারণেই ডেট করে বেশি।
মু ঝেংয়ের মতে, ডেটিং অফলাইন বা অনলাইনে শুরু হতে পারে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপস বা ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও হতে পারে। বিষয়টি আজকাল খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। ফলে তরুণ-তরুণীদের এতে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘চীনে বর্তমানে ডেটিং একটি স্বপ্রণোদিত এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চীনের গুয়াংজু প্রদেশের তরুণী জেসিকা ফু। তিনি আল-জাজিরাকে জানান, তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়রা তাঁকে বিয়ে করার জন্য সঙ্গী খুঁজে পেতে চাপ দিচ্ছিলেন। তবে তিনি সেই চাপ দূরে সরিয়ে প্রেম ও ডেটিংয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমাকে বুঝিয়েছি যে, বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই। তার পরিবর্তে ডেটিং করা এবং অন্য কারও সঙ্গে উপভোগ করা অনেক বেশি আনন্দের।’
জেসিকা ফু বলেন, বিয়ের চাপ সরানোর জন্য এটি একটি দারুণ উপায়। বিষয়টি উপভোগ করার জন্য আমি ডেটিংয়ে মনোনিবেশ করেছি। তবে এখন আবার তিনি ডেটিং থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছেন।

বিগত কয়েক বছর ধরেই চীনের জনসংখ্যা ক্রমাগত কমেছে। দেশটির সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েও বিষয়টির মোকাবিলা করতে পারছে না। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কাসহ নানা কারণে চীনা সমাজে বিয়ের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ ক্রমেই কমছে। বিপরীতে আগ্রহ বাড়ছে প্রেমে।
চীনের জনসংখ্যা সমস্যা এতটাই প্রকট যে, একসময়কার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি বর্তমানে শীর্ষ জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) আজ জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কম। এনবিএসের তথ্যমতে, গত বছর চীনে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার জনের।
শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল, যা গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ড নামে পরিচিত বিপর্যয়কর মাও সেতুং কৃষিনীতির কারণে সৃষ্ট হয়েছিল। এরপর অবশ্য বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যার কারণে ১৯৮০ সালে চীন তার কঠোর নীতি ‘এক সন্তান নীতি’ আরোপ করেছিল।
পরে অবশ্য ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে চীন। ২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয় চীন সরকার। কিন্তু চীনের এই পদক্ষেপ কাজে আসেনি করোনার কারণে। করোনার কারণে সবার জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। তখন বেশির ভাগ মানুষই সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিশু জন্মহার কমছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই সংখ্যাটাও ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বছর দেশটিতে জন্মহার ছিল মাত্র ১ দশমিক ১৬।
তবে কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণ-তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৬৮ লাখে।
চীনা তরুণ-তরুণীরা মনে করেন, তাঁদের আধুনিক জীবনপ্রণালির সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি খাপ খায় না। এ বিষয়ে সাংহাইয়ের ২৬ বছর বয়সী তরুণ ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ইউ ঝাং আল-জাজিরাকে বলেন, ‘চীনে এখন বিয়ে করা মানে হলো একপ্রকার মরে যাওয়া।’
ঝাং দুই বছর ধরে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে ডেটিং করছেন। তাঁরা একাধিকবার বিয়ের বিষয়টি নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি, বরং উপসংহার টেনেছেন এভাবে—‘বিয়ের চিন্তা আমাদের সুখী করার চেয়ে মানসিকভাবে অসুখী করে তোলে।’
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়নিজ অ্যান্ড এশিয়া স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার প্যান ওয়াংয়ের মতে, ‘চীনা সমাজে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়ার সঙ্গে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।’ তাঁর মতে, বিয়ে বর্তমান চীনা সমাজে অনেকগুলো জীবনধারার একটি।
তবে বিয়েবিষয়ক চিন্তাভাবনা বিশেষ করে বিয়ের আগ্রহ কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে প্রেম-ডেটিংয়ের আগ্রহ বেড়েছে ব্যাপক। ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষক মু ঝেং এ বিষয়ে বলেন, চীনে ডেটিং আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে এবং তরুণ-তরুণীরা বিয়ের জন্য সঙ্গী খুঁজে বের করার চেয়ে অন্যান্য কারণেই ডেট করে বেশি।
মু ঝেংয়ের মতে, ডেটিং অফলাইন বা অনলাইনে শুরু হতে পারে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপস বা ম্যাচমেকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও হতে পারে। বিষয়টি আজকাল খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। ফলে তরুণ-তরুণীদের এতে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘চীনে বর্তমানে ডেটিং একটি স্বপ্রণোদিত এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চীনের গুয়াংজু প্রদেশের তরুণী জেসিকা ফু। তিনি আল-জাজিরাকে জানান, তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়রা তাঁকে বিয়ে করার জন্য সঙ্গী খুঁজে পেতে চাপ দিচ্ছিলেন। তবে তিনি সেই চাপ দূরে সরিয়ে প্রেম ও ডেটিংয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমাকে বুঝিয়েছি যে, বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই। তার পরিবর্তে ডেটিং করা এবং অন্য কারও সঙ্গে উপভোগ করা অনেক বেশি আনন্দের।’
জেসিকা ফু বলেন, বিয়ের চাপ সরানোর জন্য এটি একটি দারুণ উপায়। বিষয়টি উপভোগ করার জন্য আমি ডেটিংয়ে মনোনিবেশ করেছি। তবে এখন আবার তিনি ডেটিং থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিয়েছেন।

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা এসে নেমে মাত্র ৬৮
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা এসে নেমে মাত্র ৬৮
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা এসে নেমে মাত্র ৬৮
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

কোভিডের ধাক্কা, চীনের অর্থনৈতিক সংকট, আধুনিক সমাজব্যবস্থা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে চীনা তরুণদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। ২০১৩ সালে যেখানে দেশটি ১ কোটি ৩৫ লাখ বিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছিল, ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা এসে নেমে মাত্র ৬৮
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগে