অনলাইন ডেস্ক
চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, চীনে এ রকম মানুষের সংখ্যা অসংখ্য। দেশটিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নতুন করে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে না। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন চীন জন্মহার বাড়াতে উঠেপরে লেগেছে।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই নভেম্বরেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
৩৯ বছর বয়সী তাং হুয়াজুন বলেছেন, তাঁর অনেক বিবাহিত বন্ধুর একটি মাত্র সন্তান। তাঁরা আর সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনাও করছে না। এমনকি অবিবাহিত চীনা তরুণ-তরুণীরা বিয়ে করতেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে জন্মহার কমে গেছে।
চীনে শিশু লালনপালনের খরচ অনেক বেশি। সন্তান গ্রহণ না করার এটিও একটি কারণ। তা ছড়া চীনে এখন বেশির ভাগ পরিবার স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না। চাকরি বা কাজকর্মের প্রয়োজনে অহরহ স্থান বদল করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান লালনপালনের জন্য দাদা-দাদির ওপরেও নির্ভর করতে পারে না দম্পতিরা।
তাং হুয়াজুন আরও বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই দেরিতে বিয়ে করি। আর দেরিতে বিয়ে করার কারণে অনেক মেয়ের পক্ষেই গর্ভধারণে জটিলতা দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি দেরিতে বিয়ে করা চীনের জন্মহারের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে এক সন্তাননীতি প্রয়োগ করেছিল। এখন জাতিসংঘ আশা করছে, আগামী বছর থেকে চীনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। আর ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চীনের জন্মহার ছিল ১ দশমিক ১৬। কিন্তু একটি দেশের স্থিতিশীল জনসংখ্যার জন্য জন্মহার ২ দশমিক ১ থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে চীনের জন্মহার এখন পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন।
জনসংখ্যাবিদেরা বলেছেন, চীনে নতুন শিশুর জন্মহার এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে। গত বছর ছিল ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন। সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন কমে গেছে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
চীন সরকার গত বছর থেকে নাগরিকদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিতে শুরু করেছে। সরকার বলেছে, একটি উপযুক্ত জন্মহার অর্জনের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চীনে এখন ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় ১৩ শতাংশ। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের অধ্যাপক শেন জিয়ানফা বলেছেন, ‘আরও কয়েক বছর ধরে চীনে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। এটি একটি সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলায় চীনকে এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
চীন এখন এই বয়স্ক জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশটির সরকার চেষ্টা করছে বিবাহিত দম্পতিদের নানাভাবে সন্তান গ্রহণে উৎসাহী করতে। এ জন্য দম্পতিদের কর মওকুফ, নগদ অর্থ প্রণোদনা, মাতৃত্বকালীন ছুটির সহজলভ্যতা, আবাসন ভর্তুকি ইত্যাদি নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে চীন সরকারের এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জনসংখ্যাবিদরা। তারা জন্মহার না বাড়ার পেছনে উচ্চশিক্ষার উচ্চ ব্যয়, কর্মক্ষেত্রে কম মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, করোনা মহামারি ও বর্তমান অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থাকেও দায়ী করেছেন।
হংকংয়ের ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক স্টুয়ার্ট গিটেল বাস্টেন বলেছেন, ‘তরুণদের কাছে কর্মসংস্থান একটি প্রধান বিষয়। এ ব্যাপারে সরকারকে গভীরভাবে নজর দেওয়া উচিত। আপনি কেন আরও সন্তান নেবেন, যখন আপনার কোনো চাকরির নিশ্চয়তাই নেই?’
চীনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন তাং হুয়াজুন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাস করেন বেইজিংয়ের উপকণ্ঠে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। তাঁর দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাং দম্পতির। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, চীনে এ রকম মানুষের সংখ্যা অসংখ্য। দেশটিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নতুন করে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে না। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন চীন জন্মহার বাড়াতে উঠেপরে লেগেছে।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই নভেম্বরেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
৩৯ বছর বয়সী তাং হুয়াজুন বলেছেন, তাঁর অনেক বিবাহিত বন্ধুর একটি মাত্র সন্তান। তাঁরা আর সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনাও করছে না। এমনকি অবিবাহিত চীনা তরুণ-তরুণীরা বিয়ে করতেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে জন্মহার কমে গেছে।
চীনে শিশু লালনপালনের খরচ অনেক বেশি। সন্তান গ্রহণ না করার এটিও একটি কারণ। তা ছড়া চীনে এখন বেশির ভাগ পরিবার স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না। চাকরি বা কাজকর্মের প্রয়োজনে অহরহ স্থান বদল করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান লালনপালনের জন্য দাদা-দাদির ওপরেও নির্ভর করতে পারে না দম্পতিরা।
তাং হুয়াজুন আরও বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই দেরিতে বিয়ে করি। আর দেরিতে বিয়ে করার কারণে অনেক মেয়ের পক্ষেই গর্ভধারণে জটিলতা দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি দেরিতে বিয়ে করা চীনের জন্মহারের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে এক সন্তাননীতি প্রয়োগ করেছিল। এখন জাতিসংঘ আশা করছে, আগামী বছর থেকে চীনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। আর ভারত হয়ে উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চীনের জন্মহার ছিল ১ দশমিক ১৬। কিন্তু একটি দেশের স্থিতিশীল জনসংখ্যার জন্য জন্মহার ২ দশমিক ১ থাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে চীনের জন্মহার এখন পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন।
জনসংখ্যাবিদেরা বলেছেন, চীনে নতুন শিশুর জন্মহার এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে। গত বছর ছিল ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন। সেখান থেকে ১০ মিলিয়ন কমে গেছে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
চীন সরকার গত বছর থেকে নাগরিকদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিতে শুরু করেছে। সরকার বলেছে, একটি উপযুক্ত জন্মহার অর্জনের দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চীনে এখন ৬৫ বছর বয়সী জনসংখ্যার অনুপাত প্রায় ১৩ শতাংশ। এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের অধ্যাপক শেন জিয়ানফা বলেছেন, ‘আরও কয়েক বছর ধরে চীনে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। এটি একটি সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলায় চীনকে এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
চীন এখন এই বয়স্ক জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশটির সরকার চেষ্টা করছে বিবাহিত দম্পতিদের নানাভাবে সন্তান গ্রহণে উৎসাহী করতে। এ জন্য দম্পতিদের কর মওকুফ, নগদ অর্থ প্রণোদনা, মাতৃত্বকালীন ছুটির সহজলভ্যতা, আবাসন ভর্তুকি ইত্যাদি নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে চীন সরকারের এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জনসংখ্যাবিদরা। তারা জন্মহার না বাড়ার পেছনে উচ্চশিক্ষার উচ্চ ব্যয়, কর্মক্ষেত্রে কম মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, করোনা মহামারি ও বর্তমান অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থাকেও দায়ী করেছেন।
হংকংয়ের ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক স্টুয়ার্ট গিটেল বাস্টেন বলেছেন, ‘তরুণদের কাছে কর্মসংস্থান একটি প্রধান বিষয়। এ ব্যাপারে সরকারকে গভীরভাবে নজর দেওয়া উচিত। আপনি কেন আরও সন্তান নেবেন, যখন আপনার কোনো চাকরির নিশ্চয়তাই নেই?’
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৯ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
১০ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
১১ ঘণ্টা আগে