অনলাইন ডেস্ক
শিভাউন র্যাফ ও তাঁর স্বামী অ্যাডাম ২০০৬ সালের জুনে ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে শপিং কম্পারিজন ওয়েবসাইট ‘ফাউন্ডেম’ চালু করেন। শুরুতে ঢাক গুড়গুড় করে চলছিল তাঁদের নতুন ওয়েব সাইট। কিছুদিন পর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সেরা শপিং কম্পারিজন ওয়েবসাইটে পরিণত হয়।
তবে হঠাৎ করেই তাঁদের সাইট ধীর গতির হয়ে পড়ে ও গুগল সার্চের ফলাফলে তাঁদের সাইট অনেক নিচে আসতে থাকে। এ নিয়ে তাঁরা গুগলের কাছে অভিযোগ করেন। তবে গুগল তাঁদের থোড়াই কেয়ার করে, একপর্যায়ে গিয়ে গুগলের সঙ্গেই তাঁদের বাঁধে দ্বন্দ্ব। শেষমেশ এই দম্পতি মামলায় জিতলে গুগলকে গুনতে হয় ২৪০ কোটি ইউরো।
তবে কি এমন অপরাধে এই টেক জায়ান্টকে এত বড় জরিমানা দিতে হয়?
ওয়েব সাইট চালু করার পর ২০০৮ সালে ক্রিসমাসের তিন সপ্তাহ আগে তাঁদের ওয়েবসাইট হঠাৎ ধীর গতির হয়ে যায়। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন কোনো সাইবার আক্রমণ, কিন্তু আদতে তা ছিল না। অ্যাডাম হাসতে হাসতে বলেন, ‘আসলে অনেক বেশি ব্যবহারকারী ওয়েবসাইট ভিজিট করতে শুরু করেছিল।’
কিন্তু এটি সহ্য হয়নি গুগলের। নিজস্ব শপিং কম্পারিজন সার্ভিস ব্যবহার করে বাজারে আধিপত্য বিস্তারের জন্য গুগলের স্বয়ংক্রিয় স্প্যাম ফিল্টার ফাউন্ডেম ওয়েবসাইটকে সার্চ ফলাফলের নিচের দিকে ঠেলে দেয়। এটি এমনভাবে সাইটটির অবস্থান নিচে নামিয়ে দেয় যে সাধারণ ব্যবহারকারীরা তাঁদের সাইট খুঁজে পায় না।
ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পণ্যের তুলনামূলক তালিকা থেকে অন্য সাইটে প্রবেশ করলে ক্লিক থেকে আয় করত ফাউন্ডেম। তবে গুগলের স্প্যাম ফিল্টারের কারণে তাঁদের আয়ে ভাটা পড়ে। অ্যাডাম বলেন, ‘যখন আপনি ট্রাফিক (ব্যবহারকারী) হারান, তখন আপনার ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যায়। আমাদেরও তাই হয়েছিল।’
শিভাউন ও অ্যাডাম প্রথমে কল্পনাই করতে পারেননি গুগল এমন কিছু করতে পারে। শিভাউন বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটি যান্ত্রিক ত্রুটি ও দ্রুত সমাধান সম্ভব।’ দম্পতিটি গুগলের কাছে বারবার এর সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। তবে দুই বছরেও কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি গুগল, তখন তাঁদের সন্দেহ আরও গভীর হয়।
এরই মধ্যে দম্পতিটি খেয়াল করেন, অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে তাঁদের ওয়েবসাইট ঠিকঠাকভাবে সামনে আসছিল, শুধু গুগল সার্চেই তাঁরা অনেক নিচে। তখন তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের মতো আরও অনেক কোম্পানি গুগলের এই সুষম প্রতিযোগিতা বিরোধী আচরণের শিকার হয়েছে।
এরপর ২০০৮ সালে অ্যাডাম নিশ্চিত হন, গুগল প্রতিযোগিতার মাঠ থেকে তাদের সরাতে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটকে নিচের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ওই বছর যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফাইভের ‘দ্য গ্যাজেট শো’তে ফাউন্ডেমকে যুক্তরাজ্যের সেরা পণ্যর মূল্য তুলনা ওয়েবসাইট ঘোষণা করা হয়। এরপর গুগল সার্চে সাইটটির ট্রাফিক আরও কমে যায়।
শিভাউন বলেন, ‘আমরা তখন গুগলকে বলেছিলাম, আমাদের ওয়েবসাইট তলানিতে চলে যাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য মোটেই সহায়ক নয়। কিন্তু গুগলের কাছ থেকে তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া আসেনি।’
এরপর ২০০৯ সালে ফাউন্ডেমের প্রতিষ্ঠাতা দম্পতি বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ করতে শুরু করেন এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। ইউরোপীয় কমিশন ২০১০ সালে মামলা আমলে নিয়ে গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে ২০১৭ সালে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গুগলকে ২৪০ কোটি ইউরো জরিমানা করা হয়, যা প্রযুক্তি বিশ্বে সাড়া ফেলে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিযোগিতা বিষয়ক প্রধান মার্গারেথ ভেস্টাগার এই রায় দেন। রায়ে গুগল ও তাঁর মাদার প্রতিষ্ঠান আলফাবেটকে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ ও ইউরোপীয় কমিশনের মামলাসংক্রান্ত খরচ পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়ে। এই রায়ের পর প্রায় ২০টি সংস্থা দাবি করেছে, তাঁরাও গুগলের প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে কেলকু, ট্রিভাগো ও ইয়েল্পের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান।
তবে গুগল তখন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। গুগলের দাবি ছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাদের শপিং পরিষেবাগুলো যেভাবে দেখানো হতো, সেটি তাঁরা এরই মধ্যে সংশোধন করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় বিচারিক আদালত গুগলের আপিল খারিজ করে দেয় এবং ফাউন্ডেমের পক্ষে রায় ঘোষণা করে।
দম্পতিটি বিশ্বাস করেন, গুগলের সার্চ অ্যালগরিদম এখনো প্রতিযোগিতাবিরোধী রয়ে গেছে এবং ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে তদন্ত করছে। চলতি বছরের মার্চ ইসি নতুন ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের অধীনে গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা গুগল সার্চ রেজাল্টে এখনো নিজস্ব পণ্য ও সেবা অগ্রাধিকার দিচ্ছে কিনা—তা খতিয়ে দেখছে।
এ বিষয়ে গুগলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘২০২৪ সালের আপিলি রায়ে ইউরোপীয় বিচারিক আদালতের (সিজেইইউ) শুধুমাত্র ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আমাদের পণ্য সার্চের ফলাফল বিবেচনা করেছে। অথচ ২০১৭ সালে ইউরোপীয় কমিশনের শপিং সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত মেনে আমরা অ্যালগরিদমে পরিবর্তন এনেছি। গত সাত বছর ধরে সেটি সফলভাবে কাজ করে আসছে, যা ৮০০-রও বেশি ‘কমপারিজন শপিং সাইটে’ কোটি কোটি ক্লিক এনে দিয়েছে। এ কারণেই আমরা ফাউন্ডেমের আনা দাবির বিরুদ্ধে জোরালোভাবে বিরোধিতা করছি এবং এটি অব্যাহত রাখব।’
যে কারণে গুগলকে ২৪০ কোটি ইউরো জরিমানা করলেন ইউরোপের আদালত
দম্পতিটি গুগলের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ক্ষতিপূরণের দাবিতে আরেকটি মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে শুরু হওয়ার কথা। তবে এই মামলায় চূড়ান্ত বিজয় এলেও তা তাঁদের জন্য হয়তো বড় ধরনের সাফল্য হবে না—কারণ ২০১৬ সালেই তাঁরা ফাউন্ডেম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এই মামলা তাঁদের জন্য এটি এক কঠিন লড়াই। দীর্ঘদিন কোর্ট-কাছারি ঘুরে এখন ক্লান্ত অ্যাডাম। তিনি ক্লান্তির স্বরে বলেন, ‘যদি আমরা জানতাম যে, এত দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলবে, তাহলে হয়তো আমরা এই আইনি লড়াইয়ে যেতাম না।’
শিভাউন র্যাফ ও তাঁর স্বামী অ্যাডাম ২০০৬ সালের জুনে ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে শপিং কম্পারিজন ওয়েবসাইট ‘ফাউন্ডেম’ চালু করেন। শুরুতে ঢাক গুড়গুড় করে চলছিল তাঁদের নতুন ওয়েব সাইট। কিছুদিন পর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে সেরা শপিং কম্পারিজন ওয়েবসাইটে পরিণত হয়।
তবে হঠাৎ করেই তাঁদের সাইট ধীর গতির হয়ে পড়ে ও গুগল সার্চের ফলাফলে তাঁদের সাইট অনেক নিচে আসতে থাকে। এ নিয়ে তাঁরা গুগলের কাছে অভিযোগ করেন। তবে গুগল তাঁদের থোড়াই কেয়ার করে, একপর্যায়ে গিয়ে গুগলের সঙ্গেই তাঁদের বাঁধে দ্বন্দ্ব। শেষমেশ এই দম্পতি মামলায় জিতলে গুগলকে গুনতে হয় ২৪০ কোটি ইউরো।
তবে কি এমন অপরাধে এই টেক জায়ান্টকে এত বড় জরিমানা দিতে হয়?
ওয়েব সাইট চালু করার পর ২০০৮ সালে ক্রিসমাসের তিন সপ্তাহ আগে তাঁদের ওয়েবসাইট হঠাৎ ধীর গতির হয়ে যায়। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন কোনো সাইবার আক্রমণ, কিন্তু আদতে তা ছিল না। অ্যাডাম হাসতে হাসতে বলেন, ‘আসলে অনেক বেশি ব্যবহারকারী ওয়েবসাইট ভিজিট করতে শুরু করেছিল।’
কিন্তু এটি সহ্য হয়নি গুগলের। নিজস্ব শপিং কম্পারিজন সার্ভিস ব্যবহার করে বাজারে আধিপত্য বিস্তারের জন্য গুগলের স্বয়ংক্রিয় স্প্যাম ফিল্টার ফাউন্ডেম ওয়েবসাইটকে সার্চ ফলাফলের নিচের দিকে ঠেলে দেয়। এটি এমনভাবে সাইটটির অবস্থান নিচে নামিয়ে দেয় যে সাধারণ ব্যবহারকারীরা তাঁদের সাইট খুঁজে পায় না।
ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পণ্যের তুলনামূলক তালিকা থেকে অন্য সাইটে প্রবেশ করলে ক্লিক থেকে আয় করত ফাউন্ডেম। তবে গুগলের স্প্যাম ফিল্টারের কারণে তাঁদের আয়ে ভাটা পড়ে। অ্যাডাম বলেন, ‘যখন আপনি ট্রাফিক (ব্যবহারকারী) হারান, তখন আপনার ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যায়। আমাদেরও তাই হয়েছিল।’
শিভাউন ও অ্যাডাম প্রথমে কল্পনাই করতে পারেননি গুগল এমন কিছু করতে পারে। শিভাউন বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটি যান্ত্রিক ত্রুটি ও দ্রুত সমাধান সম্ভব।’ দম্পতিটি গুগলের কাছে বারবার এর সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন। তবে দুই বছরেও কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি গুগল, তখন তাঁদের সন্দেহ আরও গভীর হয়।
এরই মধ্যে দম্পতিটি খেয়াল করেন, অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে তাঁদের ওয়েবসাইট ঠিকঠাকভাবে সামনে আসছিল, শুধু গুগল সার্চেই তাঁরা অনেক নিচে। তখন তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের মতো আরও অনেক কোম্পানি গুগলের এই সুষম প্রতিযোগিতা বিরোধী আচরণের শিকার হয়েছে।
এরপর ২০০৮ সালে অ্যাডাম নিশ্চিত হন, গুগল প্রতিযোগিতার মাঠ থেকে তাদের সরাতে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটকে নিচের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ওই বছর যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফাইভের ‘দ্য গ্যাজেট শো’তে ফাউন্ডেমকে যুক্তরাজ্যের সেরা পণ্যর মূল্য তুলনা ওয়েবসাইট ঘোষণা করা হয়। এরপর গুগল সার্চে সাইটটির ট্রাফিক আরও কমে যায়।
শিভাউন বলেন, ‘আমরা তখন গুগলকে বলেছিলাম, আমাদের ওয়েবসাইট তলানিতে চলে যাওয়া ব্যবহারকারীদের জন্য মোটেই সহায়ক নয়। কিন্তু গুগলের কাছ থেকে তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া আসেনি।’
এরপর ২০০৯ সালে ফাউন্ডেমের প্রতিষ্ঠাতা দম্পতি বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ করতে শুরু করেন এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। ইউরোপীয় কমিশন ২০১০ সালে মামলা আমলে নিয়ে গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে ২০১৭ সালে প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গুগলকে ২৪০ কোটি ইউরো জরিমানা করা হয়, যা প্রযুক্তি বিশ্বে সাড়া ফেলে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিযোগিতা বিষয়ক প্রধান মার্গারেথ ভেস্টাগার এই রায় দেন। রায়ে গুগল ও তাঁর মাদার প্রতিষ্ঠান আলফাবেটকে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ ও ইউরোপীয় কমিশনের মামলাসংক্রান্ত খরচ পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়ে। এই রায়ের পর প্রায় ২০টি সংস্থা দাবি করেছে, তাঁরাও গুগলের প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছিল, যার মধ্যে রয়েছে কেলকু, ট্রিভাগো ও ইয়েল্পের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান।
তবে গুগল তখন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। গুগলের দাবি ছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাদের শপিং পরিষেবাগুলো যেভাবে দেখানো হতো, সেটি তাঁরা এরই মধ্যে সংশোধন করেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় বিচারিক আদালত গুগলের আপিল খারিজ করে দেয় এবং ফাউন্ডেমের পক্ষে রায় ঘোষণা করে।
দম্পতিটি বিশ্বাস করেন, গুগলের সার্চ অ্যালগরিদম এখনো প্রতিযোগিতাবিরোধী রয়ে গেছে এবং ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে তদন্ত করছে। চলতি বছরের মার্চ ইসি নতুন ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের অধীনে গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা গুগল সার্চ রেজাল্টে এখনো নিজস্ব পণ্য ও সেবা অগ্রাধিকার দিচ্ছে কিনা—তা খতিয়ে দেখছে।
এ বিষয়ে গুগলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘২০২৪ সালের আপিলি রায়ে ইউরোপীয় বিচারিক আদালতের (সিজেইইউ) শুধুমাত্র ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আমাদের পণ্য সার্চের ফলাফল বিবেচনা করেছে। অথচ ২০১৭ সালে ইউরোপীয় কমিশনের শপিং সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত মেনে আমরা অ্যালগরিদমে পরিবর্তন এনেছি। গত সাত বছর ধরে সেটি সফলভাবে কাজ করে আসছে, যা ৮০০-রও বেশি ‘কমপারিজন শপিং সাইটে’ কোটি কোটি ক্লিক এনে দিয়েছে। এ কারণেই আমরা ফাউন্ডেমের আনা দাবির বিরুদ্ধে জোরালোভাবে বিরোধিতা করছি এবং এটি অব্যাহত রাখব।’
যে কারণে গুগলকে ২৪০ কোটি ইউরো জরিমানা করলেন ইউরোপের আদালত
দম্পতিটি গুগলের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ক্ষতিপূরণের দাবিতে আরেকটি মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে শুরু হওয়ার কথা। তবে এই মামলায় চূড়ান্ত বিজয় এলেও তা তাঁদের জন্য হয়তো বড় ধরনের সাফল্য হবে না—কারণ ২০১৬ সালেই তাঁরা ফাউন্ডেম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এই মামলা তাঁদের জন্য এটি এক কঠিন লড়াই। দীর্ঘদিন কোর্ট-কাছারি ঘুরে এখন ক্লান্ত অ্যাডাম। তিনি ক্লান্তির স্বরে বলেন, ‘যদি আমরা জানতাম যে, এত দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলবে, তাহলে হয়তো আমরা এই আইনি লড়াইয়ে যেতাম না।’
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী একটি বাসে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া, এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২৯ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য
৩২ মিনিট আগেফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা কেন্দ্রিক স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা কাতার ত্যাগ করেছেন। তবে দেশটির রাজধানী দোহায় অবস্থিত হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় এখনো বন্ধ হয়নি। গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতারা কাতার ত্যাগ করে তুরস্কে গিয়েছেন এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই, এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠে
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সরাসরি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এই তহবিলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
১ ঘণ্টা আগেইপসোসের সমীক্ষায় ভারতে ডাক্তার, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং শিক্ষক সবচেয়ে বিশ্বস্ত পেশাজীবী হিসেবে বিবেচিত। বিপরীতে, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও পুরোহিতরা আস্থার তালিকার তলানিতে।
২ ঘণ্টা আগে