স্পেনে পুলিশ কর্মকর্তার বাসার দেয়াল ও ছাদে মিলল ২ কোটি ডলার

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
গত মাসে স্পেনের আলহেসিরাস বন্দরে জব্দ হয় ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকিল শহর থেকে কলার কন্টেইনারের মধ্যে লুকিয়ে আনা ১৩ টন কোকেন। ছবি: এএফপি

স্পেনে পুলিশের সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তার বাড়ির দেয়াল ও ছাদে লুকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে ২ কোটি ইউরো বা ২ কোটি ১২ লাখ ডলারের বেশি নগদ মুদ্রা। দেশটির সবচেয়ে বড় কোকেন জব্দের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খুঁজে পায়।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িটিকে কলম্বিয়ান মাদক সম্রাট পাবলো এসকোবারের বাড়ির সঙ্গে তুলনা করছে পুলিশ। একটি বাড়ির দেয়ালের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যাগে লুকানো অবস্থায় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এসকোবারের ভাতিজা।

দ্য গার্ডিয়ান স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

গত মাসে স্পেনের আলহেসিরাস বন্দরে জব্দ হয় ১৩ টন কোকেন। মাদক পাচার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ইকুয়েডরের গুয়াইয়াকিল শহর থেকে কলাবাহী কন্টেইনারের মধ্যে লুকিয়ে আনা হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ মাদক। একে স্পেনের ইতিহাসে বৃহত্তম এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোকেন জব্দের ঘটনা বলা হচ্ছে।

কোকেন পাচারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত সপ্তাহে মাদ্রিদে স্পেনের জাতীয় পুলিশের জালিয়াতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ বিভাগের সাবেক প্রধান অস্কার সানচেজ গিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাঁর বান্ধবীসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বান্ধবী মাদ্রিদ অঞ্চলে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তবে তাঁর পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

আলকালা দে হেনারেস শহরের সানচেজ গিলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির দেয়াল ও ছাদে লুকানো অবস্থায় প্রায় ২ কোটি ইউরো খুঁজে পায় পুলিশ। এ ছাড়া, তাঁর অফিসে আলমারিতে তালাবদ্ধ অবস্থায় ১০ লাখ ইউরো পাওয়া যায়।

বিচার বিভাগীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মাদ্রিদের একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর সানচেজ ও তাঁর প্রেমিকার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান, অর্থপাচার, দুর্নীতি এবং একটি অপরাধ সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ সময় তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

স্প্যানিশ পুলিশ জানায়, কলার মধ্যে লুকিয়ে ১৩ টন কোকেন আনা কনটেইনারটি স্পেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর আলিকান্তের একজন স্প্যানিশ ফল আমদানিকারকের ছিল। তিনি বহু বছর ধরে ইকুয়েডর থেকে ফল আমদানি করতেন। কোকেন জব্দের পর মাদ্রিদ ও আলিকান্তের বেশ কয়েকটি বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় ওই আমদানিকারকের সঙ্গে সানচেজ গিলের যোগসূত্র পাওয়া যায়।

এক প্রতিবেদনে স্পেনের দৈনিক এল মুন্দ জানায়, সানচেজ গিল আগে থেকেই সহকর্মীদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। তাঁর ফোনে আড়ি পাতাও শুরু হয়েছিল। অন্তত ৫ বছর ধরে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চল্লিশ বছর বয়সী এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গত কয়েক বছরে সানচেজ গিল মাদক পাচারকারীদের স্পেনের বন্দরে কন্টেইনার নজরদারির তথ্য সরবরাহ করতেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়।

আত্মসাৎ করা বিপুল অর্থের মধ্যে কিছু অর্থ সানচেজ গিল সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করেন। এ ছাড়া এক আত্মীয়ের নামে নিবন্ধন করে অনেকগুলো গাড়িও কেনেন, যেগুলো ভাড়া চালানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত