Ajker Patrika

শিগগিরই নতুন ৪ পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করবে ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক
শিগগিরই নতুন ৪ পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করবে ইউক্রেন

এ বছরই চারটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ শুরু করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে হারানো পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতিপূরণ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন চার চুল্লি নির্মাণের বিষয়টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন।

চুল্লির দুটি ইউনিটের রিয়্যাক্টর ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ রাশিয়ায় তৈরি সরঞ্জাম দিয়ে নির্মাণ করা হবে। এ সরঞ্জামগুলো ইউক্রেন বুলগেরিয়া থেকে আমদানি করতে চায়। বাকি দুটি ইউনিট নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র–ভিত্তিক ওয়েস্টিংহাউসের পশ্চিমা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো বলেন, চারটি চুল্লিই ইউক্রেনের পশ্চিমে খেমেলনিৎস্কি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণ করা হবে। 

এর আগেও কিয়েভ ২০২৪ সালের কোনো এক সময়ে এই চার চুল্লি নির্মাণকাজ শুরুর কথা উল্লেখ করলেও নির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা উল্লেখ করেনি। এমনকি চারটি চুল্লির নির্মাণ যে একযোগে শুরু করা হবে সে বিষয়েও আগে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি কিয়েভ।

এক সাক্ষাৎকারে গালুশচেঙ্কো বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা গ্রীষ্ম–শরতে নির্মাণকাজ শুরু করব। আমাদের ভেসেল (দহন চেম্বার) দরকার।’ মন্ত্রী মূলত বোঝাতে চেয়েছেন, ইউক্রেনকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভেসেল আমদানি করতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিটগুলো এখনই নির্মাণ করতে চাই।’

খেমেলনিৎস্কিতে ১৯৮০–এর দশকেই তৃতীয় ও চতুর্থ চুল্লি নির্মাণ শুরু হয়েছিল, তবে তা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯১ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর তিনটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করেছে ইউক্রেন। চুল্লিগুলো জাপোরিঝিয়া, খেমেলনিৎস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছিল। 

ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র দেশটির বিদ্যুৎ চাহিদার ৫৫ শতাংশেরও বেশি সরবরাহ করে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কিয়েভ এ খাতটি সম্প্রসারিত করতে চায়। জাপোরিঝিয়া ইউরোপের সর্ববৃহৎ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পরই এ পারমাণবিক কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে রাশিয়া। এখন এর ছয়টি চুল্লিই অকেজো পড়ে আছে। 

গালুশচেঙ্কো বলেন, ‘খেমেলনিৎস্কির তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিটের মাধ্যমে আমরা জাপোরিঝিয়ার ক্ষতি পোষাতে চাই। এখন দুই চুল্লি আমদানির জন্য আমরা বুলগেরিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা যদি এখনই রিয়্যাক্টর ভেসেল পেয়ে যাই তবে, আমার ধারণা, আড়াই বছর পরই আমরা তৃতীয় চুল্লির কাজ শুরু করতে পারব।’

গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কোম্পানি এনারগোয়াতম যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিংহাউসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় তারা খামেলনিৎস্কিতে পঞ্চম বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরঞ্জাম কেনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত