অনলাইন ডেস্ক
ভারত সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে রুশ বাহিনীর হয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রলুব্ধ করা ৯১ জন ভারতীয়র মধ্যে কয়েক ডজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত দরিদ্র পটভূমির এসব মানুষকে চাকরি এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামান্য সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার এই বিষয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে তুমুল লড়াইয়ে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৯ জন ভারতীয় মারা গেছেন। এ অবস্থায় প্রলোভন দেখিয়ে নাগরিকদের রাশিয়ায় পাঠিয়েছেন, মানব পাচার চক্রের এমন ১৯ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
ভারত থেকে যাঁদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের বেশির ভাগের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ভারত এবং অন্যান্য দেশের এজেন্টদের দ্বারা তাঁরা প্রতারিত হয়েছিলেন। নিরাপদ চাকরির কথা বলা হলেও তাঁদের পাঠানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে। অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের কিছু অংশে অবস্থান করতে হয়েছে। সেখানে তাঁরা স্থলমাইন, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্নাইপার হামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় রাশিয়ায় গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ আছেন পথে। ছাড় পাওয়া ভারতীয়দের মধ্যে সুনীল কারওয়া একজন। গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন রাজস্থানের এই ইলেকট্রিশিয়ান। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না, আমি সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি!’
পূর্ব ইউক্রেনের শহর বাখমুতের কাছে মোতায়েন করা হয়েছিল সুনীলকে। সেখানে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়েছে। সুনীল যখন বিবিসির সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন তিনি রাশিয়ার মস্কো বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে সুনীল জানান, তিনি তাঁর পাশেই পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ব্যক্তিকে গুলি খেতে দেখেছেন। কিন্তু সেরে ওঠার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁকে আবারও সম্মুখ সমরে পাঠানো হয়েছিল এবং সেখানে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তি এখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
অভিযোগ আছে, যেসব ভারতীয় প্রলোভনে পড়ে রাশিয়ায় যেতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁরা এমন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, তা রাশিয়ান ভাষায় লেখা। ফলে চুক্তির অনেক বিষয় না জেনেই এতে সম্মতি দিয়েছিলেন স্বাক্ষরকারীরা।
ভারতীয় যুবক রাজা পাঠানকে উচ্চ শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর তাঁকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। তিনি তাঁর দুই বন্ধুকে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যেতে দেখেছেন। এখন তিনি রাশিয়া থেকে অন্যদের দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করছেন।
মোহাম্মদ সুফিয়ান নামে আরেক ভারতীয় প্রত্যাবর্তনকারী মিসাইল হামলায় তাঁর বন্ধুকে হারানোর ট্রমা বর্ণনা করেছেন। এই ঘটনাটি তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
কেউ কেউ নিরাপদে ভারতে ফিরে এলেও অনেকে এখনো রাশিয়ায় আটকা পড়েছেন। তাঁরা তাঁদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
ভারত সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে রুশ বাহিনীর হয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রলুব্ধ করা ৯১ জন ভারতীয়র মধ্যে কয়েক ডজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত দরিদ্র পটভূমির এসব মানুষকে চাকরি এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামান্য সামরিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার এই বিষয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে তুমুল লড়াইয়ে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৯ জন ভারতীয় মারা গেছেন। এ অবস্থায় প্রলোভন দেখিয়ে নাগরিকদের রাশিয়ায় পাঠিয়েছেন, মানব পাচার চক্রের এমন ১৯ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
ভারত থেকে যাঁদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের বেশির ভাগের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ভারত এবং অন্যান্য দেশের এজেন্টদের দ্বারা তাঁরা প্রতারিত হয়েছিলেন। নিরাপদ চাকরির কথা বলা হলেও তাঁদের পাঠানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে। অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের কিছু অংশে অবস্থান করতে হয়েছে। সেখানে তাঁরা স্থলমাইন, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্নাইপার হামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় রাশিয়ায় গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ আছেন পথে। ছাড় পাওয়া ভারতীয়দের মধ্যে সুনীল কারওয়া একজন। গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন রাজস্থানের এই ইলেকট্রিশিয়ান। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না, আমি সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি!’
পূর্ব ইউক্রেনের শহর বাখমুতের কাছে মোতায়েন করা হয়েছিল সুনীলকে। সেখানে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়েছে। সুনীল যখন বিবিসির সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন তিনি রাশিয়ার মস্কো বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে সুনীল জানান, তিনি তাঁর পাশেই পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ব্যক্তিকে গুলি খেতে দেখেছেন। কিন্তু সেরে ওঠার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই তাঁকে আবারও সম্মুখ সমরে পাঠানো হয়েছিল এবং সেখানে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তি এখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
অভিযোগ আছে, যেসব ভারতীয় প্রলোভনে পড়ে রাশিয়ায় যেতে রাজি হয়েছিলেন। তাঁরা এমন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, তা রাশিয়ান ভাষায় লেখা। ফলে চুক্তির অনেক বিষয় না জেনেই এতে সম্মতি দিয়েছিলেন স্বাক্ষরকারীরা।
ভারতীয় যুবক রাজা পাঠানকে উচ্চ শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর তাঁকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। তিনি তাঁর দুই বন্ধুকে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যেতে দেখেছেন। এখন তিনি রাশিয়া থেকে অন্যদের দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করছেন।
মোহাম্মদ সুফিয়ান নামে আরেক ভারতীয় প্রত্যাবর্তনকারী মিসাইল হামলায় তাঁর বন্ধুকে হারানোর ট্রমা বর্ণনা করেছেন। এই ঘটনাটি তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
কেউ কেউ নিরাপদে ভারতে ফিরে এলেও অনেকে এখনো রাশিয়ায় আটকা পড়েছেন। তাঁরা তাঁদের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
৩ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিশ্চিত করেছেন, আগামী ২৪ নভেম্বর তাঁর দল রাজধানী ইসলামাবাদে যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে তা স্থগিত করলে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ‘প্রস্তাব’ এসেছে। পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাকিস্তান সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে