Ajker Patrika

নবজাতকের লাশ প্যাকেটে মুড়িয়ে স্যুটকেসে ভরে রেখেছিলেন তরুণী মা

অনলাইন ডেস্ক
নবজাতকের লাশ প্যাকেটে মুড়িয়ে স্যুটকেসে ভরে রেখেছিলেন তরুণী মা

ব্রিটেনে নিজের নবজাতক সন্তানকে খুন করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এক মালয়েশীয় তরুণী। তিনি দেশটির একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নবজাতককে একটি খাবারের প্যাকেটে ভরে সেটিতে প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে মুড়িয়ে নেন। পরে সেই নবজাতকের লাশটি তিনি একটি স্যুটকেসে ভরে রাখেন। 

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থিও জ শিন (২২) নামের সেই তরুণীর বিরুদ্ধে তাঁর সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ব্রিটেনের দ্য ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

সিপিএস জানিয়েছে, থিও জ শিন গত চার মাস স্বাভাবিকভাবেই সন্তান জন্ম দেন। তিনি পরে শিশুটিকে একটি খাবারের বাক্সে রাখেন এবং তারপর সেটিকে প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে মুড়িয়ে স্যুটকেসের ভেতরে রাখেন। অভিযোগকারীরা বলেছেন, শিশুটি জন্মের পর দীর্ঘ সময় জীবিত ছিল এবং থিও জানতেন যে, শিশুটিকে বাক্সের মধ্যে রাখার পর সে মারা যাবে। তারপরও সে এই কাজ করেছে। 

ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের হাসপাতালে থিও গর্ভাবস্থায় একাধিকবার পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার থিও সেই হাসপাতালের দ্বারস্থ হন। পরে হাসপাতালের লোকজন তাঁর শরীরে গর্ভধারণের চিহ্ন না দেখে এবং সন্তানকে দেখতে না পেয়ে পুলিশের কাছে কল করে। 

থিওর সন্তান জন্ম দেওয়ার দুদিন পর এই ঘটনা ঘটে। প্রথমে হাসপাতালের কর্মীদের জেরার মুখে থিও সন্তান জন্মদানের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি পরে স্বীকার করেন যে, তিনি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। পরে এই ঘটনায় স্থানীয় আদালত তাঁকে দোষী ঘোষণা করে। 

সিপিএস-এর কর্মকর্তা জেমস লেসলি ফ্রান্সিস বলেন, থিও ব্রিটেনে এসে জানতে পারেন যে, সন্তান জন্ম দেবেন। তাঁর সাহায্য চাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা না করে গর্ভাবস্থা গোপন রাখেন, যাতে কেউ তার শিশুকে দেখতে না পারে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত