অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে মানবতা, উদারতা ও গণতন্ত্রের ধ্বজা উড়িয়ে বেড়ায় ইউরোপসহ পশ্চিমা শক্তি। কিন্তু যখনই ইসরায়েলের প্রসঙ্গ আসে, তখনই যেন তারা সেই সব আদর্শ ধারণ করতে পারে না। মনে হয়, এত দিন আদর্শের মুখোশ পড়ে ছিল। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলমসহ বিশ্বের অনেক চিত্রকর, শিল্পী ও সাহিত্যিকের সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক আচরণে এমনই ভাব ফুটে ওঠে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে মানবতার পক্ষে কথা বলায় এবং গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার সমালোচনা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। জার্মানি থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডসসহ অনেকগুলো দেশে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, বইমেলা বা অন্য কোনো আয়োজনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে যখন ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হয়, তখন বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শহিদুল আলম জার্মানিতে একটি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী আয়োজনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে বেছে নেন প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে। সেই প্রতিবাদের কারণে জার্মান আয়োজকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ এনে প্রদর্শনী বাতিল করে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহীদুল আলম বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য বেশ পরিচিত। ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ অভিযোগ আনায় তাঁকে ১০০ দিনের বেশি কারাবন্দী করে রাখা হয়। সে সময় পশ্চিমা বিশ্ব শহিদুল আলমের গ্রেপ্তার, কারাবন্দী ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশ সরব ভূমিকা পালন করেছিল। এমনকি প্রভাশালী টাইম ম্যাগাজিনও তাঁকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
সেই শহীদুল আলম যখন গাজা সংকটকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের ভূমিকার সমালোচনা করলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ এনে তাঁর প্রদর্শনী বাতিল করেছে জার্মান আয়োজক গোষ্ঠী। গত ২১ নভেম্বর জার্মান আয়োজক সংস্থা শহিদুল আলমের প্রদর্শনী বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে, ‘গত ৭ অক্টোবরের পর নিজের ফেসবুক চ্যানেলে শহীদুল আলমের বিভিন্ন পোস্ট এমন বিষয়বস্তুকে সামনে এনেছে, যা ইহুদিবিদ্বেষী বিষয়বস্তু হিসেবে পড়া যেতে পারে।’
পরে শহিদুল আলম আল জাজিরাকে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমি জায়োনিজম বিরোধী এবং একইভাবে আমি উপনিবেশবাদ, বসতি স্থাপন করে উপনিবেশায়ন, বর্ণবাদ, জাতিবিদ্বেষ ও গণহত্যার বিরোধী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই ইহুদিবিদ্বেষী নই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, জার্মানি এ দুটিকে (ইহুদিবিদ্বেষ ও জায়োনিজম বিরোধিতা) এক করে বিবেচনা করে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের স্বার্থ হাসিল করে এবং এগিয়ে নিয়ে যায়।’
কেবল শহিদুল আলম নন। জার্মানিতে ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে একই কারণে বাধার মুখোমুখি হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুক্তচিন্তার মানুষেরা। তাঁদের মধ্যে একজন হাইতির লেখক আনাইস দুপলান। জার্মান জাদুঘর ফয়েকভাংয়ে তাঁর একটি প্রদর্শনী বাতিল করা হয়েছে। বিশ্বের বিখ্যাত বইমেলা ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ফিলিস্তিনি লেখক আদানিয়া শিবলির। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতীয় চিত্রকর ও শিল্প সমালোচক রঞ্জিত হোসকোটের বিরুদ্ধেও।
নেদারল্যান্ডসেও একই ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়—তাঁরা ফিলিস্তিনপন্থী স্লোগান দিয়েছেন। পরে ওই চলচ্চিত্র নির্মাতা নিজেদের প্রদর্শনী প্রত্যাহার করে নেন। লন্ডনে মার্কিন বংশোদ্ভূত লেখক নাথান থ্রালের বই প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ তাঁর বইটির নাম ‘আ ডে ইন দ্য লাইফ অব আবেদ সালামা: আ প্যালেস্টাইনিয়ান স্টোরি’। গত ১২ অক্টোবর বইটি লন্ডনে প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার অজুহাত তুলে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।
বিশ্বজুড়ে মানবতা, উদারতা ও গণতন্ত্রের ধ্বজা উড়িয়ে বেড়ায় ইউরোপসহ পশ্চিমা শক্তি। কিন্তু যখনই ইসরায়েলের প্রসঙ্গ আসে, তখনই যেন তারা সেই সব আদর্শ ধারণ করতে পারে না। মনে হয়, এত দিন আদর্শের মুখোশ পড়ে ছিল। বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলমসহ বিশ্বের অনেক চিত্রকর, শিল্পী ও সাহিত্যিকের সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক আচরণে এমনই ভাব ফুটে ওঠে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে মানবতার পক্ষে কথা বলায় এবং গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার সমালোচনা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। জার্মানি থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডসসহ অনেকগুলো দেশে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, বইমেলা বা অন্য কোনো আয়োজনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে যখন ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হয়, তখন বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী শহিদুল আলম জার্মানিতে একটি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী আয়োজনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে বেছে নেন প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে। সেই প্রতিবাদের কারণে জার্মান আয়োজকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ এনে প্রদর্শনী বাতিল করে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহীদুল আলম বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য বেশ পরিচিত। ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ অভিযোগ আনায় তাঁকে ১০০ দিনের বেশি কারাবন্দী করে রাখা হয়। সে সময় পশ্চিমা বিশ্ব শহিদুল আলমের গ্রেপ্তার, কারাবন্দী ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশ সরব ভূমিকা পালন করেছিল। এমনকি প্রভাশালী টাইম ম্যাগাজিনও তাঁকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
সেই শহীদুল আলম যখন গাজা সংকটকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের ভূমিকার সমালোচনা করলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ এনে তাঁর প্রদর্শনী বাতিল করেছে জার্মান আয়োজক গোষ্ঠী। গত ২১ নভেম্বর জার্মান আয়োজক সংস্থা শহিদুল আলমের প্রদর্শনী বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে, ‘গত ৭ অক্টোবরের পর নিজের ফেসবুক চ্যানেলে শহীদুল আলমের বিভিন্ন পোস্ট এমন বিষয়বস্তুকে সামনে এনেছে, যা ইহুদিবিদ্বেষী বিষয়বস্তু হিসেবে পড়া যেতে পারে।’
পরে শহিদুল আলম আল জাজিরাকে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমি জায়োনিজম বিরোধী এবং একইভাবে আমি উপনিবেশবাদ, বসতি স্থাপন করে উপনিবেশায়ন, বর্ণবাদ, জাতিবিদ্বেষ ও গণহত্যার বিরোধী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই ইহুদিবিদ্বেষী নই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, জার্মানি এ দুটিকে (ইহুদিবিদ্বেষ ও জায়োনিজম বিরোধিতা) এক করে বিবেচনা করে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের স্বার্থ হাসিল করে এবং এগিয়ে নিয়ে যায়।’
কেবল শহিদুল আলম নন। জার্মানিতে ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে একই কারণে বাধার মুখোমুখি হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুক্তচিন্তার মানুষেরা। তাঁদের মধ্যে একজন হাইতির লেখক আনাইস দুপলান। জার্মান জাদুঘর ফয়েকভাংয়ে তাঁর একটি প্রদর্শনী বাতিল করা হয়েছে। বিশ্বের বিখ্যাত বইমেলা ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ফিলিস্তিনি লেখক আদানিয়া শিবলির। একই অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতীয় চিত্রকর ও শিল্প সমালোচক রঞ্জিত হোসকোটের বিরুদ্ধেও।
নেদারল্যান্ডসেও একই ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়—তাঁরা ফিলিস্তিনপন্থী স্লোগান দিয়েছেন। পরে ওই চলচ্চিত্র নির্মাতা নিজেদের প্রদর্শনী প্রত্যাহার করে নেন। লন্ডনে মার্কিন বংশোদ্ভূত লেখক নাথান থ্রালের বই প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ তাঁর বইটির নাম ‘আ ডে ইন দ্য লাইফ অব আবেদ সালামা: আ প্যালেস্টাইনিয়ান স্টোরি’। গত ১২ অক্টোবর বইটি লন্ডনে প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার অজুহাত তুলে বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা রায়ান বর্গওয়ার্ট। সম্প্রতি এই কায়াকার নিজের ডুবে যাওয়ার নাটক সাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, রায়ান বর্তমানে পূর্ব ইউরোপের কোথাও জীবিত আছেন।
৩ মিনিট আগেগাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ছয়টি মহাদেশের ১২৪টি দেশে তাঁরা আটক হতে পারেন।
৩০ মিনিট আগেকলকাতার মেট্রোরেলে এক নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলতে জোরাজুরি করেছেন আরেক নারী। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে হিন্দিতে কথা বলতে না পারা নারীকে ‘বাংলাদেশি’ বলেও তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে