অনলাইন ডেস্ক
কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পশ্চিমের অনেকে দেশেই বিপুলসংখ্যক শিখ অভিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। এখন যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশে প্রভাবশালী কয়েকজন শিখের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে শিখদের আলাদা রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন অবতার সিং খন্দ (৩৫)। চলতি বছরের জুনে বার্মিংহামে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘনিষ্ঠজনদের সন্দেহ, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
যুক্তরাজ্যের পশ্চিম মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, তারা এ ঘটনা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং সন্দেহজনক কিছু পায়নি। এ ঘটনার পুনঃতদন্তের প্রয়োজন নেই।
তবে ব্রিটিশ শিখরা দীর্ঘদিন ধরেই নানামুখী চাপে থাকার অভিযোগ করে আসছেন। কারণ, ভারত সরকার শিখ ‘চরমপন্থীদের’ দমন করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে বেশ কয়েকবার আহ্বান করেছে।
স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটন শহরের বাসিন্দা গুরপ্রীত জোহাল পেশায় আইনজীবী ও শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়ই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
ছয় বছর আগে গুরপ্রীতের ভাই জগতার বিয়ে করার জন্য ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন তিনি বিনা বিচার জেলা খাটছেন। জগতার খালিস্তানপন্থী ও শিখ অধিকারকর্মী হিসেবে সুপরিচিত।
জোহালের পরিবার বলে, পাঞ্জাবের রামি মন্ডি নামে একটি শহরে জগতারকে অপরিচিত একটি গাড়িতে জোর করে তোলা হয়। এর পর থেকে জগতার বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের কারাগারেই আছেন।
জগতার জোহাল বলেন, তাঁকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েক বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।
জাস্টিন ট্রুডো ঠিক কাজ করেছেন উল্লেখ করে গুরপ্রীত জোহাল বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী তাঁর নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেখানে যুক্তরাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রিভ বলে, ভারতে জোহালের গ্রেপ্তারের পেছনে ব্রিটিশ সিকিউরিটি এজেন্সির হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
জগতারের ঘটনায় ব্রিটিশ শিখ কমিউনিটি ক্ষুব্ধ। এমনকি কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া এবং বৈষম্যমূলকভাবে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে জগতার জোহালের মুক্তি চেয়েছে জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ। যুক্তরাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জোহাল বলেন, ‘মনে হচ্ছে, যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে নাগরিকদের চেয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জগতার জোহালের মুক্তি দাবি করে কোনো লাভ হবে না, বরং পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি জোহালের মামলার যত দ্রুত সম্ভব সমাধান দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রায়ই ব্রিটেনে শিখদের তৎপরতার বিষয়টি উত্থাপন করেন।
চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ অধিকার ও খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারত সরকার বারবার ব্রিটেনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা চরমপন্থীদের দমন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
১৯৮০-এর দশকে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পরবর্তী সময় ভারতের সব রাজনৈতিক দল এমন ধারণার তীব্র বিরোধিতা করলে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে, সম্প্রতি শিখ প্রবাসীদের মধ্যে আবারও এ আন্দোলনের পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন শান্তিপূর্ণ তৎপরতায় রূপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যে খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা প্রায়ই ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। একে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৪ সালে লন্ডন সফরকালে অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় জেনারেল কুলদীপ সিং ব্রারকে গলায় ও মুখে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৯৮৪ সালে শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাব প্রদেশে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ব্রার অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। শিখ ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র এ স্থান সে সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রধান আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
স্বর্ণ মন্দিরে চালানো সে অভিযানে শত শত শিখ নিহত হন। তাঁদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী থাকলেও বেশির ভাগই ছিলেন তীর্থযাত্রী। এর প্রতিশোধ হিসেবে চার মাস পরেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁরই শিখ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হন।
সে ঘটনার কিছুটা হলেও প্রভাব আজও শিখদের চেতনায় রয়ে গেছে।
২০১৪ সালে লন্ডনে হামলায় জেনারেল ব্রার বেঁচে যান। তাঁকে হামলাকারীর মধ্যে একজন ব্রিটিশ শিখ, যিনি স্বর্ণ মন্দির অভিযানে তাঁর বাবা ও ভাই হারিয়েছেন। হামলাকারীদের আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সম্প্রতি কয়েক বছরে স্কটল্যান্ডের নাগরিক জগতার জোহালের কারাদণ্ডসহ অনেক ব্রিটিশ শিখই দিল্লির চাপে নিজ দেশে হয়রানি বা জেল-জরিমানার শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালে লন্ডন ও মিডল্যান্ডের পাঁচ শিখ নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
তাঁদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। শিখ সংগঠনগুলো বলছে, এ অভিযানের বিস্তারিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এ থেকে বোঝা যায়, এ অভিযানে দিল্লির হাত ছিল।
এদিকে চলতি বছর ব্রিটেনের ধর্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসীদের তৎপরতা নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের ফেইথ এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজর কলিন ব্লুম। সেখানে অন্য ধর্মবিশ্বাসের তুলনায় শিখদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে ব্রিটেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিখরা তাঁদের অবস্থান নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বিগ্নও।
কয়েক বছরের গবেষণা শেষে কলিন ব্লুম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছেন, শিখদের ‘চরমপন্থী এবং নাশকতামূলক কার্যক্রম’ সামগ্রিকভাবে মুসলিম, চরম ডানপন্থী এবং হিন্দু চরমপন্থীদের চেয়েও বেশি। ব্রিটিশ সরকারের এই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বার্তাই দিচ্ছে যে বিশেষ করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে শিখ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তাঁর যে অবস্থান সেটি যথার্থ।
গত মাসে ‘খালিস্তানপন্থী উগ্রবাদ’ মোকাবিলায় নতুন করে ৯৫ হাজার পাউন্ড তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কানাডায় খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সপক্ষে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরবর্তী সময় সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় পশ্চিমের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পশ্চিমের অনেকে দেশেই বিপুলসংখ্যক শিখ অভিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। এখন যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশে প্রভাবশালী কয়েকজন শিখের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে শিখদের আলাদা রাষ্ট্র খালিস্তান প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন অবতার সিং খন্দ (৩৫)। চলতি বছরের জুনে বার্মিংহামে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘনিষ্ঠজনদের সন্দেহ, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।
যুক্তরাজ্যের পশ্চিম মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, তারা এ ঘটনা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং সন্দেহজনক কিছু পায়নি। এ ঘটনার পুনঃতদন্তের প্রয়োজন নেই।
তবে ব্রিটিশ শিখরা দীর্ঘদিন ধরেই নানামুখী চাপে থাকার অভিযোগ করে আসছেন। কারণ, ভারত সরকার শিখ ‘চরমপন্থীদের’ দমন করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে বেশ কয়েকবার আহ্বান করেছে।
স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটন শহরের বাসিন্দা গুরপ্রীত জোহাল পেশায় আইনজীবী ও শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়ই তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
ছয় বছর আগে গুরপ্রীতের ভাই জগতার বিয়ে করার জন্য ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন তিনি বিনা বিচার জেলা খাটছেন। জগতার খালিস্তানপন্থী ও শিখ অধিকারকর্মী হিসেবে সুপরিচিত।
জোহালের পরিবার বলে, পাঞ্জাবের রামি মন্ডি নামে একটি শহরে জগতারকে অপরিচিত একটি গাড়িতে জোর করে তোলা হয়। এর পর থেকে জগতার বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের কারাগারেই আছেন।
জগতার জোহাল বলেন, তাঁকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েক বছর পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।
জাস্টিন ট্রুডো ঠিক কাজ করেছেন উল্লেখ করে গুরপ্রীত জোহাল বলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী তাঁর নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেখানে যুক্তরাজ্য সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’
মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রিভ বলে, ভারতে জোহালের গ্রেপ্তারের পেছনে ব্রিটিশ সিকিউরিটি এজেন্সির হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
জগতারের ঘটনায় ব্রিটিশ শিখ কমিউনিটি ক্ষুব্ধ। এমনকি কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া এবং বৈষম্যমূলকভাবে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে জগতার জোহালের মুক্তি চেয়েছে জাতিসংঘের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ। যুক্তরাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জোহাল বলেন, ‘মনে হচ্ছে, যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে নাগরিকদের চেয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জগতার জোহালের মুক্তি দাবি করে কোনো লাভ হবে না, বরং পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি জোহালের মামলার যত দ্রুত সম্ভব সমাধান দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কর্মকর্তারা প্রায়ই ব্রিটেনে শিখদের তৎপরতার বিষয়টি উত্থাপন করেন।
চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিখ অধিকার ও খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারত সরকার বারবার ব্রিটেনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা চরমপন্থীদের দমন করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
১৯৮০-এর দশকে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পরবর্তী সময় ভারতের সব রাজনৈতিক দল এমন ধারণার তীব্র বিরোধিতা করলে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে, সম্প্রতি শিখ প্রবাসীদের মধ্যে আবারও এ আন্দোলনের পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন শান্তিপূর্ণ তৎপরতায় রূপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যে খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা প্রায়ই ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। একে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।
২০১৪ সালে লন্ডন সফরকালে অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় জেনারেল কুলদীপ সিং ব্রারকে গলায় ও মুখে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৯৮৪ সালে শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাব প্রদেশে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ব্রার অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। শিখ ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র এ স্থান সে সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রধান আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
স্বর্ণ মন্দিরে চালানো সে অভিযানে শত শত শিখ নিহত হন। তাঁদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী থাকলেও বেশির ভাগই ছিলেন তীর্থযাত্রী। এর প্রতিশোধ হিসেবে চার মাস পরেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁরই শিখ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হন।
সে ঘটনার কিছুটা হলেও প্রভাব আজও শিখদের চেতনায় রয়ে গেছে।
২০১৪ সালে লন্ডনে হামলায় জেনারেল ব্রার বেঁচে যান। তাঁকে হামলাকারীর মধ্যে একজন ব্রিটিশ শিখ, যিনি স্বর্ণ মন্দির অভিযানে তাঁর বাবা ও ভাই হারিয়েছেন। হামলাকারীদের আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সম্প্রতি কয়েক বছরে স্কটল্যান্ডের নাগরিক জগতার জোহালের কারাদণ্ডসহ অনেক ব্রিটিশ শিখই দিল্লির চাপে নিজ দেশে হয়রানি বা জেল-জরিমানার শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালে লন্ডন ও মিডল্যান্ডের পাঁচ শিখ নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
তাঁদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। শিখ সংগঠনগুলো বলছে, এ অভিযানের বিস্তারিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এ থেকে বোঝা যায়, এ অভিযানে দিল্লির হাত ছিল।
এদিকে চলতি বছর ব্রিটেনের ধর্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসীদের তৎপরতা নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের ফেইথ এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজর কলিন ব্লুম। সেখানে অন্য ধর্মবিশ্বাসের তুলনায় শিখদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে ব্রিটেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিখরা তাঁদের অবস্থান নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বিগ্নও।
কয়েক বছরের গবেষণা শেষে কলিন ব্লুম চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছেন, শিখদের ‘চরমপন্থী এবং নাশকতামূলক কার্যক্রম’ সামগ্রিকভাবে মুসলিম, চরম ডানপন্থী এবং হিন্দু চরমপন্থীদের চেয়েও বেশি। ব্রিটিশ সরকারের এই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বার্তাই দিচ্ছে যে বিশেষ করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে শিখ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তাঁর যে অবস্থান সেটি যথার্থ।
গত মাসে ‘খালিস্তানপন্থী উগ্রবাদ’ মোকাবিলায় নতুন করে ৯৫ হাজার পাউন্ড তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
৮ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
৮ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিশ্চিত করেছেন, আগামী ২৪ নভেম্বর তাঁর দল রাজধানী ইসলামাবাদে যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে তা স্থগিত করলে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ‘প্রস্তাব’ এসেছে। পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাকিস্তান সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে