অনলাইন ডেস্ক
শত বছরেরও বেশি সময় আগে আবিষ্কৃত একটি প্রাচীন আংটি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান জলদস্যুদের সম্পর্কের কথা জানান দিচ্ছে। নবম শতকের একটি সুইডিশ সমাধি থেকে আবিষ্কার করা ওই আংটিতে আরবি কুফিক লিপিতে একটি শব্দ লেখা আছে। গবেষকেরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, আংটিতে লেখা ওই শব্দটি হলো ‘আল্লাহ’।
এ বিষয়ে জার্নাল স্ক্যানিংয়ে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওই আংটিটি এখন পর্যন্ত কোনো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে পাওয়া একমাত্র আরব নিদর্শন। ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে সুইডেনের বিয়র্কা দ্বীপের বিরকা শহরে প্রাচীন সমাধি খুঁড়ে এই আংটিটি পাওয়া গিয়েছিল। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে শহরটির দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ভাইকিং জলদস্যুদের আমলে এই বিরকা শহর ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। ১৯৯৩ সালে এই শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেসকো।
রহস্যময় সেই আংটিটি এখন সুইডিশ হিস্টরি মিউজিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে। সোনালি রঙের রুপা এবং বেগুনি রঙের অ্যামিথিস্ট পাথর দিয়ে এই আংটিটি তৈরি।
সিএনএন জানিয়েছে, আংটি নিয়ে গবেষণা করা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টকহোম ইউনিভার্সিটির বায়োফিজিসিস্ট সেবান্টিয়াম ওয়ার্মল্যান্ডার। গবেষকেরা আংটিটির উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এটির কাঠামো কয়েক ধরনের ধাতুর সংমিশ্রণে তৈরি, আর অ্যামেথিস্ট পাথরটি একটি বেগুনি রঙের স্বচ্ছ কাচ।
গবেষকেরা বলছেন, ভূমধ্যসাগরের লেভান্ত অঞ্চলে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে কাচের উৎপাদন শুরু হলেও ভাইকিং আমলের স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের কাছে এটি ছিল একটি বহিরাগত বস্তু।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো—অতীতে ধারণা করলেও গবেষকেরা পরে ওই আংটির মধ্যে স্বর্ণের কোনো উপাদান খুঁজে পাননি। তাঁরা বলছেন, আংটিটির সোনার স্তরটি যদি নষ্ট হয়ে যেত, তবে এটির ফাইল মার্কিংগুলোও (গায়ে লেখা বস্তুর বিভিন্ন তথ্য) চলে যেত। কিন্তু এই আংটির ধাতব পৃষ্ঠে কোনো পরিধানের চিহ্ন নেই এবং এর ফাইল মার্কিংগুলো এখনো যথাস্থানে রয়েছে। এই আংটি কখনোই খুব বেশি ব্যবহার করা হয়নি।
গবেষকেরা বিশ্বাস করেন, একজন আরবি রৌপ্যকারের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কোনো বাহক ওই আংটিটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ওই নারীকে দিয়েছিলেন, যার সমাধিতে এটি পাওয়া গেছে। ওই সমাধিতে কিছু বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া যায়, যেগুলোর মধ্যে আফগান মুদ্রার অস্তিত্ব ছিল। তবে এসব মুদ্রা বাণিজ্য রুট দিয়ে আদান-প্রদান এবং বহুল ব্যবহারের কারণে ছেঁড়া-ফাড়া অবস্থায় ছিল।
আংটির মালিককে ঐতিহ্যবাহী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পোশাক পরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে গবেষকেরা বলেছেন, শত শত বছরের ব্যবধানে সমাধিতে ওই নারীর হাড় পচে মাটিতে মিশে যাওয়ার কারণে তাঁর জাতীয়তা নির্ধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গবেষকেরা মনে করছেন, খুব সম্ভবত সেই নারী বা তাঁর কাছের কেউ মুসলিম খেলাফত বা এর আশপাশের অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেছিলেন।
প্রাচীন কিছু গ্রন্থে ইসলামি খেলাফত এবং ভাইকিং বিশ্বের মধ্যে ভ্রমণের কথা লেখা থাকলেও এই ভ্রমণের গল্পগুলোতে প্রায় সময়ই দৈত্য ও ড্রাগনের উল্লেখ থাকায় এগুলোকে কল্পকাহিনি হিসেবেই মনে করা হতো। তবে গবেষকেরা উপসংহার টেনেছেন—ভাইকিং সমাধিতে আবিষ্কৃত আংটিটি সেই সময়ের স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং ইসলামিক বিশ্বের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের গল্পগুলোকে সত্যি করে তোলে।
শত বছরেরও বেশি সময় আগে আবিষ্কৃত একটি প্রাচীন আংটি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান জলদস্যুদের সম্পর্কের কথা জানান দিচ্ছে। নবম শতকের একটি সুইডিশ সমাধি থেকে আবিষ্কার করা ওই আংটিতে আরবি কুফিক লিপিতে একটি শব্দ লেখা আছে। গবেষকেরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, আংটিতে লেখা ওই শব্দটি হলো ‘আল্লাহ’।
এ বিষয়ে জার্নাল স্ক্যানিংয়ে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওই আংটিটি এখন পর্যন্ত কোনো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে পাওয়া একমাত্র আরব নিদর্শন। ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে সুইডেনের বিয়র্কা দ্বীপের বিরকা শহরে প্রাচীন সমাধি খুঁড়ে এই আংটিটি পাওয়া গিয়েছিল। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে শহরটির দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ভাইকিং জলদস্যুদের আমলে এই বিরকা শহর ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। ১৯৯৩ সালে এই শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেসকো।
রহস্যময় সেই আংটিটি এখন সুইডিশ হিস্টরি মিউজিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে। সোনালি রঙের রুপা এবং বেগুনি রঙের অ্যামিথিস্ট পাথর দিয়ে এই আংটিটি তৈরি।
সিএনএন জানিয়েছে, আংটি নিয়ে গবেষণা করা দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টকহোম ইউনিভার্সিটির বায়োফিজিসিস্ট সেবান্টিয়াম ওয়ার্মল্যান্ডার। গবেষকেরা আংটিটির উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এটির কাঠামো কয়েক ধরনের ধাতুর সংমিশ্রণে তৈরি, আর অ্যামেথিস্ট পাথরটি একটি বেগুনি রঙের স্বচ্ছ কাচ।
গবেষকেরা বলছেন, ভূমধ্যসাগরের লেভান্ত অঞ্চলে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে কাচের উৎপাদন শুরু হলেও ভাইকিং আমলের স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের কাছে এটি ছিল একটি বহিরাগত বস্তু।
আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো—অতীতে ধারণা করলেও গবেষকেরা পরে ওই আংটির মধ্যে স্বর্ণের কোনো উপাদান খুঁজে পাননি। তাঁরা বলছেন, আংটিটির সোনার স্তরটি যদি নষ্ট হয়ে যেত, তবে এটির ফাইল মার্কিংগুলোও (গায়ে লেখা বস্তুর বিভিন্ন তথ্য) চলে যেত। কিন্তু এই আংটির ধাতব পৃষ্ঠে কোনো পরিধানের চিহ্ন নেই এবং এর ফাইল মার্কিংগুলো এখনো যথাস্থানে রয়েছে। এই আংটি কখনোই খুব বেশি ব্যবহার করা হয়নি।
গবেষকেরা বিশ্বাস করেন, একজন আরবি রৌপ্যকারের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কোনো বাহক ওই আংটিটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ওই নারীকে দিয়েছিলেন, যার সমাধিতে এটি পাওয়া গেছে। ওই সমাধিতে কিছু বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া যায়, যেগুলোর মধ্যে আফগান মুদ্রার অস্তিত্ব ছিল। তবে এসব মুদ্রা বাণিজ্য রুট দিয়ে আদান-প্রদান এবং বহুল ব্যবহারের কারণে ছেঁড়া-ফাড়া অবস্থায় ছিল।
আংটির মালিককে ঐতিহ্যবাহী স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পোশাক পরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে গবেষকেরা বলেছেন, শত শত বছরের ব্যবধানে সমাধিতে ওই নারীর হাড় পচে মাটিতে মিশে যাওয়ার কারণে তাঁর জাতীয়তা নির্ধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গবেষকেরা মনে করছেন, খুব সম্ভবত সেই নারী বা তাঁর কাছের কেউ মুসলিম খেলাফত বা এর আশপাশের অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেছিলেন।
প্রাচীন কিছু গ্রন্থে ইসলামি খেলাফত এবং ভাইকিং বিশ্বের মধ্যে ভ্রমণের কথা লেখা থাকলেও এই ভ্রমণের গল্পগুলোতে প্রায় সময়ই দৈত্য ও ড্রাগনের উল্লেখ থাকায় এগুলোকে কল্পকাহিনি হিসেবেই মনে করা হতো। তবে গবেষকেরা উপসংহার টেনেছেন—ভাইকিং সমাধিতে আবিষ্কৃত আংটিটি সেই সময়ের স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং ইসলামিক বিশ্বের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের গল্পগুলোকে সত্যি করে তোলে।
প্রযুক্তি সংস্থা গুগলকে বিস্ময়করভাবে ২০ ডেসিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যত টাকা আছে সব একসঙ্গে করা হলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে না।
১ ঘণ্টা আগেকমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা জানি, ডোনাল্ড ট্রাম্প কে। তিনি অস্থির, প্রতিশোধপরায়ণ, অপরাধপ্রবণ। তিনি অবাধ ক্ষমতার পেছনে ছুটছেন।’
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে চাপ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। এ লক্ষ্যে অধিগৃহীত জমি দ্রুত কেন্দ্র সরকারের হাতে হস্তান্তর করারও অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের জেলেদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে। এমন আক্ষেপই প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের জেলে সম্প্রদায়। তাদের বক্তব্য, আগে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে তাদের ফেরত পাঠানো হতো, কিন্তু এখন তাদের আটক করা
৬ ঘণ্টা আগে