
অ্যালেক্সি নাভালনি নিকট অতীতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন। সেই নাভালনি দেশটির উত্তর মেরুতে অবস্থিত কারাগারে মারা গেছেন আজ শুক্রবার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকে ভাবছেন, নাভালনিও হয়তো পুতিনের অন্য শত্রুদের মতোই রহস্যময় পরিণতি বরণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশ কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নাভালনি হাঁটাহাঁটির পর অসুস্থতা বোধ করেন এবং একটু পরই জ্ঞান হারান। দ্রুত চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স দলকে ডাকা হয়। তাঁর জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’
এখন পর্যন্ত নাভালনির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। রুশ সরকারও সেভাবে মুখ খুলছে না। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক নেতাই নাভালনির মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না। রাশিয়ার এক নির্বাসিত লেখক নাভালনির মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, নাভালনি পুতিনের নির্মমতার শিকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়া দায়ী।
এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে তোলা হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নাকি তিনিও পুতিনের অন্যান্য শত্রুর মতোই রহস্যজনকভাবে চিরপ্রস্থান করলেন।
নাভালনি ছাড়াও আরও অনেকে পুতিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেননি, এমনকি তাঁদের অনেকেরই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নাভালনি সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন।
অ্যালেক্সি নাভালনি ছাড়াও পুতিনের যেসব প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সময় রহস্যজনক করুণ পরিণতি বরণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন, ভ্লাদিমির কারামুরজা, আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো, আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি, ভিক্তর ইউশচেঙ্কো এবং আনা পলিৎকোভস্কায়া উল্লেখযোগ্য। তাঁদের পরিণতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
অ্যালেক্সি নাভালনি
নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ইউলিয়া, মেয়ের নাম দারিয়া এবং ছেলের নাম জাহার। নাভালনি ১৯৭৬ সালে মস্কোর নিকটবর্তী শহর বায়তনে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চশিক্ষা নেন অর্থনীতি ও আইন বিষয়ে। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া’।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগঠন করেছেন।
নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচন করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।
এরপর ২০২০ সালের আগস্টে একটি সফরে নাভালনির খাবারের বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তাঁর খাবারে সামরিক নার্ভ এজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নাভালনি অভিযোগ করেন, এই বিষয়টির সঙ্গে পুতিন জড়িত। তবে ক্রেমলিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সংস্থা ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হয় গত বছরের ২৪ আগস্ট। একসময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেশ আস্থাভাজন ছিলেন প্রিগোঝিন। কিন্তু গত বছরের ২৩ ও ২৪ জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পুতিনের চক্ষুশূল হন তিনি। তখন পুতিন প্রিগোঝিনকে কিছু না বললেও বিদ্রোহকে ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরুর উদ্যোগ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
যাহোক, পুতিন সে সময় প্রিগোঝিনকে ক্ষমা করে দিলেও বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি অনেক জল্পনাকল্পনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে অনেকে তখন ভেবেছেন, হয়তো পুতিনের রোষের কারণেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হলো। বিষয়টি যদিও স্পষ্ট নয়, তবে অমূলকও নয়। কারণ, এর আগেও পুতিনের অনেক ‘প্রতিপক্ষই’ অস্বাভাবিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন, নয়তো অন্য কোনোভাবে মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত হয়েছেন।
ভ্লাদিমির কারামুরজা
রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং অধিকারকর্মী ভ্লাদিমির কারামুরজা পুতিনবিরোধী মুখ বলে পরিচিত। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। পরে অবশ্য জার্মানির একটি গবেষণাগারে কারামুরজার শরীরের নমুনায় উচ্চ মাত্রার পারদ, তামা, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মস্কো এই ঘটনাও নিজেদের সংযোগ অস্বীকার করে।
সের্গেই স্ক্রিপাল
সের্গেই স্ক্রিপাল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ডবল এজেন্ট ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি রাশিয়ার গোয়েন্দা তথ্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাচার করা শুরু করেন। পরে ২০১৮ সালের মার্চে ব্রিটেনের স্যালিসবারি শহরে একটি শপিং সেন্টারের বাইরে একটি বেঞ্চে স্ক্রিপাল এবং তাঁর কন্যা ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানান, ওই দুজনকেই নভিচক বিষ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীর গবেষকেরা ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-এর দশকে এই বিষ আবিষ্কার করেন। পরে এই বিষের প্রভাব কাটিয়ে স্ক্রিপাল ও ইউলিয়া—দুজনেই বেঁচে যান।
আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো
একসময় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি ও দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো। পরে এই বাহিনীগুলোর অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ১৯৯৮ সালে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান ছিলেন।
এই অবস্থায় লিৎভিনেঙ্কোকে চিরতরে সরিয়ে দিতে ২০০৬ সালে কেজিবির দুই গোয়েন্দাকে যুক্তরাজ্যে পাঠান পুতিন। তাঁদেরই একজন ছিলেন আন্দ্রেই লুগোভই। লিৎভিনেঙ্কোর সঙ্গে লন্ডনের মিলেনিয়াম হোটেলে সাক্ষাৎ করে তাঁর চায়ের কাপে শক্তিশালী তেজস্ক্রিয় ধাতু ‘পোলোনিয়াম’ ঢেলে দিয়েছিলেন লুগোভই। মারাত্মক ওই তেজস্ক্রিয়তায় ২৩ দিন ভুগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন লিৎভিনেঙ্কো। তবে মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই রাসায়নিক হামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে গিয়েছিলেন তিনি।
আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি
রাশিয়া থেকে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করেছিলেন পেরিপিলিচনি। এরপর প্রাণভয়ে তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পরে ব্রিটেনেই নিবাস গড়েন। তিন বছর পর ২০১২ সালের নভেম্বরের এক সকালে জগিং করার জন্য বের হওয়ার পর বাড়ির মূল ফটকের সামনে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
পেরিপিলিচনির মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশ এমন বিষয় প্রমাণের অভাবে উড়িয়ে দেয়। তবে তাঁর পেটে জেলসেমিয়াম উদ্ভিদ থেকে তৈরি একটি বিরল এবং মারাত্মক বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগের দিন পেরিপিলিচনি বড় এক বাটি ঐতিহ্যবাহী রুশ খাবার এবং স্যুপ খেয়েছিলেন।
এই মৃত্যুর পর সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে উঠলেও মস্কো অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ এবং দেশটির তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা। ২০০৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। তিনি সেই নির্বাচনে মস্কোপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের মদতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ইউশচেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক নৈশভোজের সময় তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল। এরপর পরীক্ষায় তাঁর শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি ডাইঅক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই বিষক্রিয়ার ফলে তাঁর মুখমণ্ডল ও শরীর বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এবং পরে বেশ কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করে স্বাভাবিক হন তিনি।
ইউক্রেনে সংঘটিত কমলা বিপ্লবের সময় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথমে ভিক্তর ইয়ানুকোভিচকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইউশচেঙ্কো বিপুল ভোটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
অ্যানা পলিতকোভস্কায়া
মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক অ্যানা পলিতকোভস্কায়াকে ২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলি করার ঠিক আগে অ্যানা স্থানীয় সুপারমার্কেট থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। অ্যানার মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব জোর গলায় আওয়াজ তোলে রাশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে।

অ্যালেক্সি নাভালনি নিকট অতীতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন। সেই নাভালনি দেশটির উত্তর মেরুতে অবস্থিত কারাগারে মারা গেছেন আজ শুক্রবার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকে ভাবছেন, নাভালনিও হয়তো পুতিনের অন্য শত্রুদের মতোই রহস্যময় পরিণতি বরণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশ কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নাভালনি হাঁটাহাঁটির পর অসুস্থতা বোধ করেন এবং একটু পরই জ্ঞান হারান। দ্রুত চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স দলকে ডাকা হয়। তাঁর জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’
এখন পর্যন্ত নাভালনির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। রুশ সরকারও সেভাবে মুখ খুলছে না। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক নেতাই নাভালনির মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না। রাশিয়ার এক নির্বাসিত লেখক নাভালনির মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, নাভালনি পুতিনের নির্মমতার শিকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়া দায়ী।
এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে তোলা হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নাকি তিনিও পুতিনের অন্যান্য শত্রুর মতোই রহস্যজনকভাবে চিরপ্রস্থান করলেন।
নাভালনি ছাড়াও আরও অনেকে পুতিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেননি, এমনকি তাঁদের অনেকেরই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নাভালনি সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন।
অ্যালেক্সি নাভালনি ছাড়াও পুতিনের যেসব প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সময় রহস্যজনক করুণ পরিণতি বরণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন, ভ্লাদিমির কারামুরজা, আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো, আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি, ভিক্তর ইউশচেঙ্কো এবং আনা পলিৎকোভস্কায়া উল্লেখযোগ্য। তাঁদের পরিণতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
অ্যালেক্সি নাভালনি
নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ইউলিয়া, মেয়ের নাম দারিয়া এবং ছেলের নাম জাহার। নাভালনি ১৯৭৬ সালে মস্কোর নিকটবর্তী শহর বায়তনে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চশিক্ষা নেন অর্থনীতি ও আইন বিষয়ে। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া’।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগঠন করেছেন।
নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচন করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।
এরপর ২০২০ সালের আগস্টে একটি সফরে নাভালনির খাবারের বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তাঁর খাবারে সামরিক নার্ভ এজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নাভালনি অভিযোগ করেন, এই বিষয়টির সঙ্গে পুতিন জড়িত। তবে ক্রেমলিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সংস্থা ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হয় গত বছরের ২৪ আগস্ট। একসময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেশ আস্থাভাজন ছিলেন প্রিগোঝিন। কিন্তু গত বছরের ২৩ ও ২৪ জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পুতিনের চক্ষুশূল হন তিনি। তখন পুতিন প্রিগোঝিনকে কিছু না বললেও বিদ্রোহকে ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরুর উদ্যোগ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
যাহোক, পুতিন সে সময় প্রিগোঝিনকে ক্ষমা করে দিলেও বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি অনেক জল্পনাকল্পনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে অনেকে তখন ভেবেছেন, হয়তো পুতিনের রোষের কারণেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হলো। বিষয়টি যদিও স্পষ্ট নয়, তবে অমূলকও নয়। কারণ, এর আগেও পুতিনের অনেক ‘প্রতিপক্ষই’ অস্বাভাবিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন, নয়তো অন্য কোনোভাবে মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত হয়েছেন।
ভ্লাদিমির কারামুরজা
রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং অধিকারকর্মী ভ্লাদিমির কারামুরজা পুতিনবিরোধী মুখ বলে পরিচিত। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। পরে অবশ্য জার্মানির একটি গবেষণাগারে কারামুরজার শরীরের নমুনায় উচ্চ মাত্রার পারদ, তামা, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মস্কো এই ঘটনাও নিজেদের সংযোগ অস্বীকার করে।
সের্গেই স্ক্রিপাল
সের্গেই স্ক্রিপাল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ডবল এজেন্ট ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি রাশিয়ার গোয়েন্দা তথ্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাচার করা শুরু করেন। পরে ২০১৮ সালের মার্চে ব্রিটেনের স্যালিসবারি শহরে একটি শপিং সেন্টারের বাইরে একটি বেঞ্চে স্ক্রিপাল এবং তাঁর কন্যা ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানান, ওই দুজনকেই নভিচক বিষ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীর গবেষকেরা ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-এর দশকে এই বিষ আবিষ্কার করেন। পরে এই বিষের প্রভাব কাটিয়ে স্ক্রিপাল ও ইউলিয়া—দুজনেই বেঁচে যান।
আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো
একসময় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি ও দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো। পরে এই বাহিনীগুলোর অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ১৯৯৮ সালে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান ছিলেন।
এই অবস্থায় লিৎভিনেঙ্কোকে চিরতরে সরিয়ে দিতে ২০০৬ সালে কেজিবির দুই গোয়েন্দাকে যুক্তরাজ্যে পাঠান পুতিন। তাঁদেরই একজন ছিলেন আন্দ্রেই লুগোভই। লিৎভিনেঙ্কোর সঙ্গে লন্ডনের মিলেনিয়াম হোটেলে সাক্ষাৎ করে তাঁর চায়ের কাপে শক্তিশালী তেজস্ক্রিয় ধাতু ‘পোলোনিয়াম’ ঢেলে দিয়েছিলেন লুগোভই। মারাত্মক ওই তেজস্ক্রিয়তায় ২৩ দিন ভুগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন লিৎভিনেঙ্কো। তবে মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই রাসায়নিক হামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে গিয়েছিলেন তিনি।
আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি
রাশিয়া থেকে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করেছিলেন পেরিপিলিচনি। এরপর প্রাণভয়ে তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পরে ব্রিটেনেই নিবাস গড়েন। তিন বছর পর ২০১২ সালের নভেম্বরের এক সকালে জগিং করার জন্য বের হওয়ার পর বাড়ির মূল ফটকের সামনে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
পেরিপিলিচনির মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশ এমন বিষয় প্রমাণের অভাবে উড়িয়ে দেয়। তবে তাঁর পেটে জেলসেমিয়াম উদ্ভিদ থেকে তৈরি একটি বিরল এবং মারাত্মক বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগের দিন পেরিপিলিচনি বড় এক বাটি ঐতিহ্যবাহী রুশ খাবার এবং স্যুপ খেয়েছিলেন।
এই মৃত্যুর পর সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে উঠলেও মস্কো অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ এবং দেশটির তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা। ২০০৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। তিনি সেই নির্বাচনে মস্কোপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের মদতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ইউশচেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক নৈশভোজের সময় তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল। এরপর পরীক্ষায় তাঁর শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি ডাইঅক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই বিষক্রিয়ার ফলে তাঁর মুখমণ্ডল ও শরীর বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এবং পরে বেশ কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করে স্বাভাবিক হন তিনি।
ইউক্রেনে সংঘটিত কমলা বিপ্লবের সময় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথমে ভিক্তর ইয়ানুকোভিচকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইউশচেঙ্কো বিপুল ভোটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
অ্যানা পলিতকোভস্কায়া
মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক অ্যানা পলিতকোভস্কায়াকে ২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলি করার ঠিক আগে অ্যানা স্থানীয় সুপারমার্কেট থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। অ্যানার মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব জোর গলায় আওয়াজ তোলে রাশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৩ মিনিট আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৩ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত ছয়টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর শান্তি আলোচকেরা বারবার দাবি করছেন, পুতিন এই যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী। তবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার সময় পুতিনের যে লক্ষ্য ছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত। তিনি কেবল ইউক্রেন নয়, বরং ন্যাটোর জোটভুক্ত বাল্টিক দেশগুলো ও পোল্যান্ডের মতো অঞ্চলের জন্যও হুমকি।
ট্রাম্প প্রশাসন চলমান যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রস্তুতকৃত) বলছে, পুতিন দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমানে ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ২০ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
সম্প্রতি বার্লিনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে কিন্তু ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর অধীনে ইউক্রেনের সীমান্তে ইউরোপীয় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে সেনার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ লাখে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে, তবে রাশিয়া একে আরও কমানোর দাবি তুলছে।
আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখল করা ভূখণ্ড। অভিযোগ উঠেছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দনবাসের অন্য অংশ (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেবে না। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তার উত্তর এখনো আমি পাইনি।’
মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড অবশ্য ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না এবং বর্তমানে তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বীকার করেছেন, পুতিন কি সত্যিই চুক্তি করতে চান, না পুরো দেশ দখল করতে চান—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত ছয়টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর শান্তি আলোচকেরা বারবার দাবি করছেন, পুতিন এই যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী। তবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার সময় পুতিনের যে লক্ষ্য ছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত। তিনি কেবল ইউক্রেন নয়, বরং ন্যাটোর জোটভুক্ত বাল্টিক দেশগুলো ও পোল্যান্ডের মতো অঞ্চলের জন্যও হুমকি।
ট্রাম্প প্রশাসন চলমান যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রস্তুতকৃত) বলছে, পুতিন দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমানে ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ২০ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
সম্প্রতি বার্লিনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে কিন্তু ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর অধীনে ইউক্রেনের সীমান্তে ইউরোপীয় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে সেনার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ লাখে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে, তবে রাশিয়া একে আরও কমানোর দাবি তুলছে।
আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখল করা ভূখণ্ড। অভিযোগ উঠেছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দনবাসের অন্য অংশ (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেবে না। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তার উত্তর এখনো আমি পাইনি।’
মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড অবশ্য ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না এবং বর্তমানে তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বীকার করেছেন, পুতিন কি সত্যিই চুক্তি করতে চান, না পুরো দেশ দখল করতে চান—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৩ মিনিট আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৩ মিনিট আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
২ ঘণ্টা আগে