Ajker Patrika

এই রহস্য মানবীর জন্যই কি ধরা পড়লেন টেলিগ্রাম বস দুরভ

অনলাইন ডেস্ক
এই রহস্য মানবীর জন্যই কি ধরা পড়লেন টেলিগ্রাম বস দুরভ

২৪ বছর বয়সী এই ‘ক্রিপটো বিশেষজ্ঞ’ এবং ভিডিও গেম স্ট্রিমারের নাম জুলি ভাভিলোভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জল্পনা শুরু হয়েছে, ফ্রান্সে টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভের গ্রেপ্তারের সঙ্গে রহস্যময় এই নারীর যোগসূত্র রয়েছে।

মঙ্গলবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেমলিনের কাছে এনক্রিপ্ট করা ডেটা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করার পর ২০১৪ সালে রাশিয়া থেকে পালানো দুরভ দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। সর্বশেষ টেলিগ্রামের অসংযমী ব্যবহার এবং এই প্ল্যাটফর্মে ক্রিপটোমুদ্রা ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে মাদক পাচার এবং শিশু নির্যাতনে জড়িত থাকার দাবি সহ বিভিন্ন অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চলমান তদন্তের অংশ হিসাবে দুরভের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কাছাকাছি লে বোর্গেট বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে দুরভের সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন রহস্য মানবী ভ্যাভিলোভা। গত শনিবার দুরভের গ্রেপ্তারের পর থেকে ভ্যাভিলোভার আর কোনো খোঁজ নেই। এ অবস্থায় তাঁর পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এএফপিকে তাঁরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর ভ্যাভিলোভার সঙ্গে তাঁদের আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

দুরভের গ্রেপ্তারের পেছনে ভ্যাভিলোভার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যকলাপ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন ফরাসি ‘গোপন তথ্য’ গবেষক ব্যাপটিস্ট রবার্ট। তাঁর মতে, ভ্যাভিলোভার পোস্টগুলো পাভেল দুরভের সঙ্গে তাঁর আজারবাইজান সহ অন্যান্য স্থানে ভ্রমণের বিষয়টিকে চিহ্নিত করে। এমনও হতে পারে, অসাবধানতাবশত টেলিগ্রাম বস দুরভের গতিবিধি প্রকাশ পেয়েছিল ভ্যাভিলোভার পোস্টগুলোর মাধ্যমে। এ বিষয়ে রবার্ট বলেন, ‘তাঁর (ভ্যাভিলোভা) পোস্টগুলো দুরভকে গ্রেপ্তারে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে কিনা, তা বলা কঠিন। তবে আপনি যদি তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুসরণ করেন তবে আপনি সহজেই দুরভের গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারেন।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভাভিলোভার পোস্টগুলোর একটি সংকলন শেয়ার করেছেন রবার্ট। ভ্যাভিলোভার ভ্রমণের সঙ্গে দুরভের কথিত ভ্রমণপথগুলোর একটি আকর্ষণীয় সম্পর্ক দেখা যায় এই পোস্টগুলোতে। শুধু তাই নয়, উজবেকিস্তানে দুরভের সঙ্গে ভ্যাভিলোভার একটি ভিডিও রয়েছে। একটি পোস্টে গত ২১ আগস্ট আজারবাইজানে দুরভের গাড়িতে ভ্যাভিলোভাকেও দেখা গেছে।

ভ্যাভিলোভার অন্যান্য পোস্টগুলোতে এটাই দেখা যায় যে—দুরভ এবং তিনি আজারবাইজানের রাজধানীতে একই শুটিং রেঞ্জ পরিদর্শন এবং হোটেলে অবস্থান করেছেন। আপাতদৃষ্টিতে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেলেও তাঁদের সম্পর্কের সঠিক প্রকৃতি এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। কখন বা কিভাবে তাঁদের দেখা হয়েছিল তা এখনো অজানা। তবে দুজনই দুবাইয়ে থাকেন। সেখানেই টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপের সদর দপ্তর অবস্থিত।

এদিকে দুরভের গ্রেপ্তারের পর ভ্যাভিলোভার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেই নানা ধরনের তত্ত্ব দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ারকে ধরার জন্য ভ্যাভিলোভাকে ‘হানি-ট্র্যাপ’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এমন দাবি পক্ষে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত