Ajker Patrika

বন্ধু বায়রুকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করলেন মাখোঁ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ২৪
ফ্রান্সোয়াঁ বায়রু ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
ফ্রান্সোয়াঁ বায়রু ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আজ শুক্রবার তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু ফ্রান্সোয়াঁ বায়রুকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেছেন। এর আগে ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার; যা ফ্রান্সকে একটি নতুন সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

৭৩ বছর বয়সী বায়রু মাখোঁর কেন্দ্রীয় জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ফরাসি রাজনীতিতে তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যা ফ্রান্সের বর্তমান সংকট পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট মাখোঁর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বায়রুকে ‘একটি নতুন সরকার গঠন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে’।

আগের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার ৪ ডিসেম্বর বাজেট–বিষয়ক একটি বিতর্কের পর অনাস্থা ভোটে পদত্যাগ করেন, ফলে তখন থেকে ফ্রান্সে আর কোনো কার্যকর সরকার ছিলেন না।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে মাখোঁ জানান, তিনি ২০২৭ সালে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন। কিন্তু মাখোঁর কেন্দ্রীয় জোট পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায়, ক্ষমতায় থাকতে হলে বায়রুর মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাম ও ডানপন্থী আইনপ্রণেতাদের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে কিছু কনজারভেটিভ দলের কিছু সদস্য এই নতুন সরকারের অংশ হতে পারে।

ফ্রান্সোয়াঁ বায়রু ২০০৭ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা মডেম নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০১৭ সালে প্রথম মাখোঁর প্রেসিডেনশিয়াল প্রচারণায় সমর্থন দেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্টের কেন্দ্রীয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে ওঠেন। সেই সময় তাঁকে বিচারমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু মডেমের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলে দুর্নীতির অভিযোগে দ্রুত এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তী সময় চলতি বছরের শুরুতে প্যারিস আদালত এই মামলায় বায়রুকে নির্দোষ ঘোষণা করে।

১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত কনজারভেটিভ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বায়রু ফরাসি জনসাধারণের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি তিনবার ২০০২, ২০০৭ ও ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

তবে রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানান দিচ্ছে যে বার্নিয়ের জায়গায় নতুন যে-ই আসুক না কেন, একই সমস্যার মুখোমুখি হবেন এবং ব্যর্থ হবেন। তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না এবং সরকারি ব্যয় কমানোর নতুন উদ্যোগের গ্রহণযোগ্যতা পাবেন না। ফলে আরও অনাস্থা প্রস্তাব আসতে পারে এবং সরকারের পতন হওয়ার আশঙ্কা আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত