আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার খেলার মাঠগুলো প্রতিনিয়ত প্যারেড গ্রাউন্ডে পরিণত হচ্ছে। দেশটির সব স্কুলের নার্সারির শিশুরা সামরিক পোশাক পরে মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে। কীভাবে পরিখা খনন করা হয়, গ্রেনেড ছোড়া হয় এবং সত্যিকারের গোলাবারুদ দিয়ে হামলা চালাতে হয়, একটু বড় শিশুদের সেসব শেখানো হচ্ছে।
প্রায় সব বিদ্যালয়েই সেনাবাহিনীতে চাকরিকে গৌরবান্বিত করা হচ্ছে, কিশোরদের ‘স্বেচ্ছাসেবামূলক কোম্পানি’ গঠন করা হচ্ছে, মাতৃভূমি সুরক্ষার ওপর জোর দিয়ে জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হচ্ছে। মোটকথা হলো, শিশুদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে রাশিয়ার সরকারি স্কুলগুলোয় সামরিকায়ন তীব্রতর হয়েছে। এটা অবশ্য স্বতঃস্ফূর্ত দেশপ্রেমের জায়গা থেকে হয়নি, সরকারের চাপে হয়েছে।
সামরিকায়নে দেশটির বিনিয়োগ বিপুল। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী সের্গেই ক্রাভ্ৎসোফ সম্প্রতি বলেছেন, রুশ স্কুল এবং কলেজগুলোতে এখন অন্তত ১০ হাজারের মতো তথাকথিত ‘সামরিক-দেশপ্রেমিক’ ক্লাব রয়েছে এবং আড়াই লাখ লোক তাদের কাজে অংশ নেয়। এসব ক্লাব একটি বহুমুখী প্রচেষ্টার অংশ, যার মধ্যে স্কুল পাঠ্যক্রমে আমূল সংস্কার অন্তর্ভুক্ত। এ পাঠ্যক্রমে সামরিক-দেশপ্রেমিক মূল্যবোধের ওপর বাধ্যতামূলক ক্লাসের পাশাপাশি হালনাগাদ ইতিহাসের বইগুলোয় রাশিয়ার সামরিক বিজয়ের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা আছে।
এদিকে গত আগস্টে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্কুলগুলোয় একটি নতুন কোর্স বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে এক আইনে সই করেছেন। ওই কোর্সটি হলো ‘ফান্ডামেন্টাল অব সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স অব মাদারল্যান্ড’।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় পুতিনের এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সামরিক ইউনিটে ভ্রমণ, সামরিক গেমস, সামরিক কর্মকর্তা ও সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করা প্রবীণদের সঙ্গে বৈঠক এবং ড্রোনের ওপর ক্লাসগুলো অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি প্রোমোট করছে।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞ সামরিক ইউনিট অফিসার বা প্রশিক্ষকদের নির্দেশনায় এককভাবে ফায়ারিং লাইনে লাইভ গোলাবারুদ ব্যবহার শেখানো হবে।
রাশিয়ার স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট ইম্পরটেন্ট স্টোরিজের উন্মোচন করা দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নথি অনুসারে, কর্মসূচিটি এ বছর নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং ২০২৪ সালে প্রবর্তন করা হবে। কর্মসূচিটি শিক্ষার্থীদের মনে সামরিক পোশাক, আদবকেতা, যুদ্ধ ঐতিহ্যের নান্দনিকতা সম্পর্কে বোঝাপড়া ও গ্রহণযোগ্যতা প্রোথিত করার উদ্দেশ্যেই সাজানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাশিয়ার আধুনিক ইতিহাসও নতুন করে লেখা হচ্ছে। এই স্ট্যান্ডার্ড পাঠ্যবইটির নাম ‘রাশিয়ার ইতিহাস’। ক্রিমিয়া সেতুকে এর প্রচ্ছদ করা হয়েছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটা অধ্যায় এতে সংযোজন করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে ‘ইতিহাসের মিথ্যায়ন’, ‘নাৎসিবাদের উত্থান’, ‘ইউক্রেনীয় নব্য-নাৎসিবাদ’ এবং ‘রাশিয়া বীরের দেশ’ নামে উপ-অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পুতিন বারবারই অসত্যভাবে ইউক্রেনে রুশ হামলাকে ‘নব্য-নাৎসিদের’ কাছ থেকে রাশিয়ার জনগণকে সুরক্ষার ‘বিশেষ মিশন’ হিসেবে অভিহিত করে আসছেন।
নতুন অধ্যায়ে অসত্যভাবে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন প্রকাশ্যে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করেছে এবং সব রকমভাবে অর্থনীতিকে দমিয়ে রাখতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো নজিরবিহীনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
রাশিয়ার খেলার মাঠগুলো প্রতিনিয়ত প্যারেড গ্রাউন্ডে পরিণত হচ্ছে। দেশটির সব স্কুলের নার্সারির শিশুরা সামরিক পোশাক পরে মহড়ায় অংশগ্রহণ করছে। কীভাবে পরিখা খনন করা হয়, গ্রেনেড ছোড়া হয় এবং সত্যিকারের গোলাবারুদ দিয়ে হামলা চালাতে হয়, একটু বড় শিশুদের সেসব শেখানো হচ্ছে।
প্রায় সব বিদ্যালয়েই সেনাবাহিনীতে চাকরিকে গৌরবান্বিত করা হচ্ছে, কিশোরদের ‘স্বেচ্ছাসেবামূলক কোম্পানি’ গঠন করা হচ্ছে, মাতৃভূমি সুরক্ষার ওপর জোর দিয়ে জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হচ্ছে। মোটকথা হলো, শিশুদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে রাশিয়ার সরকারি স্কুলগুলোয় সামরিকায়ন তীব্রতর হয়েছে। এটা অবশ্য স্বতঃস্ফূর্ত দেশপ্রেমের জায়গা থেকে হয়নি, সরকারের চাপে হয়েছে।
সামরিকায়নে দেশটির বিনিয়োগ বিপুল। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী সের্গেই ক্রাভ্ৎসোফ সম্প্রতি বলেছেন, রুশ স্কুল এবং কলেজগুলোতে এখন অন্তত ১০ হাজারের মতো তথাকথিত ‘সামরিক-দেশপ্রেমিক’ ক্লাব রয়েছে এবং আড়াই লাখ লোক তাদের কাজে অংশ নেয়। এসব ক্লাব একটি বহুমুখী প্রচেষ্টার অংশ, যার মধ্যে স্কুল পাঠ্যক্রমে আমূল সংস্কার অন্তর্ভুক্ত। এ পাঠ্যক্রমে সামরিক-দেশপ্রেমিক মূল্যবোধের ওপর বাধ্যতামূলক ক্লাসের পাশাপাশি হালনাগাদ ইতিহাসের বইগুলোয় রাশিয়ার সামরিক বিজয়ের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা আছে।
এদিকে গত আগস্টে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্কুলগুলোয় একটি নতুন কোর্স বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে এক আইনে সই করেছেন। ওই কোর্সটি হলো ‘ফান্ডামেন্টাল অব সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স অব মাদারল্যান্ড’।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় পুতিনের এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সামরিক ইউনিটে ভ্রমণ, সামরিক গেমস, সামরিক কর্মকর্তা ও সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করা প্রবীণদের সঙ্গে বৈঠক এবং ড্রোনের ওপর ক্লাসগুলো অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি প্রোমোট করছে।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞ সামরিক ইউনিট অফিসার বা প্রশিক্ষকদের নির্দেশনায় এককভাবে ফায়ারিং লাইনে লাইভ গোলাবারুদ ব্যবহার শেখানো হবে।
রাশিয়ার স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট ইম্পরটেন্ট স্টোরিজের উন্মোচন করা দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নথি অনুসারে, কর্মসূচিটি এ বছর নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং ২০২৪ সালে প্রবর্তন করা হবে। কর্মসূচিটি শিক্ষার্থীদের মনে সামরিক পোশাক, আদবকেতা, যুদ্ধ ঐতিহ্যের নান্দনিকতা সম্পর্কে বোঝাপড়া ও গ্রহণযোগ্যতা প্রোথিত করার উদ্দেশ্যেই সাজানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাশিয়ার আধুনিক ইতিহাসও নতুন করে লেখা হচ্ছে। এই স্ট্যান্ডার্ড পাঠ্যবইটির নাম ‘রাশিয়ার ইতিহাস’। ক্রিমিয়া সেতুকে এর প্রচ্ছদ করা হয়েছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটা অধ্যায় এতে সংযোজন করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে ‘ইতিহাসের মিথ্যায়ন’, ‘নাৎসিবাদের উত্থান’, ‘ইউক্রেনীয় নব্য-নাৎসিবাদ’ এবং ‘রাশিয়া বীরের দেশ’ নামে উপ-অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পুতিন বারবারই অসত্যভাবে ইউক্রেনে রুশ হামলাকে ‘নব্য-নাৎসিদের’ কাছ থেকে রাশিয়ার জনগণকে সুরক্ষার ‘বিশেষ মিশন’ হিসেবে অভিহিত করে আসছেন।
নতুন অধ্যায়ে অসত্যভাবে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন প্রকাশ্যে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করেছে এবং সব রকমভাবে অর্থনীতিকে দমিয়ে রাখতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো নজিরবিহীনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কয়েক মাস ধরে যেভাবে ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীরা পাশ থেকে সরে যাচ্ছিলেন, তাতে ট্রুডোর পদত্যাগ প্রত্যাশিতই ছিল। কানাডায় টানা প্রায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ট্রুডোর এই পরিণতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে ভঙ্গুর অর্থনীতি।
৫ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালে নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলনকে সরকার সহিংসভাবে দমনের পরও ইরানি নারীরা প্রকাশ্যে হিজাব খুলে গান ও নাচের মাধ্যমে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিগত তিন সপ্তাহে অন্তত তিনজন বিশিষ্ট নারী শিল্পী এ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে প্রকাশ্যে হিজাব উন্মোচন করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেকেনিয়ায় গত বছর জুনের শেষ দিকে কর বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির প্রতিবাদে হাজার হাজার তরুণ সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসেন। এই বিক্ষোভ প্রতিবাদগুলো তখন ‘জেন জি প্রতিবাদ’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
৭ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার দেশটির রাজধানী অটোয়ায় নিজ বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে