চেক প্রজাতন্ত্রে নিজের বাবাসহ ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করল বন্দুকধারী 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭: ৪০
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ১২

ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের বাবাসহ ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করেছেন ২৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই ১৪ জনকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বন্দুকধারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। এর আগে কখনো একক বন্দুকধারীর হাতে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়নি। এ ঘটনায় চেক প্রজাতন্ত্রের সরকার ২৩ ডিসেম্বর এক দিনের জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট পিতর পাভেল এ ঘোষণা দেন।

পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল প্রাগের চার্লস ইউনিভার্সিটির একটি এলাকা থেকে অস্ত্রের একটি বড় মজুত আবিষ্কার করে। পুলিশের অনুমান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্ভবত রাজধানীর বাইরে ক্লাদনো অঞ্চলের নিজ শহর থেকে প্রাগের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে। যাই হোক, অস্ত্রের মজুত উদ্ধারের কিছু সময় পর বন্দুকধারীর বাবাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। দেশটির পুলিশপ্রধান মার্টিন ভন্ড্রাসেক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ক্যাম্পাসে পৌঁছায়।

অসমর্থিত সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, চলতি বছরের শরতে রাশিয়ার একটি সন্ত্রাসী হামলায় অনুপ্রাণিত হয়ে ওই শিক্ষার্থী এই হামলা চালিয়েছেন। পুলিশপ্রধান ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী শিক্ষার্থীর কাছে বেশ কয়েকটি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত, যার শুরুটা হয়েছিল ক্লাদনো অঞ্চলে এবং শেষ হয়েছে প্রাগে।

এই ১৪ জনের হত্যার ঘটনার পর পুলিশ এখন ওই শিক্ষার্থীর দ্বারা আরও দুজনকে হত্যার বিষয়ে সন্দেহ করছে। পুলিশপ্রধান জানান, সপ্তাহখানেক আগে প্রাগের বাইরের একটি অঞ্চলে এক নারী ও তাঁর দুই মাস বয়সী সন্তানকে একটি জঙ্গলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী সম্ভবত ওই ১৪ জনকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। তবে তিনি পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছেন কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী ওই শিক্ষার্থী খুবই মেধাবী ছিলেন এবং তাঁর আগের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। এ ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে অনুমান করা হচ্ছে। 

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট পিতর পাভেল বলেন, ‘এতগুলো তরুণ জীবনের অপ্রয়োজনীয় ক্ষতির ঘটনায় আমি অসহায় ক্রোধের সঙ্গে সঙ্গে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমি হতাহতদের পরিবার-পরিজনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাতে চাই। এ ঘটনা চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখজনক।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত