
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকাদের মধ্যে যিনি সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাজ্যে শীর্ষে। সাত দশক রানির ভূমিকায় থাকা এলিজাবেথ আর কিছুদিন বেঁচে থাকলেই সিংহাসনে অবস্থানকাল বিচারে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতেন। এই এত দীর্ঘ সময় যিনি সিংহাসনে থাকলেন, তাঁর কিন্তু এত দূর আসার কথাই ছিল না। কিন্তু ছোট্ট লিলিবেট থেকে রানির আসন নেওয়াটাই যেন তাঁর জন্য অবধারিত ছিল।
১৯২৬ সালে লন্ডনের মেফেয়ারে জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল এলিজাবেথ আলেক্সান্দ্রা মেরি উইন্ডসর। তারিখটি ছিল ২১ এপ্রিল। পরিবারের সদস্যদের কাছে সে আদরের লিলিবেট নামেই পরিচিত ছিল। সেই লিলিবেট একদিন রানি হবে, তা সে সময় কেউ ভাবতেও পারেনি। অভিজাত রাজপরিবারের জন্ম হলেও সিংহাসনের উত্তরসূরিদের মধ্যে তার অবস্থান ছিল অনেক পরে।

কিন্তু কতভাবেই না ভাগ্যের বাঁকবদল হয়। রাজা পঞ্চম জর্জের দ্বিতীয় ছেলে ডিউক অব ইয়র্ক আলবার্ট ও লেডি এলিজাবেথ বোস-লিয়নের ঘরে প্রথম সন্তান হিসেবে জন্ম হওয়া লিলিবেটের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল দাদা পঞ্চম জর্জ ও বাবা আলবার্টের। সে সময় সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে ছিলেন পঞ্চম জর্জের প্রথম সন্তান অষ্টম এডওয়ার্ড। সিংহাসন থেকে বেশ দূরেই ছিলেন লিলিবেট।
লিলিবেট ও ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া তার ছোট বোন মার্গারেটের শিক্ষা হয়েছে ঘরেই। বেশ আদুরে পরিবেশেই তারা বেড়ে উঠেছে। কোনো স্কুলে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রথাগত শিক্ষা না নিলেও এলিজাবেথের বিভিন্ন ভাষায় দখল ছিল ঈর্ষণীয়। আর সাংবিধানিক ইতিহাস নিয়ে করেছেন বিস্তর পড়াশোনা। রাজকীয় পরিবারে বেড়ে ওঠায় একটা সঙ্গীহীনতার সংকট থেকেই যায়। লিলিবেট ও মার্গারেটের এই সঙ্গীহীনতা কাটাতে বাকিংহাম প্রাসাদে গঠন করা হয় একটি বিশেষ গার্লস গাইড কোম্পানি, যাতে তারা সমবয়সী মেয়েদের সঙ্গে সামাজিক মেলামেশাটা করতে পারে।

সব ঠিকঠাক চলছিল। ১৯৩৬ সালে পঞ্চম জর্জ মারা গেলে তাঁর বড় ছেলে ডেভিড অষ্টম এডওয়ার্ড নাম নিয়ে সিংহাসনে আরোহণ করেন। লিলিবেটের বয়স তখন ১০ বছর। সিংহাসন তখনো তার থেকে বহু দূর। এই দূরত্বের একটা স্বস্তিও হয়তো ছিল। কিন্তু তা টিকল না বেশি দিন। গোল বাধল অষ্টম এডওয়ার্ডের বিয়ে নিয়ে। দুবার বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া মার্কিন ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পক্ষগুলো তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট হয়। বিষয়টি ক্রমেই জটিল আকার নেয়। অষ্টম এডওয়ার্ড থেকে লিলিবেটের কাকা আবার ডেভিডে পরিণত হন। অনেকটা আকস্মিকভাবেই বাবা ডিউক অব ইয়র্ক আলবার্টের মাথায় ওঠে মুকুট, নাম হয় ষষ্ঠ জর্জ। চকিতেই বলা যায় লিলিবেট হয়ে যান সিংহাসনের উত্তরসূরি।
ষষ্ঠ জর্জ সিংহাসনে যখন বসলেন, তখন গোটা বিশ্ব ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। তিরিশের মন্দার সেই সময়ে বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চল উত্তেজনাময়। বিশেষত ইউরোপ তখন রাজনৈতিক উত্তেজনার তুঙ্গে। তিন বছরের মধ্যেই জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় ব্রিটেন, যা পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেয়। সেই সংকট সময়ে রানি এলিজাবেথকে নিয়ে রাজতন্ত্রে মানুষের আস্থা ফেরাতে কাজে নামেন পঞ্চম জর্জ। লিলিবেট, যিনি উত্তরসূরি হওয়ার মধ্য দিয়ে সবার কাছে দ্বিতীয় এলিজাবেথ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছেন কেবল, তিনি তখন একটু একটু শিখছেন এই কলাকৌশল।

রাজা ও রানির সঙ্গে ডার্টমাউথে রয়্যাল নেভি কলেজে গেলেন ১৩ বছর বয়সী রাজকুমারী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেখানে তাঁকে ও তাঁর বোন মার্গারেটকে সঙ্গ দিলেন তাঁর দূর সম্পর্কের ভাই এবং নেভাল কলেজের ক্যাডেট প্রিন্স ফিলিপ অব গ্রিস। এই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ, যা পরে নিয়মিত যোগাযোগে পরিণত হয়। ১৮ বছরের পড়তে পড়তেই ফিলিপের প্রেমে পড়ে গেলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রাজকুমারীর ঘরে তখন ফিলিপের ছবি শোভা পায়। দুজন দেওয়া-নেওয়া করেন চিঠি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজা পঞ্চম জর্জকে ফিলিপকে বিয়ের ইচ্ছার কথা জানালেন রাজকন্যা। কিন্তু বিদেশি রক্ত শরীরে বহনকারী ফিলিপের সঙ্গে বিয়েটা এত সহজ ছিল না। উপরন্তু বাবা তাঁর এই মেয়ের ওপর অনেকটাই আস্থা রাখতেন। তিনি কোনোভাবেই মেয়েকে দূরে কোথাও পাঠাতে চাইছিলেন না। অনেক জলঘোলার পর অবশেষে প্রণয়েরই জয় হলো। ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে বিয়ে হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ফিলিপের। এর মধ্য দিয়ে ফিলিপ নতুন নাম পেলেন; ডিউক অব এডিনবার্গ। তখনো তিনি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা।

বিয়ের পর অল্প কিছুদিনের জন্য ফিলিপের কর্মস্থল ঠিক করা হলো মাল্টায়, যা ছিল আদতে নতুন দম্পতির নিভৃতে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ, যাতে তাঁরা তুলনামূলক সাধারণ জীবন অন্তত কিছুদিন উপভোগ করতে পারেন। ১৯৪৮ সালে জন্ম হয় প্রথম সন্তান চার্লসের। ১৯৫০ সালে কোলজুড়ে আসে চার্লসের বোন অ্যান। এদিকে রাজা পঞ্চম জর্জের শরীর ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। প্রচুর ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৫২ সাল। ফিলিপসহ ভ্রমণে যাবেন তখনকার ২৫ বছর বয়সী তরুণী এলিজাবেথ। চিকিৎসকের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে এই যুগলকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে গেলেন রাজা পঞ্চম জর্জ। এটিই ছিল বাবাকে শেষবারের মতো দেখা। বাবার মৃত্যুসংবাদ যখন এলিজাবেথ পেলেন, তখন তিনি কেনিয়াতে। দ্রুতই ফিরলেন লন্ডনে। এই ফেরা তাঁর তুলনামূলক সাধারণ জীবন থেকে প্রাসাদে ফেরাই বলতে হবে। অনেকটা আকস্মিকভাবেই তিনি হয়ে গেলেন ব্রিটেনের রানি। তাও এমন এক সময়ে যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য কমনওয়েলথে রূপান্তরিত হচ্ছে। যখন ব্রিটিশ সূর্য অস্তমিত হওয়া আর কোনো ঘটনা নয়। চারদিকে নানা গুঞ্জন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতি মানুষের অনাস্থা বাড়ছে। নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সব মিলিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের এক ক্রান্তিলগ্নে মুকুট মাথায় উঠল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। সেই জুনে যখন রানির অভিষেক হয়, তখন তাঁর শপথগ্রহণ দেখতে কোটি কোটি লোক টিভি সেটের সামনে গোল হয়ে বসেছিল। কেউ আশায়, কেউ কৌতূহলে।

তার আগেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১৯৫৩ সালে রানি বের হলেন কমনওয়েলথ সফরে। তত দিনে ভারতসহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বহু অংশ স্বাধীন দেশে পরিণত হয়েছে। সেই শুরু, তারপর ৭০ বছর একটানা শাসন। এর মধ্যে ইউরোপ এক ছাতার তলায় এসেছে, আবার ব্রিটেনের বিযুক্তির মধ্য দিয়ে তা ভেঙেও গেছে। এই সময়ের মধ্যে অজস্র যুদ্ধ দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এক ধ্রুব অভিভাবক হিসেবে যেন ছিলেন। ১৪ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শাসন তিনি দেখেছেন, ১৫ তম জনকে অনুমোদন দিয়ে তবে গেছেন। সারা জীবন যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তার নজির রেখে গেছেন তিনি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
আরও পড়ুন:

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকাদের মধ্যে যিনি সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাজ্যে শীর্ষে। সাত দশক রানির ভূমিকায় থাকা এলিজাবেথ আর কিছুদিন বেঁচে থাকলেই সিংহাসনে অবস্থানকাল বিচারে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতেন। এই এত দীর্ঘ সময় যিনি সিংহাসনে থাকলেন, তাঁর কিন্তু এত দূর আসার কথাই ছিল না। কিন্তু ছোট্ট লিলিবেট থেকে রানির আসন নেওয়াটাই যেন তাঁর জন্য অবধারিত ছিল।
১৯২৬ সালে লন্ডনের মেফেয়ারে জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল এলিজাবেথ আলেক্সান্দ্রা মেরি উইন্ডসর। তারিখটি ছিল ২১ এপ্রিল। পরিবারের সদস্যদের কাছে সে আদরের লিলিবেট নামেই পরিচিত ছিল। সেই লিলিবেট একদিন রানি হবে, তা সে সময় কেউ ভাবতেও পারেনি। অভিজাত রাজপরিবারের জন্ম হলেও সিংহাসনের উত্তরসূরিদের মধ্যে তার অবস্থান ছিল অনেক পরে।

কিন্তু কতভাবেই না ভাগ্যের বাঁকবদল হয়। রাজা পঞ্চম জর্জের দ্বিতীয় ছেলে ডিউক অব ইয়র্ক আলবার্ট ও লেডি এলিজাবেথ বোস-লিয়নের ঘরে প্রথম সন্তান হিসেবে জন্ম হওয়া লিলিবেটের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল দাদা পঞ্চম জর্জ ও বাবা আলবার্টের। সে সময় সিংহাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে ছিলেন পঞ্চম জর্জের প্রথম সন্তান অষ্টম এডওয়ার্ড। সিংহাসন থেকে বেশ দূরেই ছিলেন লিলিবেট।
লিলিবেট ও ১৯৩০ সালে জন্ম নেওয়া তার ছোট বোন মার্গারেটের শিক্ষা হয়েছে ঘরেই। বেশ আদুরে পরিবেশেই তারা বেড়ে উঠেছে। কোনো স্কুলে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রথাগত শিক্ষা না নিলেও এলিজাবেথের বিভিন্ন ভাষায় দখল ছিল ঈর্ষণীয়। আর সাংবিধানিক ইতিহাস নিয়ে করেছেন বিস্তর পড়াশোনা। রাজকীয় পরিবারে বেড়ে ওঠায় একটা সঙ্গীহীনতার সংকট থেকেই যায়। লিলিবেট ও মার্গারেটের এই সঙ্গীহীনতা কাটাতে বাকিংহাম প্রাসাদে গঠন করা হয় একটি বিশেষ গার্লস গাইড কোম্পানি, যাতে তারা সমবয়সী মেয়েদের সঙ্গে সামাজিক মেলামেশাটা করতে পারে।

সব ঠিকঠাক চলছিল। ১৯৩৬ সালে পঞ্চম জর্জ মারা গেলে তাঁর বড় ছেলে ডেভিড অষ্টম এডওয়ার্ড নাম নিয়ে সিংহাসনে আরোহণ করেন। লিলিবেটের বয়স তখন ১০ বছর। সিংহাসন তখনো তার থেকে বহু দূর। এই দূরত্বের একটা স্বস্তিও হয়তো ছিল। কিন্তু তা টিকল না বেশি দিন। গোল বাধল অষ্টম এডওয়ার্ডের বিয়ে নিয়ে। দুবার বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া মার্কিন ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পক্ষগুলো তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট হয়। বিষয়টি ক্রমেই জটিল আকার নেয়। অষ্টম এডওয়ার্ড থেকে লিলিবেটের কাকা আবার ডেভিডে পরিণত হন। অনেকটা আকস্মিকভাবেই বাবা ডিউক অব ইয়র্ক আলবার্টের মাথায় ওঠে মুকুট, নাম হয় ষষ্ঠ জর্জ। চকিতেই বলা যায় লিলিবেট হয়ে যান সিংহাসনের উত্তরসূরি।
ষষ্ঠ জর্জ সিংহাসনে যখন বসলেন, তখন গোটা বিশ্ব ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। তিরিশের মন্দার সেই সময়ে বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চল উত্তেজনাময়। বিশেষত ইউরোপ তখন রাজনৈতিক উত্তেজনার তুঙ্গে। তিন বছরের মধ্যেই জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় ব্রিটেন, যা পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেয়। সেই সংকট সময়ে রানি এলিজাবেথকে নিয়ে রাজতন্ত্রে মানুষের আস্থা ফেরাতে কাজে নামেন পঞ্চম জর্জ। লিলিবেট, যিনি উত্তরসূরি হওয়ার মধ্য দিয়ে সবার কাছে দ্বিতীয় এলিজাবেথ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছেন কেবল, তিনি তখন একটু একটু শিখছেন এই কলাকৌশল।

রাজা ও রানির সঙ্গে ডার্টমাউথে রয়্যাল নেভি কলেজে গেলেন ১৩ বছর বয়সী রাজকুমারী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেখানে তাঁকে ও তাঁর বোন মার্গারেটকে সঙ্গ দিলেন তাঁর দূর সম্পর্কের ভাই এবং নেভাল কলেজের ক্যাডেট প্রিন্স ফিলিপ অব গ্রিস। এই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ, যা পরে নিয়মিত যোগাযোগে পরিণত হয়। ১৮ বছরের পড়তে পড়তেই ফিলিপের প্রেমে পড়ে গেলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রাজকুমারীর ঘরে তখন ফিলিপের ছবি শোভা পায়। দুজন দেওয়া-নেওয়া করেন চিঠি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাজা পঞ্চম জর্জকে ফিলিপকে বিয়ের ইচ্ছার কথা জানালেন রাজকন্যা। কিন্তু বিদেশি রক্ত শরীরে বহনকারী ফিলিপের সঙ্গে বিয়েটা এত সহজ ছিল না। উপরন্তু বাবা তাঁর এই মেয়ের ওপর অনেকটাই আস্থা রাখতেন। তিনি কোনোভাবেই মেয়েকে দূরে কোথাও পাঠাতে চাইছিলেন না। অনেক জলঘোলার পর অবশেষে প্রণয়েরই জয় হলো। ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে বিয়ে হয় দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ফিলিপের। এর মধ্য দিয়ে ফিলিপ নতুন নাম পেলেন; ডিউক অব এডিনবার্গ। তখনো তিনি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা।

বিয়ের পর অল্প কিছুদিনের জন্য ফিলিপের কর্মস্থল ঠিক করা হলো মাল্টায়, যা ছিল আদতে নতুন দম্পতির নিভৃতে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ, যাতে তাঁরা তুলনামূলক সাধারণ জীবন অন্তত কিছুদিন উপভোগ করতে পারেন। ১৯৪৮ সালে জন্ম হয় প্রথম সন্তান চার্লসের। ১৯৫০ সালে কোলজুড়ে আসে চার্লসের বোন অ্যান। এদিকে রাজা পঞ্চম জর্জের শরীর ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। প্রচুর ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৫২ সাল। ফিলিপসহ ভ্রমণে যাবেন তখনকার ২৫ বছর বয়সী তরুণী এলিজাবেথ। চিকিৎসকের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে এই যুগলকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে গেলেন রাজা পঞ্চম জর্জ। এটিই ছিল বাবাকে শেষবারের মতো দেখা। বাবার মৃত্যুসংবাদ যখন এলিজাবেথ পেলেন, তখন তিনি কেনিয়াতে। দ্রুতই ফিরলেন লন্ডনে। এই ফেরা তাঁর তুলনামূলক সাধারণ জীবন থেকে প্রাসাদে ফেরাই বলতে হবে। অনেকটা আকস্মিকভাবেই তিনি হয়ে গেলেন ব্রিটেনের রানি। তাও এমন এক সময়ে যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য কমনওয়েলথে রূপান্তরিত হচ্ছে। যখন ব্রিটিশ সূর্য অস্তমিত হওয়া আর কোনো ঘটনা নয়। চারদিকে নানা গুঞ্জন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতি মানুষের অনাস্থা বাড়ছে। নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সব মিলিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের এক ক্রান্তিলগ্নে মুকুট মাথায় উঠল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। সেই জুনে যখন রানির অভিষেক হয়, তখন তাঁর শপথগ্রহণ দেখতে কোটি কোটি লোক টিভি সেটের সামনে গোল হয়ে বসেছিল। কেউ আশায়, কেউ কৌতূহলে।

তার আগেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১৯৫৩ সালে রানি বের হলেন কমনওয়েলথ সফরে। তত দিনে ভারতসহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বহু অংশ স্বাধীন দেশে পরিণত হয়েছে। সেই শুরু, তারপর ৭০ বছর একটানা শাসন। এর মধ্যে ইউরোপ এক ছাতার তলায় এসেছে, আবার ব্রিটেনের বিযুক্তির মধ্য দিয়ে তা ভেঙেও গেছে। এই সময়ের মধ্যে অজস্র যুদ্ধ দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এক ধ্রুব অভিভাবক হিসেবে যেন ছিলেন। ১৪ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শাসন তিনি দেখেছেন, ১৫ তম জনকে অনুমোদন দিয়ে তবে গেছেন। সারা জীবন যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তার নজির রেখে গেছেন তিনি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
আরও পড়ুন:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটে দেশটির পার্লামেন্টের নির্দেশে প্রকাশিত জেফরি এপস্টেইন ফাইল সিরিজের ১৬টি নথি গায়েব হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু নথিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কিছু ছবি ছিল। নিখোঁজ ফাইলগুলো গত শুক্রবার দেখা গেলেও শনিবার থেকে আর দেখা যাচ্ছে না।
৩৮ মিনিট আগে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, গাজার নতুন শাসন কাঠামো খুব শিগগির কার্যকর হতে যাচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক পরিষদ এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের (কৌশলগত বিশেষজ্ঞ) সমন্বয়ে গঠিত হবে এই শাসনকাঠামো। এই শাসনকাঠামো গঠনের পরপরই সেখানে বিদেশি সৈন্য মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটে দেশটির পার্লামেন্টের নির্দেশে প্রকাশিত জেফরি এপস্টেইন ফাইল সিরিজের ১৬টি নথি গায়েব হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু নথিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কিছু ছবি ছিল। নিখোঁজ ফাইলগুলো গত শুক্রবার দেখা গেলেও শনিবার থেকে আর দেখা যাচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, জেফরি এপস্টেইন সংক্রান্ত নথিপত্রের জন্য মার্কিন বিচার বিভাগের নির্ধারিত পাবলিক ওয়েবপেজ থেকে অন্তত ১৬টি ফাইল গায়েব হয়ে গেছে—যার মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ছবিও ছিল।
ফাইলগুলো পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা বা নোটিশ ছাড়াই সরিয়ে ফেলা হয়।
নিখোঁজ ফাইলগুলোর মধ্যে ছিল নগ্ন নারীদের আঁকা কিছু ছবি এবং একটি ড্রয়ার ও ক্রেডেনজারের ওপর রাখা কিছু ছবির দৃশ্য। সেই ছবির ভেতর একটি ড্রয়ারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ছবি দেখা যায়, যেখানে তার সাথে ছিলেন জেফরি এপস্টেইন, মেলানিয়া ট্রাম্প এবং এপস্টেইনের দীর্ঘদিনের সহযোগী ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েল।
বিচার বিভাগ ফাইলগুলো সরিয়ে ফেলার কোনো কারণ জানায়নি বা এটি ইচ্ছাকৃত কি না তাও স্পষ্ট করেনি। বিভাগের একজন মুখপাত্রের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
এই ব্যাখ্যাহীন অন্তর্ধান ফাইলগুলো নিয়ে জল্পনা উসকে দিয়েছে যে, কেন এগুলো সরানো হলো এবং কেন জনগণকে জানানো হয়নি। এটি এপস্টেইন এবং তাঁর চারপাশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে। হাউস ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা এক্সে ট্রাম্পের ছবি থাকা নিখোঁজ ফাইলটির দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ‘আর কী কী গোপন করা হচ্ছে? মার্কিন জনগণের জন্য আমাদের স্বচ্ছতা প্রয়োজন।’
এই ঘটনা বিচার বিভাগের বহুল প্রতীক্ষিত নথি প্রকাশের বিষয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জনসম্মুখে আনা হাজার হাজার পৃষ্ঠার নথিতে এপস্টেইনের অপরাধ বা তাঁকে বছরের পর বছর গুরুতর ফেডারেল অভিযোগ থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার নেপথ্য সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে খুব সামান্যই নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান যেমন—ভুক্তভোগীদের এফবিআই সাক্ষাৎকার এবং বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ মেমো এতে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আশা করা হয়েছিল, এপস্টেইন সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডগুলো পাওয়া যাবে, কিন্তু বিচার বিভাগের প্রাথমিক প্রকাশনায় সেগুলো কোথাও নেই। সেখানে বিশেষ করে ২০০৮ সালে এপস্টাইনকে কীভাবে একটি মামুলি অপরাধ স্বীকার করে পার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তার কোনো সদুত্তর নেই।
এখানেই শেষ নয়। কংগ্রেসের সাম্প্রতিক আইন অনুযায়ী এই রেকর্ডগুলো প্রকাশ করার কথা থাকলেও, এতে এপস্টেইনের সঙ্গে দীর্ঘকাল যুক্ত থাকা ব্রিটেনের সাবেক প্রিন্স অ্যান্ড্রুর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম খুব কমই এসেছে।
এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে— ২০০০-এর দশকে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার বিষয়ে বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তের কিছু অন্তর্দৃষ্টি এবং ১৯৯৬ সালের একটি অভিযোগ যেখানে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশুদের ছবি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত নথিতে মূলত নিউইয়র্ক এবং ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডে এপস্টেইনের বাড়ির ছবি, এবং কিছু সেলিব্রিটি ও রাজনীতিবিদের ছবি রয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের কিছু নতুন ছবি থাকলেও ট্রাম্পের ছবি ছিল খুবই নগণ্য। যদিও ক্লিনটন এবং ট্রাম্প উভয়েই এপস্টেইনের সঙ্গে মেলামেশার কথা অস্বীকার করেছেন এবং কারো বিরুদ্ধেই এপস্টাইন সংক্রান্ত কোনো অপরাধের অভিযোগ নেই।
কংগ্রেসের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হলেও বিচার বিভাগ জানিয়েছে যে তারা পর্যায়ক্রমে নথিগুলো প্রকাশ করবে। ভুক্তভোগীদের নাম গোপন করার প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হওয়ায় এই দেরি হচ্ছে বলে তারা দাবি করেছে।
এই ধীরগতিতে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতিত নারী এবং কংগ্রেসের সদস্যরা ক্ষুব্ধ। মারিনা লাসার্ডা, যিনি অভিযোগ করেছেন যে ১৪ বছর বয়সে এপস্টেইন তাকে যৌন নির্যাতন শুরু করেছিলেন, তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে বিচার ব্যবস্থা আবারও আমাদের ব্যর্থ করছে।’
প্রকাশিত নথিগুলোর একটি বড় অংশই আগে কোনো না কোনোভাবে জনসম্মুখে এসেছিল। তবে এবারই প্রথম এগুলো এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। যদিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুরোপুরি কালো কালি দিয়ে ঢেকে (Blacked out) দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান সহযোগীরা ক্লিনটনের ছবির দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে তাঁকে মাইকেল জ্যাকসন এবং ডায়ানা রসের মতো তারকাদের সাথে দেখা গেছে। এছাড়াও অভিনেতা ক্রিস টাকার, কেভিন স্পেসি এবং নিউজকাস্টার ওয়াল্টার ক্রনকাইটের সাথেও এপস্টাইনের ছবি পাওয়া গেছে। তবে এসব ছবির কোনো ক্যাপশন বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
প্রকাশিত নথির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ২০০৭ সালের একটি ঘটনা, যেখানে দেখা গেছে ফেডারেল প্রসিকিউটরদের হাতে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা তখন কোনো চার্জ গঠন করেননি। গ্র্যান্ড জুরির কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ১৪ বছর বয়সী কিশোরীসহ অনেক ভুক্তভোগী এপস্টেইনের যৌন লালসার বর্ণনা দিয়েছিলেন।
সবে শ্রমমন্ত্রী আলেকজান্ডার অ্যাকোস্টা, যিনি সেই সময় মামলার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি পরে জানিয়েছিলেন, জুরিরা ভুক্তভোগীদের কথা বিশ্বাস করবেন কি না তা নিয়ে তাঁর সন্দেহ ছিল। তবে বর্তমানে ভুক্তভোগীদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বদলেছে বলে তিনি স্বীকার করেন। এপস্টেইনের নির্যাতনের শিকার মারিয়া ফারমারের আইনজীবী জেনিফার ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে একটি জয় এবং একটি ট্র্যাজেডি। মনে হচ্ছে সরকার কিছুই করেনি। যদি তারা সামান্যতম তদন্তও করত, তবে তাঁকে অনেক আগেই থামানো যেত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটে দেশটির পার্লামেন্টের নির্দেশে প্রকাশিত জেফরি এপস্টেইন ফাইল সিরিজের ১৬টি নথি গায়েব হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু নথিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কিছু ছবি ছিল। নিখোঁজ ফাইলগুলো গত শুক্রবার দেখা গেলেও শনিবার থেকে আর দেখা যাচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, জেফরি এপস্টেইন সংক্রান্ত নথিপত্রের জন্য মার্কিন বিচার বিভাগের নির্ধারিত পাবলিক ওয়েবপেজ থেকে অন্তত ১৬টি ফাইল গায়েব হয়ে গেছে—যার মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ছবিও ছিল।
ফাইলগুলো পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা বা নোটিশ ছাড়াই সরিয়ে ফেলা হয়।
নিখোঁজ ফাইলগুলোর মধ্যে ছিল নগ্ন নারীদের আঁকা কিছু ছবি এবং একটি ড্রয়ার ও ক্রেডেনজারের ওপর রাখা কিছু ছবির দৃশ্য। সেই ছবির ভেতর একটি ড্রয়ারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ছবি দেখা যায়, যেখানে তার সাথে ছিলেন জেফরি এপস্টেইন, মেলানিয়া ট্রাম্প এবং এপস্টেইনের দীর্ঘদিনের সহযোগী ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েল।
বিচার বিভাগ ফাইলগুলো সরিয়ে ফেলার কোনো কারণ জানায়নি বা এটি ইচ্ছাকৃত কি না তাও স্পষ্ট করেনি। বিভাগের একজন মুখপাত্রের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
এই ব্যাখ্যাহীন অন্তর্ধান ফাইলগুলো নিয়ে জল্পনা উসকে দিয়েছে যে, কেন এগুলো সরানো হলো এবং কেন জনগণকে জানানো হয়নি। এটি এপস্টেইন এবং তাঁর চারপাশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে। হাউস ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা এক্সে ট্রাম্পের ছবি থাকা নিখোঁজ ফাইলটির দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ‘আর কী কী গোপন করা হচ্ছে? মার্কিন জনগণের জন্য আমাদের স্বচ্ছতা প্রয়োজন।’
এই ঘটনা বিচার বিভাগের বহুল প্রতীক্ষিত নথি প্রকাশের বিষয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জনসম্মুখে আনা হাজার হাজার পৃষ্ঠার নথিতে এপস্টেইনের অপরাধ বা তাঁকে বছরের পর বছর গুরুতর ফেডারেল অভিযোগ থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার নেপথ্য সিদ্ধান্তগুলো সম্পর্কে খুব সামান্যই নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান যেমন—ভুক্তভোগীদের এফবিআই সাক্ষাৎকার এবং বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ মেমো এতে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আশা করা হয়েছিল, এপস্টেইন সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডগুলো পাওয়া যাবে, কিন্তু বিচার বিভাগের প্রাথমিক প্রকাশনায় সেগুলো কোথাও নেই। সেখানে বিশেষ করে ২০০৮ সালে এপস্টাইনকে কীভাবে একটি মামুলি অপরাধ স্বীকার করে পার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তার কোনো সদুত্তর নেই।
এখানেই শেষ নয়। কংগ্রেসের সাম্প্রতিক আইন অনুযায়ী এই রেকর্ডগুলো প্রকাশ করার কথা থাকলেও, এতে এপস্টেইনের সঙ্গে দীর্ঘকাল যুক্ত থাকা ব্রিটেনের সাবেক প্রিন্স অ্যান্ড্রুর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম খুব কমই এসেছে।
এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে— ২০০০-এর দশকে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার বিষয়ে বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তের কিছু অন্তর্দৃষ্টি এবং ১৯৯৬ সালের একটি অভিযোগ যেখানে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশুদের ছবি চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত নথিতে মূলত নিউইয়র্ক এবং ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডে এপস্টেইনের বাড়ির ছবি, এবং কিছু সেলিব্রিটি ও রাজনীতিবিদের ছবি রয়েছে। এর মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের কিছু নতুন ছবি থাকলেও ট্রাম্পের ছবি ছিল খুবই নগণ্য। যদিও ক্লিনটন এবং ট্রাম্প উভয়েই এপস্টেইনের সঙ্গে মেলামেশার কথা অস্বীকার করেছেন এবং কারো বিরুদ্ধেই এপস্টাইন সংক্রান্ত কোনো অপরাধের অভিযোগ নেই।
কংগ্রেসের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হলেও বিচার বিভাগ জানিয়েছে যে তারা পর্যায়ক্রমে নথিগুলো প্রকাশ করবে। ভুক্তভোগীদের নাম গোপন করার প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হওয়ায় এই দেরি হচ্ছে বলে তারা দাবি করেছে।
এই ধীরগতিতে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতিত নারী এবং কংগ্রেসের সদস্যরা ক্ষুব্ধ। মারিনা লাসার্ডা, যিনি অভিযোগ করেছেন যে ১৪ বছর বয়সে এপস্টেইন তাকে যৌন নির্যাতন শুরু করেছিলেন, তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে বিচার ব্যবস্থা আবারও আমাদের ব্যর্থ করছে।’
প্রকাশিত নথিগুলোর একটি বড় অংশই আগে কোনো না কোনোভাবে জনসম্মুখে এসেছিল। তবে এবারই প্রথম এগুলো এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। যদিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুরোপুরি কালো কালি দিয়ে ঢেকে (Blacked out) দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান সহযোগীরা ক্লিনটনের ছবির দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে তাঁকে মাইকেল জ্যাকসন এবং ডায়ানা রসের মতো তারকাদের সাথে দেখা গেছে। এছাড়াও অভিনেতা ক্রিস টাকার, কেভিন স্পেসি এবং নিউজকাস্টার ওয়াল্টার ক্রনকাইটের সাথেও এপস্টাইনের ছবি পাওয়া গেছে। তবে এসব ছবির কোনো ক্যাপশন বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
প্রকাশিত নথির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ২০০৭ সালের একটি ঘটনা, যেখানে দেখা গেছে ফেডারেল প্রসিকিউটরদের হাতে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা তখন কোনো চার্জ গঠন করেননি। গ্র্যান্ড জুরির কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, ১৪ বছর বয়সী কিশোরীসহ অনেক ভুক্তভোগী এপস্টেইনের যৌন লালসার বর্ণনা দিয়েছিলেন।
সবে শ্রমমন্ত্রী আলেকজান্ডার অ্যাকোস্টা, যিনি সেই সময় মামলার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি পরে জানিয়েছিলেন, জুরিরা ভুক্তভোগীদের কথা বিশ্বাস করবেন কি না তা নিয়ে তাঁর সন্দেহ ছিল। তবে বর্তমানে ভুক্তভোগীদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বদলেছে বলে তিনি স্বীকার করেন। এপস্টেইনের নির্যাতনের শিকার মারিয়া ফারমারের আইনজীবী জেনিফার ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে একটি জয় এবং একটি ট্র্যাজেডি। মনে হচ্ছে সরকার কিছুই করেনি। যদি তারা সামান্যতম তদন্তও করত, তবে তাঁকে অনেক আগেই থামানো যেত।’

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকাদের মধ্যে যিনি সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাজ্যে শীর্ষে। সাত দশক রানির ভূমিকায় থাকা এলিজাবেথ আর কিছুদিন বেঁচে থাকলেই সিংহাসনে অবস্থানকাল বিচারে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতেন। এই এত দীর্ঘ সময় যিনি সিংহাসনে থাকলেন, তাঁর কিন্তু এত দূর আসার কথাই ছি
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, গাজার নতুন শাসন কাঠামো খুব শিগগির কার্যকর হতে যাচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক পরিষদ এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের (কৌশলগত বিশেষজ্ঞ) সমন্বয়ে গঠিত হবে এই শাসনকাঠামো। এই শাসনকাঠামো গঠনের পরপরই সেখানে বিদেশি সৈন্য মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, গাজার নতুন শাসন কাঠামো খুব শিগগির কার্যকর হতে যাচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক পরিষদ এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের (কৌশলগত বিশেষজ্ঞ) সমন্বয়ে গঠিত হবে এই শাসনকাঠামো। এই শাসনকাঠামো গঠনের পরপরই সেখানে বিদেশি সৈন্য মোতায়েন করা হবে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যামূলক যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুবিও বলেন, গাজায় বর্তমান অবস্থা বজায় রাখা সম্ভব নয়। গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও সেখানে ইসরায়েল হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং হামাসও পুনরায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
রুবিও বলেন, ‘এ কারণেই আমরা প্রথম ধাপটি পুরোপুরি সম্পন্ন করার বিষয়ে জরুরি তাগিদ অনুভব করছি। এই ধাপের মধ্যে রয়েছে বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদ গঠন এবং সেখানে কাজ করার জন্য ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এর পরপরই সেখানে স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হবে।’
রুবিও জানান, টেকনোক্র্যাট গ্রুপে যোগ দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি অগ্রগতি হয়েছে এবং ওয়াশিংটন কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না করলেও ‘খুব শিগগিরই’ এই শাসনকাঠামো চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
গাজার জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স বা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের পরিকল্পনা করতে চলতি সপ্তাহে দোহায় সহযোগী দেশগুলোর সাথে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড একটি সম্মেলনের আয়োজন করার পর রুবিও এই মন্তব্য করলেন।
গত সপ্তাহে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, গত নভেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই বাহিনী অনুমোদনের পর আগামী মাসেই আন্তর্জাতিক সৈন্য গাজায় মোতায়েন হতে পারে। তবে হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে তা এখনও অস্পষ্ট। এছাড়া, আইএসএফ-এ সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে এমন দেশগুলো এই ভয়ে আছে যে, হামাস তাদের সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
রুবিও নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব কার হবে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, যেসব দেশ সৈন্য দিতে আগ্রহী তারা এই বাহিনীর সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট এবং অর্থায়ন সম্পর্কে জানতে চায়।
রুবিও বলেন, ‘কাউকে চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দিতে বলার আগে আমার মনে হয় আমাদের আরও কিছু উত্তর দেওয়া উচিত। তবে আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, এমন বেশ কিছু রাষ্ট্র রয়েছে যারা সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং তারা এই স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হতে ইচ্ছুক।’ তিনি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তান এই বাহিনীতে আগ্রহ প্রকাশকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রুবিও আরও যোগ করেন যে, গাজা পুনর্গঠনের জন্য দাতাদের তহবিল নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। পুনর্গঠন তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি দাতা সম্মেলনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে জেনে কে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে? তারা (দাতারা) জানতে চায় গাজার দায়িত্বে কে আছে এবং তারা সেখানে নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, গাজার নতুন শাসন কাঠামো খুব শিগগির কার্যকর হতে যাচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক পরিষদ এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের (কৌশলগত বিশেষজ্ঞ) সমন্বয়ে গঠিত হবে এই শাসনকাঠামো। এই শাসনকাঠামো গঠনের পরপরই সেখানে বিদেশি সৈন্য মোতায়েন করা হবে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যামূলক যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুবিও বলেন, গাজায় বর্তমান অবস্থা বজায় রাখা সম্ভব নয়। গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও সেখানে ইসরায়েল হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং হামাসও পুনরায় তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
রুবিও বলেন, ‘এ কারণেই আমরা প্রথম ধাপটি পুরোপুরি সম্পন্ন করার বিষয়ে জরুরি তাগিদ অনুভব করছি। এই ধাপের মধ্যে রয়েছে বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদ গঠন এবং সেখানে কাজ করার জন্য ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এর পরপরই সেখানে স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হবে।’
রুবিও জানান, টেকনোক্র্যাট গ্রুপে যোগ দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি অগ্রগতি হয়েছে এবং ওয়াশিংটন কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না করলেও ‘খুব শিগগিরই’ এই শাসনকাঠামো চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
গাজার জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স বা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের পরিকল্পনা করতে চলতি সপ্তাহে দোহায় সহযোগী দেশগুলোর সাথে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড একটি সম্মেলনের আয়োজন করার পর রুবিও এই মন্তব্য করলেন।
গত সপ্তাহে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, গত নভেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই বাহিনী অনুমোদনের পর আগামী মাসেই আন্তর্জাতিক সৈন্য গাজায় মোতায়েন হতে পারে। তবে হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে তা এখনও অস্পষ্ট। এছাড়া, আইএসএফ-এ সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে এমন দেশগুলো এই ভয়ে আছে যে, হামাস তাদের সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
রুবিও নির্দিষ্ট করে বলেননি যে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব কার হবে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, যেসব দেশ সৈন্য দিতে আগ্রহী তারা এই বাহিনীর সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট এবং অর্থায়ন সম্পর্কে জানতে চায়।
রুবিও বলেন, ‘কাউকে চূড়ান্ত প্রতিশ্রুতি দিতে বলার আগে আমার মনে হয় আমাদের আরও কিছু উত্তর দেওয়া উচিত। তবে আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, এমন বেশ কিছু রাষ্ট্র রয়েছে যারা সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং তারা এই স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হতে ইচ্ছুক।’ তিনি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তান এই বাহিনীতে আগ্রহ প্রকাশকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রুবিও আরও যোগ করেন যে, গাজা পুনর্গঠনের জন্য দাতাদের তহবিল নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। পুনর্গঠন তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি দাতা সম্মেলনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে জেনে কে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবে? তারা (দাতারা) জানতে চায় গাজার দায়িত্বে কে আছে এবং তারা সেখানে নিরাপত্তা ও দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।’

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকাদের মধ্যে যিনি সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাজ্যে শীর্ষে। সাত দশক রানির ভূমিকায় থাকা এলিজাবেথ আর কিছুদিন বেঁচে থাকলেই সিংহাসনে অবস্থানকাল বিচারে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতেন। এই এত দীর্ঘ সময় যিনি সিংহাসনে থাকলেন, তাঁর কিন্তু এত দূর আসার কথাই ছি
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটে দেশটির পার্লামেন্টের নির্দেশে প্রকাশিত জেফরি এপস্টেইন ফাইল সিরিজের ১৬টি নথি গায়েব হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু নথিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কিছু ছবি ছিল। নিখোঁজ ফাইলগুলো গত শুক্রবার দেখা গেলেও শনিবার থেকে আর দেখা যাচ্ছে না।
৩৮ মিনিট আগে
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকাদের মধ্যে যিনি সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাজ্যে শীর্ষে। সাত দশক রানির ভূমিকায় থাকা এলিজাবেথ আর কিছুদিন বেঁচে থাকলেই সিংহাসনে অবস্থানকাল বিচারে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতেন। এই এত দীর্ঘ সময় যিনি সিংহাসনে থাকলেন, তাঁর কিন্তু এত দূর আসার কথাই ছি
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটে দেশটির পার্লামেন্টের নির্দেশে প্রকাশিত জেফরি এপস্টেইন ফাইল সিরিজের ১৬টি নথি গায়েব হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু নথিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কিছু ছবি ছিল। নিখোঁজ ফাইলগুলো গত শুক্রবার দেখা গেলেও শনিবার থেকে আর দেখা যাচ্ছে না।
৩৮ মিনিট আগে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, গাজার নতুন শাসন কাঠামো খুব শিগগির কার্যকর হতে যাচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক পরিষদ এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের (কৌশলগত বিশেষজ্ঞ) সমন্বয়ে গঠিত হবে এই শাসনকাঠামো। এই শাসনকাঠামো গঠনের পরপরই সেখানে বিদেশি সৈন্য মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা গেছেন, সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকাদের মধ্যে যিনি সারা বিশ্বে দ্বিতীয়, আর যুক্তরাজ্যে শীর্ষে। সাত দশক রানির ভূমিকায় থাকা এলিজাবেথ আর কিছুদিন বেঁচে থাকলেই সিংহাসনে অবস্থানকাল বিচারে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতেন। এই এত দীর্ঘ সময় যিনি সিংহাসনে থাকলেন, তাঁর কিন্তু এত দূর আসার কথাই ছি
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইটে দেশটির পার্লামেন্টের নির্দেশে প্রকাশিত জেফরি এপস্টেইন ফাইল সিরিজের ১৬টি নথি গায়েব হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু নথিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও কিছু ছবি ছিল। নিখোঁজ ফাইলগুলো গত শুক্রবার দেখা গেলেও শনিবার থেকে আর দেখা যাচ্ছে না।
৩৮ মিনিট আগে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, গাজার নতুন শাসন কাঠামো খুব শিগগির কার্যকর হতে যাচ্ছে। একটি আন্তর্জাতিক পরিষদ এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের (কৌশলগত বিশেষজ্ঞ) সমন্বয়ে গঠিত হবে এই শাসনকাঠামো। এই শাসনকাঠামো গঠনের পরপরই সেখানে বিদেশি সৈন্য মোতায়েন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে