অনলাইন ডেস্ক
ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও আইনটির ‘যথেচ্ছ’ প্রয়োগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত ১২৪এ ধারাকে তাঁরা এমন এক করাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি একটি কাঠের টুকরা কাটার বদলে গোটা বন উজার করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিকালে সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ‘ঔপনিবেশিক আইন’ আখ্যা দিয়ে বিচারকেরা মনে করিয়ে দেন, ব্রিটিশ আমলে এই আইন অসীম ক্ষমতার উৎস ছিল এবং ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করা হতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই আইনের সত্যিই কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি–না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ।
আজ রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রধান যে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ বিচারকেরা দিয়েছেন সেটি সংক্ষেপে এরকম:
প্রধান বিচারপতি এনভি রমন বলেছেন, আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপালকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের উদ্বেগের জায়গাটি হলো, এই আইনের অপব্যবহার এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহিতা না থাকা। আপনি যদি এমন অভিযোগের বিষয়ে ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন তাহলে দেখবেন, খুব কমই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার খুবই কম।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কেন্দ্র সরকার বা কোনো রাজ্যকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু দেখুন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, কতোগুলো দুর্ভাগা মানুষ এর শিকার হয়েছেন এবং এর কোনো জবাবদিহিতা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেন, এটা যেন এক পুলিশ কর্মকর্তা একটি গ্রামের সব লোককে এবং সব সমস্যা ঠিকঠাক করে দিতে চাইলে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন ১২৪এ ধারা। যেটিকে মানুষ ভয় পায়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আইনকে ছুতার মিস্ত্রির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটির ব্যাপক অপব্যবহার হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহার এমন যেন, সেই ছুতার মিস্ত্রিকে কাঠের একটি ছোট টুকরা কাটার জন্য একটি করাত ধরিয়ে দেওয়া হলো আর তিনি সেটি নিয়ে পুরো একটি বনই উজাড় করে দিলেন।
ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও আইনটির ‘যথেচ্ছ’ প্রয়োগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত ১২৪এ ধারাকে তাঁরা এমন এক করাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেটি একটি কাঠের টুকরা কাটার বদলে গোটা বন উজার করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিকালে সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ‘ঔপনিবেশিক আইন’ আখ্যা দিয়ে বিচারকেরা মনে করিয়ে দেন, ব্রিটিশ আমলে এই আইন অসীম ক্ষমতার উৎস ছিল এবং ব্যাপকভাবে অপব্যবহার করা হতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও এই আইনের সত্যিই কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কি–না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চ।
আজ রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে প্রধান যে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ বিচারকেরা দিয়েছেন সেটি সংক্ষেপে এরকম:
প্রধান বিচারপতি এনভি রমন বলেছেন, আপত্তির বিষয় হলো, এটি ঔপনিবেশিক আইন। ঠিক এমন আইনই ব্রিটিশরা মহাত্মা গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবহার করতো। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও কি এমন একটি আইন আমাদের দরকার আছে?
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপালকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের উদ্বেগের জায়গাটি হলো, এই আইনের অপব্যবহার এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহিতা না থাকা। আপনি যদি এমন অভিযোগের বিষয়ে ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন তাহলে দেখবেন, খুব কমই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার খুবই কম।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কেন্দ্র সরকার বা কোনো রাজ্যকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু দেখুন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, কতোগুলো দুর্ভাগা মানুষ এর শিকার হয়েছেন এবং এর কোনো জবাবদিহিতা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেন, এটা যেন এক পুলিশ কর্মকর্তা একটি গ্রামের সব লোককে এবং সব সমস্যা ঠিকঠাক করে দিতে চাইলে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন ১২৪এ ধারা। যেটিকে মানুষ ভয় পায়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এই আইনকে ছুতার মিস্ত্রির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এটির ব্যাপক অপব্যবহার হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহার এমন যেন, সেই ছুতার মিস্ত্রিকে কাঠের একটি ছোট টুকরা কাটার জন্য একটি করাত ধরিয়ে দেওয়া হলো আর তিনি সেটি নিয়ে পুরো একটি বনই উজাড় করে দিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা রায়ান বর্গওয়ার্ট। সম্প্রতি এই কায়াকার নিজের ডুবে যাওয়ার নাটক সাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, রায়ান বর্তমানে পূর্ব ইউরোপের কোথাও জীবিত আছেন।
৭ মিনিট আগেগাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ছয়টি মহাদেশের ১২৪টি দেশে তাঁরা আটক হতে পারেন।
৩৪ মিনিট আগেকলকাতার মেট্রোরেলে এক নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলতে জোরাজুরি করেছেন আরেক নারী। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে হিন্দিতে কথা বলতে না পারা নারীকে ‘বাংলাদেশি’ বলেও তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের বিশেষ করে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় পরিবারগুলোর সন্তান দেখাশোনার কাজ বেছে নিচ্ছেন। প্রতি ঘণ্টা ১৩ থেকে ১৮ ডলার পান তাঁরা। তবে এই সম্মানী এলাকা ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। অনেক পরিবার বেবি সিটারদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে