আগস্টে ৪০০ বাংলাদেশির ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ৫৮

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকলেও আগস্ট মাসে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ৪০০টিরও বেশি ভিসা আবেদন মূল্যায়ন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো শিক্ষার্থীদের এবং জরুরি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সীমিত সংখ্যক ভিসা প্রক্রিয়া করছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, গত বছর বাংলাদেশিদের জন্য প্রায় ১৬ লাখ ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল। তবে গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে শুধু শিক্ষার্থী এবং জরুরি চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু ভিসার প্রক্রিয়াকরণ সীমিত আকারে চলছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আগস্টে বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৪৩৪টি প্রিয়ার রেফারেল চেক (পিআরসি) কেস ক্লিয়ার করা হয়েছে। একই মাসে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই ধরনের মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৭৮টি।

পিআরসি হলো এমন প্রক্রিয়া, যেখানে ভিসা ইস্যুর আগে গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করা হয়। তবে, ওই সময়ে মোট কতগুলো ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। 

ভারত বাংলাদেশকে ১৫টি ক্যাটাগরির ভিসা দেয়, যার মধ্যে রয়েছে ‘জরুরি পরিষেবা’।

ভারতীয় মন্ত্রণালয়ের মতে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত সংশোধিত ভ্রমণ চুক্তি এবং বিভিন্ন সময়ে জারি করা প্রশাসনিক নির্দেশাবলী দ্বারা পরিচালিত হয়। এ ছাড়া কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ৪৫ দিনের মেয়াদে ভিসা ছাড়া ভারতে থাকার চুক্তিও রয়েছে।

যদিও আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক এবং সুদানের মতো দেশগুলোকে পূর্বের রেফারেন্স বিভাগের (পিআরসি) এন ব্লকের অধীনে রাখা হয়েছে, সেখানে চীন এবং বাংলাদেশের মতো নির্দিষ্ট দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ধরণের ভিসা রয়েছে। তবে এই ভিসা পেতে তাঁদের একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষার  মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

চীনা নাগরিকদের জন্য ব্যবসায়িক ভিসা পূর্বের রেফারেল বিভাগের অধীনে নয়। তবে নিয়োগ এবং কনফারেন্স ভিসার জন্য যাচাইকরণ বিদ্যমান। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জন্য ভারত ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা দিয়ে থাকে। এই ভিসা ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবসা, পর্যটন, সম্মেলন ও চিকিৎসার জন্য প্রযোজ্য।

এদিকে গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কঠোর সতর্কতায় রয়েছে এবং বৈধ নথি বা ভিসা ছাড়া কাউকে দেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য সরকারের কাছ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ভারতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক যায় বাংলাদেশ থেকে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দ্রুত বেতন-ভাতা পাবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

মালামালের সঙ্গে শিশুকেও তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত