গান্ধী পরিবারের বন্দনায় অটল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন

কলকাতা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১০: ২৪
Thumbnail image

আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ৮০ বছরের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। দিল্লিতে খাড়গের অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি তাঁর প্রথম ভাষণে বিদায়ী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর ঢালাও প্রশংসা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস চলবে গান্ধী পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায়।

কেবল খাড়গে নন, বুধবার আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে গান্ধী পরিবারের পক্ষেই উকালতি করেছেন কংগ্রেসের আরেক প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পোস্টার বয় হবেন রাহুল গান্ধীই। দলে কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা বারবার গান্ধী পরিবারের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ খোলাখুলিভাবে করলেও গান্ধী পরিবারের সদস্যরা সচেষ্ট ছিলেন মল্লিকার্জুন যে তাঁদের ‘হাতের পুতুল’ নন তা প্রমাণে। সোনিয়া গান্ধী এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন, তাঁর এখন ভারমুক্ত লাগছে।

এদিকে, হিমাচল রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে পুরোদমে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের দিন-তারিখ প্রকাশ হতে দেরি নেই খুব বেশি। বছরখানেকের মধ্যে ১১ রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচন। নতুন সভাপতির সামনে তাই বিশাল চ্যালেঞ্জ।

এদিকে চ্যালেঞ্জ থাকলেও কংগ্রেসে দলীয় কোন্দল থামার কোনো লক্ষণ নেই। কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে দলীয় কোন্দল থামার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো এবং তার পরবর্তী সময়ে দলের ভাঙন কংগ্রেসকে খাদের ধারে এনে দাঁড় করিয়েছে। এই অবস্থায় ৬৬ বছরের শশী থারুরকে হারিয়ে দলের সভাপতির দায়িত্ব নিলেন কর্ণাটকের মল্লিকার্জুন খাড়গে। আগামী বছর খাড়গের নিজ রাজ্য কর্ণাটকেও বিধানসভার নির্বাচন। তাই বহু চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিলেন মল্লিকার্জুন।

দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কংগ্রেস আমলের ভালো কাজগুলোর কথা উল্লেখ করেন দলটির নতুন সভাপতি। সেই সঙ্গে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার বার্তাও দেন তিনি। তবে তাঁর ভাষণের বেশির ভাগ অংশজুড়েই ছিল গান্ধী পরিবারের বন্দনা। তিনি নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, গান্ধী পরিবারের আশীর্বাদেই তাঁর এই পদলাভ।

তবে গান্ধীরা তা মানতে নারাজ। সোনিয়া জানিয়েছেন, ‘নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন দায়িত্ব পালনে। এখন তিনি মুক্ত।’ রাহুল তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রায় দেড় মাসে ২ হাজার ৩১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার পর তিন দিনের বিরতি নিয়ে দিল্লি এসেছিলেন নতুন সভাপতির অভিষেকে অংশ নিতে। তিনিও রিমোট দিয়ে দল চালানোর অভিযোগ খারিজে ব্যস্ত ছিলেন। তবে কংগ্রেসের অন্য নেতারা এদিনও বুঝিয়ে দেন গান্ধী পরিবার ছাড়া তাঁদের গতি নেই। তাই যাবতীয় উচ্ছ্বাস রাহুল-সোনিয়া আর প্রিয়াঙ্কাকে ঘিরেই আবর্তিত হতে দেখা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত