Ajker Patrika

প্রতি ৩ মিনিটে একজনের প্রাণহানি, ভারতে সড়ক এত প্রাণঘাতী কেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গুজরাটের আহমেদাবাদের কাছাকাছি একটি মহাসড়কে উল্টে যাওয়া গাড়ি। ছবি: এএফপি
গুজরাটের আহমেদাবাদের কাছাকাছি একটি মহাসড়কে উল্টে যাওয়া গাড়ি। ছবি: এএফপি

ভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।

ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গাদকারি সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি একে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সড়কে এই প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। মৃতদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজারই শিশু। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১০ হাজার মানুষ। ৩৫ হাজার পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের মৃত্যুসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ‘অতিরিক্ত গতি।’

মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেও বহু মৃত্যু ঘটেছে। প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ হেলমেট না পরার কারণে মারা গেছেন। সিটবেল্ট ব্যবহার না করায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার জন। অতিরিক্ত মাল বহনও একটি বড় কারণ, এতে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর কারণে ৩৪ হাজার দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ শতাংশ দুর্ঘটনায় চালকের কাছে লার্নার্স লাইসেন্স ছিল বা কোনো লাইসেন্সই ছিল না। পুরোনো যানবাহনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম, যেমন—সিটবেল্ট ও এয়ারব্যাগ না থাকাও ঝুঁকির কারণ।

ভারতের বিশৃঙ্খল ট্র্যাফিক পরিস্থিতি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এখানকার রাস্তাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এর মধ্যে আছে—মোটরগাড়ি, বাইসাইকেল, রিকশার মতো অ-মোটর চালিত যান, গরুর গাড়ি, পথচারী এবং রাস্তার পশু। হকারদের রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করার কারণে পথচারীরা বাধ্য হয়ে মূল সড়কে নেমে আসেন। এটি যান চলাচলে বাধা দেয় এবং বিপদ বাড়ায়।

চলমান প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ সত্ত্বেও ভারতের রাস্তাগুলো বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট শুধু রাস্তার অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে নয়। এর জন্য দায়ী মানুষের সমস্যাযুক্ত আচরণ, আইনের অপর্যাপ্ত প্রয়োগ এবং সার্বিক অব্যবস্থাপনাও। এই দুর্ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাবও ব্যাপক। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ভারতের বার্ষিক জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ ক্ষতি হয়।

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক নেটওয়ার্কের দেশ। ভারতের সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৬৬ লাখ কিলোমিটার। জাতীয় ও রাজ্য সড়কগুলো এই নেটওয়ার্কের প্রায় ৫ শতাংশ। দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। মন্ত্রী গাদকারি দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয়ের অভাবকে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার অনেক কারণ আছে, তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো মানুষের আচরণ।’ তবে তিনি অবকাঠামোগত ত্রুটির কথাও স্বীকার করেছেন।

গত মাসেই মন্ত্রী নিম্নমানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুশীলনের বিষয়টি তুলে ধরেন। সড়কের ত্রুটিপূর্ণ নকশা, নিম্নমানের নির্মাণকাজ, দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং অপর্যাপ্ত সাইন ও মার্কিংকে তিনি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধী হলেন ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।’ এমনকি রাস্তার সাইন ও মার্কিংয়ের মতো ছোট বিষয়গুলোও দেশে অত্যন্ত নিম্নমানের বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

তাঁর মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় সড়কগুলোতে ৫৯টি বড় ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৭৯৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, মাত্র ৫ হাজার ৩৬ টিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)—দিল্লির ট্রান্সপোর্টেশন রিসার্চ অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন সেন্টারের (টিআরআইপিপি) সড়ক সুরক্ষা নিরীক্ষাতেও ধারাবাহিকভাবে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছে। ক্র্যাশ ব্যারিয়ারগুলো সঠিকভাবে বসানো হয় না। এগুলো অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। রাস্তায় বেশি উঁচু মিডিয়ান (১০ সেমি-এর বেশি) টায়ার ফেটে যাওয়া বা গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে বারবার সংস্কারের ফলে রাস্তা উঁচু হয়ে গেছে। এর ফলে বিপজ্জনক ঢাল তৈরি হয়েছে যা বিশেষ করে দুই চাকার যানবাহনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

ভারতের সড়ক নকশার মান কাগজে-কলমে ভালো হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ খুবই দুর্বল। আইআইটি দিল্লির অধ্যাপক গীতম তিওয়ারি উল্লেখ করেছেন, ‘একটি প্রধান সমস্যা হলো নিরাপত্তা মান না মানলে শাস্তি খুবই সামান্য হয়।’ এ ছাড়া, ঠিকাদারদের চুক্তিতে প্রায়শই এই প্রয়োজনীয়তাগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না। পেমেন্ট সাধারণত কত কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে তার ভিত্তিতে দেওয়া হয়, নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলার ভিত্তিতে নয়।

মন্ত্রী গাদকারি ২৫ হাজার কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি দুর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করবে। তবে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর শিক্ষক কাভি ভাল্লার মতো বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সন্দিহান।

ভাল্লার যুক্তি, ‘রাস্তা চওড়া করলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে এমন কোনো কারণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘প্রমাণ আছে যে, রাস্তার মানোন্নয়ন করলে গাড়ির গতি বাড়ে, যা পথচারী, বাইসাইকেল চালক এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য মারাত্মক। তিনি আরও বলেন, নতুন রাস্তা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নকশা অনুকরণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি ভারতের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো হাইওয়ে নিরাপত্তা প্রকৌশল গবেষণা এবং দুর্ঘটনা ডেটা সিস্টেমে বিনিয়োগ করছে না।’

এই সংকট মোকাবিলায় সরকার ‘ফাইভ ই’ বা ‘৫ ই’ কৌশল বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়কের ইঞ্জিনিয়ারিং, যানবাহনের ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, আইন প্রয়োগ এবং জরুরি পরিষেবা। ইন্টারন্যাশনাল রোড ফেডারেশনের কর্মকর্তা কেকে কপিলা বলেন, ‘সঠিক সময়ে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা গেলে ৫০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব।’

কপিলা ভারত সরকারকে একটি সড়ক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করছেন। তিনি জানান, সাতটি প্রধান রাজ্যে ‘৫ ই’ কাঠামোর ভিত্তিতে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপের ফলে আগে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো এখন সেই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা একমত যে, ভারতের উন্নয়নের জন্য আরও সড়ক তৈরি করা জরুরি। তবে তারা টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন।

কাভি ভাল্লা বলেন, ‘উন্নয়নের মূল্য যেন সমাজের দরিদ্রতম অংশকে বহন করতে না হয়।’ তিনি একটি পুনরাবৃত্তিমূলক পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে নিরাপদ রাস্তা তৈরি করতে হয়, তা শেখার একমাত্র উপায় হলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে চেষ্টা করা, সেগুলো কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা। যদি ফল না পাওয়া যায় তবে সেগুলো পরিবর্তন করে আবার মূল্যায়ন করা। এটি না করা হলে মসৃণ রাস্তা, দ্রুতগামী গাড়ি এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর চক্র চলতেই থাকবে।’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসামে মধ্যরাতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ২১
শুক্রবার গভীর রাতে হাতির পালের ওপর উঠে যায় এক্সপ্রেস ট্রেন। ছবি: এক্স
শুক্রবার গভীর রাতে হাতির পালের ওপর উঠে যায় এক্সপ্রেস ট্রেন। ছবি: এক্স

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’

রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।

দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।

বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাশিয়াকে পশ্চিম সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না: পুতিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।

পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।

মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।

ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।

দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।

পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৬
২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: এপির সৌজন্যে
২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: এপির সৌজন্যে

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।

এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।

জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।

মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।

গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।

১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।

গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৬
কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর। ছবি: পিটিআই
কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর। ছবি: পিটিআই

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।

শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’

থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।

বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’

শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত