অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় খাবি খাচ্ছে ভারত। রোগীর চাপে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। শুধু অক্সিজেন সঙ্কটে মারা গেছেন বহু কোভিড রোগী। অনেক রাজ্যে এখনো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে এতিম শিশুর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।
ছয় বছর বয়সী তৃপ্তি এবং পরি (ছদ্মনাম)। জমজ এই দুই ভাই–বোনের বাব-মা দুজনই করোনায় মারা গেছেন। এখন তারা মামা রমেশ সিংয়ের (ছদ্মনাম) কাছেই থাকছে। রমেশ সিং বলেন, আমি তাদেরকে বলেই যাচ্ছি যে, বাবা-মা শিগগিরই ফিরবে। এখনই তাদের সত্যিটা জানাতে চাই না। ওরা এখনো অনেক ছোট।
এ নিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) ভারতীয় প্রধান ইয়াসমিন হক বলেন, এ শিশুরা শুধু যে একটা মানসিক ট্রমার মধ্যে জীবনযাপন করছে তা নয়, তাদের অবহেলা, অপব্যবহার এবং শোষণের ঝুঁকিও থাকছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এক শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার মায়ের লাশের পাশে ৪৮ ঘণ্টা বসে ছিল। সংক্রমণের ভয়ে কেউ শিশুটির কাছে যায়নি।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনায় মৃত্যু সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি।
সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ আকঞ্চ শ্রীবাস্তব ভারতের এতিম শিশুদের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করেছেন। তিনি বলেন, আমরা জানি না ঠিক কত মানুষ মারা গেছেন। আর কত শিশু এতিম হয়েছে।
ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এতিম শিশুদের জন্য দুধ এবং শিশুখাদ্যের জন্য সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। অনেকে অবৈধভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই শিশু দত্তক নিচ্ছেন।
শ্রীবাস্তব জানায়, তাঁর হেল্পলাইনে প্রতিদিন ৩০০টির মতো ফোন আসে। এই পরিস্থিতিতে শিশু পাচার খুবই সহজ বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে মহামারিতে এতিম শিশুদের শিক্ষার ব্যয়ভার গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের দিল্লি সরকার। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যেসব শিশু তাদের মা-বাবাকে হারিয়েছে তাদের প্রত্যেককে ২৫ বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতিমাসে ২ হাজার ৫০০ রুপি করে দেওয়া হবে।
এতিম শিশুদের দত্তক নেওয়ার বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ দত্তক নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি হোয়াটস অ্যাপে শিশু দত্তক নেওয়ার একটি বার্তা পেয়েছে। যেখানে দুই বছরের একটি কন্যাশিশু এবং দুই মাসের একটি ছেলেশিশু দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়, শিশুগুলো ব্রাহ্মণ পরিবারের। ব্রাহ্মণ হলো সবচেয়ে উঁচু বর্ণের হিন্দু।
ভারতের বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তৃপ্তি এবং পরির মামা রমেশ সিং চান কেউ তার ভাগিনা–ভাগিনীকে দত্তক নিক। তবে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি করতে চান তিনি। এ নিয়ে রমেশ সিং বলেন, তাদের বাবা–মা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমার ইচ্ছা, আমি যেন এই দুই শিশুর স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারি।
ঢাকা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় খাবি খাচ্ছে ভারত। রোগীর চাপে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। শুধু অক্সিজেন সঙ্কটে মারা গেছেন বহু কোভিড রোগী। অনেক রাজ্যে এখনো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে এতিম শিশুর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।
ছয় বছর বয়সী তৃপ্তি এবং পরি (ছদ্মনাম)। জমজ এই দুই ভাই–বোনের বাব-মা দুজনই করোনায় মারা গেছেন। এখন তারা মামা রমেশ সিংয়ের (ছদ্মনাম) কাছেই থাকছে। রমেশ সিং বলেন, আমি তাদেরকে বলেই যাচ্ছি যে, বাবা-মা শিগগিরই ফিরবে। এখনই তাদের সত্যিটা জানাতে চাই না। ওরা এখনো অনেক ছোট।
এ নিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) ভারতীয় প্রধান ইয়াসমিন হক বলেন, এ শিশুরা শুধু যে একটা মানসিক ট্রমার মধ্যে জীবনযাপন করছে তা নয়, তাদের অবহেলা, অপব্যবহার এবং শোষণের ঝুঁকিও থাকছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এক শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার মায়ের লাশের পাশে ৪৮ ঘণ্টা বসে ছিল। সংক্রমণের ভয়ে কেউ শিশুটির কাছে যায়নি।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনায় মৃত্যু সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি।
সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ আকঞ্চ শ্রীবাস্তব ভারতের এতিম শিশুদের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করেছেন। তিনি বলেন, আমরা জানি না ঠিক কত মানুষ মারা গেছেন। আর কত শিশু এতিম হয়েছে।
ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এতিম শিশুদের জন্য দুধ এবং শিশুখাদ্যের জন্য সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। অনেকে অবৈধভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই শিশু দত্তক নিচ্ছেন।
শ্রীবাস্তব জানায়, তাঁর হেল্পলাইনে প্রতিদিন ৩০০টির মতো ফোন আসে। এই পরিস্থিতিতে শিশু পাচার খুবই সহজ বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে মহামারিতে এতিম শিশুদের শিক্ষার ব্যয়ভার গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের দিল্লি সরকার। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যেসব শিশু তাদের মা-বাবাকে হারিয়েছে তাদের প্রত্যেককে ২৫ বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতিমাসে ২ হাজার ৫০০ রুপি করে দেওয়া হবে।
এতিম শিশুদের দত্তক নেওয়ার বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ দত্তক নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি হোয়াটস অ্যাপে শিশু দত্তক নেওয়ার একটি বার্তা পেয়েছে। যেখানে দুই বছরের একটি কন্যাশিশু এবং দুই মাসের একটি ছেলেশিশু দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়, শিশুগুলো ব্রাহ্মণ পরিবারের। ব্রাহ্মণ হলো সবচেয়ে উঁচু বর্ণের হিন্দু।
ভারতের বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তৃপ্তি এবং পরির মামা রমেশ সিং চান কেউ তার ভাগিনা–ভাগিনীকে দত্তক নিক। তবে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি করতে চান তিনি। এ নিয়ে রমেশ সিং বলেন, তাদের বাবা–মা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আমার ইচ্ছা, আমি যেন এই দুই শিশুর স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারি।
১৯৯৮ সালের ৩ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেওয়া প্যারিস তাঁর ভাইদের সঙ্গে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত হোম স্কুলিং করেছেন। মাইকেল তাঁর সন্তানদের ব্যক্তিগত জীবন রক্ষা করতে খুব সচেতন ছিলেন। তাই তিনি প্রায় সময়ই ক্যামেরার সামনে পড়ে গেলে সন্তানদের লুকিয়ে ফেলতেন কিংবা মুখ ঢেকে দিতেন।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসনকে বৈদেশিক সহায়তা চালু রাখার জন্য সাময়িক অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন জেলা জজ আমির আলী। এর বিপরীতে করা ট্রাম্প প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান...
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চীন। জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেকোনো ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নতুন বাণিজ্য শুল্কের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি।
৪ ঘণ্টা আগেসদ্য সমাপ্ত মহাকুম্ভের সাফল্যের গল্প শুনিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্য বিধানসভায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, একজন নৌকার মালিক ও তাঁর পরিবার মেলার ৪৫ দিনে ৩০ কোটি রুপি আয় করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই নৌকার মালিকের ১৩০টি নৌকা ছিল; যার প্রতিটি থেকে তিনি মেলার সময় গড়ে ২৩ লাখ
৫ ঘণ্টা আগে