Ajker Patrika

মণিপুরে ধর্ষণের পর নারীদের নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

অনলাইন ডেস্ক
মণিপুরে ধর্ষণের পর নারীদের নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

ভারতের মণিপুর রাজ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর দুই নারীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় ৪ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার প্রায় ৭৭ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গত ৩ মে মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী মেইতেইকে তফসিলি আদিবাসী ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষোভের সূত্র ধরে রাজ্যটিতে কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাতিগত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে মেইতেইরা। জাতিগত সংঘাত শুরুর মাত্র এক দিন পর এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

পরে গত বুধবার ঘৃণ্য এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বিষয়টি দৃষ্টি কাড়ে আন্তর্জাতিক মহলেরও। ভিডিও সামনে আসার পর সচল হয় পুলিশও। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার একদিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

থৈবাল শহরের বাসিন্দা হেইরুম হেরা দাস (৩২) বুধবার প্রথম গ্রেপ্তার হন। পরে বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় মণিপুর পুলিশ জানায়, ‘নংপোক সেকমাই থানার অধীনে অপহরণ এবং গণধর্ষণের মামলায় আরও তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব অন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’ গ্রেপ্তারকৃত বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই দুই নারী মূলত তাঁদের পরিবারের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে একদল লোক খবর পায় যে তাদের গোষ্ঠীর দুই নারী ধর্ষিত হয়েছেন এবং তাঁদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টির সত্যাসত্য যাচাই না করেই ওই দলটি পালিয়ে যাওয়া পরিবারের পিছু ধাওয়া করে। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই দলটির পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং তিনজন নারী। দুজন পুরুষের মধ্যে একজনের বয়স ৫৬ বছর, তাঁর ছেলের বয়স ১৯ বছর। তাঁর মেয়ের বয়স ২১ বছর। এ ছাড়া অন্য দুই নারীর বয়স যথাক্রমে ৪২ ও ৫২ বছর। পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, দলটি যখন বলের দিকে যাচ্ছিল তখন তাদের সঙ্গে নংপোক সেকমাই পুলিশ স্টেশনের কয়েক সদস্যের দেখা হয়। 

সেকমাই পুলিশ স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাঁচজনের ওই দলটিকে দেখতে পায় প্রায় ৮০০ থেকে হাজারজনের একদল জনতা। পরে তারা পুলিশের কাছ থেকে ওই পাঁচজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সে সময় জনতার হাত থেকে বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ১৯ বছর বয়সী ভাইকে হত্যা করা হয়।  

পুলিশ ভুক্তভোগীদের আত্মীয়দের অভিযোগের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিন নারীর মধ্য থেকে একজনকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত