ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু, যা বলল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ৩০
Thumbnail image
ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। ছবিটি আগের তোলা। ছবি: এএফপি

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভাঙচুর ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি। আজ বৃহস্পতিবার লোকসভা অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ বাংলাদেশ ইস্যুতে ভাষণ দেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল—বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির এবং দেব-দেবীর অবমাননা ও মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে কি না এবং ভারত সরকার কি এ বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে? এ ছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া কেমন এবং এমন ঘটনা বন্ধে ঢাকা কী পদক্ষেপ নিয়েছে—তা নিয়েও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ লোকসভা সদস্যদের বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির এবং দেব-দেবীর অবমাননা ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকার তাঁতিবাজারে একটি পূজামণ্ডপে হামলা, ২০২৪ সালের দুর্গাপূজার সময় সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে চুরির ঘটনাসহ এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

লোকসভা সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে কীর্তি বর্ধন সিংহ, ‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের, বিশেষত সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার মূল দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের ওপরই বর্তায়।’

এদিকে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান ঘটনাপ্রবাহ বা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) স্থানীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই ঘটনায় তিনি উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তবে বলেছেন, এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের কেন্দ্র সরকারের নীতিমালাই মেনে চলবে।

আজ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে এ বিষয়টি অন্য একটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় তিনি এ নিয়ে মন্তব্য করতে চান না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেন, এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের দেখার বিষয় এবং তাঁর রাজ্য কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। ভারতের সরকার এটি দেখবে। এটি আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আমাদের এ নিয়ে কথা বলা বা হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। যদিও আমরা মনে মনে দুঃখিত হই, তবু আমরা কেন্দ্রের নির্ধারিত নীতিগুলো অনুসরণ করব।’

বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, তিনি এ বিষয়ে ইসকনের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তিনি ইসকন নেতাদের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

এর আগে, ২৬ নভেম্বর সাবেক ইসকন নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সে সময় পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ‘অবরোধ’ করার হুমকি দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত