অনলাইন ডেস্ক
৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন বুধনি।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেহরুকে মালা পরানোর জন্য বুধনিকে যে গঞ্জনা সইতে হয়েছিল—তা অনেকের কাছেই অজানা। বহু বছর পর সেই বুধনি আবারও আলোচনায় এলেন। তবে এই আলোচনা শুরু হয়েছে গত মাসের তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
আলোচনার সূত্র ধরেই সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে আগে থেকেই দণ্ডায়মান নেহরুর একটি মূর্তির পাশে এখন বুধনির মূর্তি স্থাপনের দাবি করছেন স্থানীয় মানুষেরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বুধনির প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। বুধনির মৃত্যুর পরই উইকিপিডিয়া তাঁর নামে একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করেছে। তবে এতে বুধনির সম্পর্কে দেওয়া তথ্যের পরিমাণে খুবই কম এবং অসম্পূর্ণ।
বিবিসি জানিয়েছে, খুব বেশি তথ্য না থাকার কারণেই বুধনি সম্পর্কে জানার বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল ভারতের কেরালার লেখক সারা জোসেফের মধ্যে। তিনি বুধনির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি বইও লিখেছেন।
সারা জোসেফ জানান, ২০১৯ সালে তিনি যখন বুধনির সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ দুজনের ভাষা ছিল আলাদা। সারা বলেন, ‘তবুও আমি তাকে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি।’
ঝাড়খণ্ডে ভারতের কয়লা ক্ষেত্রগুলোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ছোট্ট শহর ধানবাদে বেড়ে উঠেছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। পাহাড়ি ওই এলাকাটির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ ছিল উপজাতীয়।
ওই অঞ্চলেই ভারতের উচ্চাভিলাষী দামোদর ভ্যালি করপোরেশন (ডিভিসি) প্রকল্পে নিযুক্ত হাজারো শ্রমিকের একজন ছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। আধুনিক ভারতের ভিত্তি স্থাপনের জন্য বাঁধ, তাপ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে এটি ছিল দেশের প্রথম ‘বহুমুখী প্রকল্প’। নেহরু এটিকে ‘মুক্ত ভারতের মহান প্রাসাদ’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
তবে প্রকল্পটি নিয়ে বিতর্কও ছিল। এটি স্থাপন করতে গিয়ে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়াদের বেশির ভাগই ছিল উপজাতি। প্রকল্পটি স্থাপনের পর বুধনির গ্রাম কাবোনা সহ আরও শতাধিক গ্রাম ডুবে গিয়েছিল।
১৯৫৯ সালে ওই প্রকল্পেরই একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরু। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে বুধনিসহ আরেকজনকে বেছে নিয়েছিল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বুধনিকেও অবাক করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর গলায় মালা পরিয়ে দিতে বলা হয় বুধনিকে। মালা পরানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেহরুও বুধনির গলায় মালাটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
সেদিন সন্ধ্যায় বুধনি যখন গ্রামে ফিরছিল—তখন তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না যে, এটাই তাঁর শেষ বারের মতো গ্রামে ফেরা। গ্রামের প্রধান তাঁকে ডেকে জানিয়ে দেন, গলায় মালা পরানোর ফলে তিনি নেহরুর বধূ হয়ে গেছেন। আর একজন বহিরাগতকে বিয়ে করে তিনি সাঁওতাল রীতিও ভঙ্গ করেছেন। ফলে প্রায়শ্চিত্ত করতে চিরজীবনের নিজের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে বুধনিকে।
শুরুতে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন বুধনি। গ্রামের প্রধানকে কিছু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। বুধনিকে দ্রুত গ্রাম ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
সেই মুহূর্তটির প্রসঙ্গে সারা জোসেফ বলেন, ‘কেউ তাকে সাহায্য করেনি। তিনি তার নিজের লোকদের কাছ থেকেই মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন।’
অসহায়ের মতো নিজের কিছু টুকিটাকি জিনিস নিয়ে গ্রাম ছেড়েছিলেন বুধনি। সে সময় বাঁধ উদ্বোধনের খবর প্রকাশ করতে গিয়ে একটি দৈনিক তাঁকে ওই বাঁধের প্রথম কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেছিল। আর লোকমুখে ‘নেহরুর উপজাতীয় স্ত্রী’ উপাধিটি তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল।
তবে এসবের কিছুই জানতে পারেননি বুধনি। তিনি তখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক কয়েক মাস বঞ্চনা এবং চরম দারিদ্র্য সহ্য করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিলেন।
১৯৬২ সালে অজানা কারণে বুধনিকে বরখাস্ত করেছিল দামোদর ভ্যালি করপোরেশন। জীবনের তাগিদে শেষ পর্যন্ত তিনি দিনমজুরি শুরু করেন।
তবে বুধনির দুঃখের জীবনে সুখের কিছুটা বার্তা নিয়ে এসেছিলেন সুধীর দত্ত নামে এক ব্যক্তি। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কোলিয়ারিতে কাজ করতেন সুধীর। দুজনে প্রেমে পড়ে বিয়ে করেন।
সারা জোসেফ জানান, বুধনি ও সুধীর দম্পতি দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করতেন। বুধনি অবশ্য চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাকরি হারানোর দুই দশকেরও বেশি সময় পর ১৯৮৫ সালে বুধনির গল্পটি নিয়ে নেহরুর নাতি এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে গিয়েছিলেন দুই সাংবাদিক। সেই সুবাদে বুধনিকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাজ করেন।
বুধনির মৃত্যুর পর তাঁর নাতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দাদির সঙ্গে যা ঘটেছিল তা ভুল ছিল। কিন্তু জীবনের শেষদিকেও তিনি এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি এবং তিনি শান্তিতে ছিলেন।’
৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন বুধনি।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেহরুকে মালা পরানোর জন্য বুধনিকে যে গঞ্জনা সইতে হয়েছিল—তা অনেকের কাছেই অজানা। বহু বছর পর সেই বুধনি আবারও আলোচনায় এলেন। তবে এই আলোচনা শুরু হয়েছে গত মাসের তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
আলোচনার সূত্র ধরেই সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে আগে থেকেই দণ্ডায়মান নেহরুর একটি মূর্তির পাশে এখন বুধনির মূর্তি স্থাপনের দাবি করছেন স্থানীয় মানুষেরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বুধনির প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। বুধনির মৃত্যুর পরই উইকিপিডিয়া তাঁর নামে একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করেছে। তবে এতে বুধনির সম্পর্কে দেওয়া তথ্যের পরিমাণে খুবই কম এবং অসম্পূর্ণ।
বিবিসি জানিয়েছে, খুব বেশি তথ্য না থাকার কারণেই বুধনি সম্পর্কে জানার বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল ভারতের কেরালার লেখক সারা জোসেফের মধ্যে। তিনি বুধনির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি বইও লিখেছেন।
সারা জোসেফ জানান, ২০১৯ সালে তিনি যখন বুধনির সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ দুজনের ভাষা ছিল আলাদা। সারা বলেন, ‘তবুও আমি তাকে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি।’
ঝাড়খণ্ডে ভারতের কয়লা ক্ষেত্রগুলোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ছোট্ট শহর ধানবাদে বেড়ে উঠেছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। পাহাড়ি ওই এলাকাটির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ ছিল উপজাতীয়।
ওই অঞ্চলেই ভারতের উচ্চাভিলাষী দামোদর ভ্যালি করপোরেশন (ডিভিসি) প্রকল্পে নিযুক্ত হাজারো শ্রমিকের একজন ছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। আধুনিক ভারতের ভিত্তি স্থাপনের জন্য বাঁধ, তাপ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে এটি ছিল দেশের প্রথম ‘বহুমুখী প্রকল্প’। নেহরু এটিকে ‘মুক্ত ভারতের মহান প্রাসাদ’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
তবে প্রকল্পটি নিয়ে বিতর্কও ছিল। এটি স্থাপন করতে গিয়ে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়াদের বেশির ভাগই ছিল উপজাতি। প্রকল্পটি স্থাপনের পর বুধনির গ্রাম কাবোনা সহ আরও শতাধিক গ্রাম ডুবে গিয়েছিল।
১৯৫৯ সালে ওই প্রকল্পেরই একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরু। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে বুধনিসহ আরেকজনকে বেছে নিয়েছিল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বুধনিকেও অবাক করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর গলায় মালা পরিয়ে দিতে বলা হয় বুধনিকে। মালা পরানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেহরুও বুধনির গলায় মালাটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
সেদিন সন্ধ্যায় বুধনি যখন গ্রামে ফিরছিল—তখন তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না যে, এটাই তাঁর শেষ বারের মতো গ্রামে ফেরা। গ্রামের প্রধান তাঁকে ডেকে জানিয়ে দেন, গলায় মালা পরানোর ফলে তিনি নেহরুর বধূ হয়ে গেছেন। আর একজন বহিরাগতকে বিয়ে করে তিনি সাঁওতাল রীতিও ভঙ্গ করেছেন। ফলে প্রায়শ্চিত্ত করতে চিরজীবনের নিজের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে বুধনিকে।
শুরুতে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন বুধনি। গ্রামের প্রধানকে কিছু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। বুধনিকে দ্রুত গ্রাম ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
সেই মুহূর্তটির প্রসঙ্গে সারা জোসেফ বলেন, ‘কেউ তাকে সাহায্য করেনি। তিনি তার নিজের লোকদের কাছ থেকেই মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন।’
অসহায়ের মতো নিজের কিছু টুকিটাকি জিনিস নিয়ে গ্রাম ছেড়েছিলেন বুধনি। সে সময় বাঁধ উদ্বোধনের খবর প্রকাশ করতে গিয়ে একটি দৈনিক তাঁকে ওই বাঁধের প্রথম কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেছিল। আর লোকমুখে ‘নেহরুর উপজাতীয় স্ত্রী’ উপাধিটি তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল।
তবে এসবের কিছুই জানতে পারেননি বুধনি। তিনি তখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক কয়েক মাস বঞ্চনা এবং চরম দারিদ্র্য সহ্য করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিলেন।
১৯৬২ সালে অজানা কারণে বুধনিকে বরখাস্ত করেছিল দামোদর ভ্যালি করপোরেশন। জীবনের তাগিদে শেষ পর্যন্ত তিনি দিনমজুরি শুরু করেন।
তবে বুধনির দুঃখের জীবনে সুখের কিছুটা বার্তা নিয়ে এসেছিলেন সুধীর দত্ত নামে এক ব্যক্তি। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কোলিয়ারিতে কাজ করতেন সুধীর। দুজনে প্রেমে পড়ে বিয়ে করেন।
সারা জোসেফ জানান, বুধনি ও সুধীর দম্পতি দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করতেন। বুধনি অবশ্য চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাকরি হারানোর দুই দশকেরও বেশি সময় পর ১৯৮৫ সালে বুধনির গল্পটি নিয়ে নেহরুর নাতি এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে গিয়েছিলেন দুই সাংবাদিক। সেই সুবাদে বুধনিকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাজ করেন।
বুধনির মৃত্যুর পর তাঁর নাতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দাদির সঙ্গে যা ঘটেছিল তা ভুল ছিল। কিন্তু জীবনের শেষদিকেও তিনি এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি এবং তিনি শান্তিতে ছিলেন।’
কংগ্রেস ভবনের সব শৌচাগার, পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ, লকার রুমগুলো নারী–পুরুষ অনুযায়ী ভাগ করা আছে। নারীদের জন্য নির্ধারিত পরিসরে শুধু নারীদের অধিকার থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন লুইজিয়ানার এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি।
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
১৩ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
১৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
১৩ ঘণ্টা আগে