অনলাইন ডেস্ক
ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভারতে সাধারণত আগস্টে তাপমাত্রা কম থাকে। তাই এ সময় ভারতে বিদ্যুতের ব্যবহার তুলনামূলক কমই থাকে। আর মে মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ, বাইরের অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ ইনডোরে বেশি এসি ব্যবহার করে। আর অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট কোনো সমস্যা না থাকায় শিল্প কারখানাগুলোও নির্বিঘ্নে চলতে থাকে।
সরকারি গ্রিড অপারেটর গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, শতাব্দীর সবচেয়ে শুষ্ক আগস্টের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৭০ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা (ইউনিট) হয়েছে।
সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, আগস্টে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে কয়লা থেকেই আসছে ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মোট উৎপাদনে জলবিদ্যুতের অনুপাত ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।
ভারতের সরকার বারবার বলে আসছে, ধনী দেশগুলোর তুলনায় এ দেশে মাথাপিছু কয়লার ব্যবহার অনেক কম। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে। এই যুক্তিতে দেশটি কয়লা ব্যবহার সমর্থন করে যাচ্ছে।
কয়লার উচ্চ চাহিদার পরও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগামী মার্চে শেষ হতে চলা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২৪ শতাংশ কমিয়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা আমদানি করেছে। সরকারের তথ্যমতে, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কয়লা খনি সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে আমদানি কমেছে।
চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক দেশ ভারত। সম্প্রতি কয়েক মাসে ভারত আমদানির পরিমাণ কম রাখায় বৈশ্বিক জ্বালানি কয়লার দাম কমেছে।
বিশ্লেষক ও শিল্পকারখানার কর্মকর্তাদের মতে, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, নবায়নযোগ্য শক্তির ধারাবাহিক সরবরাহের অভাবের কারণে কৃষকেরা সেচের কাজে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের ব্যবহার করছেন। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শীতলকারক যন্ত্রের ব্যবহারও বেড়েছে।
ভারতের সর্বোচ্চ চাহিদা অনুসারে, ৩১ আগস্টে দিনের যেকোনো সময় ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ—২৪৩ দশমিক ৯ গিগাওয়াট। যেখানে গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা ৭ দশমিক ৩ গিগাওয়াট।
চলতি বছরের আগস্টে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৭৮ কোটি ইউনিট। এ ঘাটতি ২০২২ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। তখন ভারত সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত হবে। পূর্বাভাস সত্যি হলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এই সংবাদ স্বস্তি দেবে।
গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, গত আট মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। জলবিদ্যুতের অনুপাত কমে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে।
চলতি বছর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ইউনিট হয়েছে। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি ইউনিট।
ভারত ২০২২ সাল নাগাদ ১৭৫ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস থেকে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটি তখন ২০৩০ সাল নাগাদ সৌর ও বায়ু, পারমাণবিক ও জলশক্তি এবং বায়ো পাওয়ারের মতো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে প্রতিবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩ গিগাওয়াট করে বাড়াতে হবে। যা দুই বছর ধরে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে তার প্রায় তিন গুণ।
ভারতে জলবিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভারতে সাধারণত আগস্টে তাপমাত্রা কম থাকে। তাই এ সময় ভারতে বিদ্যুতের ব্যবহার তুলনামূলক কমই থাকে। আর মে মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ, বাইরের অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ ইনডোরে বেশি এসি ব্যবহার করে। আর অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট কোনো সমস্যা না থাকায় শিল্প কারখানাগুলোও নির্বিঘ্নে চলতে থাকে।
সরকারি গ্রিড অপারেটর গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, শতাব্দীর সবচেয়ে শুষ্ক আগস্টের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৭০ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা (ইউনিট) হয়েছে।
সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, আগস্টে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে কয়লা থেকেই আসছে ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মোট উৎপাদনে জলবিদ্যুতের অনুপাত ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।
ভারতের সরকার বারবার বলে আসছে, ধনী দেশগুলোর তুলনায় এ দেশে মাথাপিছু কয়লার ব্যবহার অনেক কম। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে। এই যুক্তিতে দেশটি কয়লা ব্যবহার সমর্থন করে যাচ্ছে।
কয়লার উচ্চ চাহিদার পরও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আগামী মার্চে শেষ হতে চলা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ২৪ শতাংশ কমিয়ে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা আমদানি করেছে। সরকারের তথ্যমতে, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কয়লা খনি সংস্থা কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে আমদানি কমেছে।
চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক দেশ ভারত। সম্প্রতি কয়েক মাসে ভারত আমদানির পরিমাণ কম রাখায় বৈশ্বিক জ্বালানি কয়লার দাম কমেছে।
বিশ্লেষক ও শিল্পকারখানার কর্মকর্তাদের মতে, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, নবায়নযোগ্য শক্তির ধারাবাহিক সরবরাহের অভাবের কারণে কৃষকেরা সেচের কাজে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের ব্যবহার করছেন। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শীতলকারক যন্ত্রের ব্যবহারও বেড়েছে।
ভারতের সর্বোচ্চ চাহিদা অনুসারে, ৩১ আগস্টে দিনের যেকোনো সময় ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ—২৪৩ দশমিক ৯ গিগাওয়াট। যেখানে গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা ৭ দশমিক ৩ গিগাওয়াট।
চলতি বছরের আগস্টে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৭৮ কোটি ইউনিট। এ ঘাটতি ২০২২ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। তখন ভারত সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেপ্টেম্বরে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত হবে। পূর্বাভাস সত্যি হলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এই সংবাদ স্বস্তি দেবে।
গ্রিড ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, গত আট মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। জলবিদ্যুতের অনুপাত কমে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে।
চলতি বছর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ইউনিট হয়েছে। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত হয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি ইউনিট।
ভারত ২০২২ সাল নাগাদ ১৭৫ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস থেকে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। দেশটি তখন ২০৩০ সাল নাগাদ সৌর ও বায়ু, পারমাণবিক ও জলশক্তি এবং বায়ো পাওয়ারের মতো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে প্রতিবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩ গিগাওয়াট করে বাড়াতে হবে। যা দুই বছর ধরে অ-জীবাশ্ম উৎস থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে তার প্রায় তিন গুণ।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা দক্ষিণ এশিয়া সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এই সফরের অংশ হিসেবে তাঁরা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও সফর করতে পারেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্ভাব্য সফরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত সফরের খসড়াও তৈরি করা হচ
৫ ঘণ্টা আগেহেজ ফান্ডের ম্যানেজার স্কট বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬২ বছর বয়সী বেসেন্ট, বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘কি স্কয়ার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টে’র প্রতিষ্ঠাতা।
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ন্যাটোর প্রধান বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গতকাল শুক্রবার ফ্লোরিডার পাম বিচে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি রুটের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ।
৯ ঘণ্টা আগেআরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভার উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।
১০ ঘণ্টা আগে