Ajker Patrika

তৃণমূল মানে মন্দির-মসজিদ-গির্জা: মমতা

কলকাতা প্রতিনিধি
তৃণমূল মানে মন্দির-মসজিদ-গির্জা:  মমতা

টিএমসি (তৃণমূল কংগ্রেস) মানে টেম্পল-মস্ক-গির্জা (মন্দির-মসজিদ-গির্জা)। খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ভারতের সৈকত রাজ্য গোয়ায় গিয়ে গতকাল শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জি। গোয়ায় দলের সংগঠন বিস্তারে গিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁর দলে শামিল হয়েছেন। 
 
মমতার গোয়া সফরের আগেই সেখানকার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিও সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন। কংগ্রেস ভেঙে বহু নেতা-কর্মী তৃণমূলের জমি তৈরি করেই রেখেছিলেন। মমতা গিয়ে সেখানে ঝড় তুলতে শুরু করেন। 

গোয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাফিসা আলি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ভারতের আন্তর্জাতিক টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজও মমতার হাত থেকে তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের পতাকা। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, জনপ্রিয় সমাজসেবী মৃণালিনী দেশপ্রভুও। 

 ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী লিয়েন্ডার জানিয়েছেন, 'দিদি (মমতা) সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। দিদির হাত ধরেই উন্নয়নের জোয়ার আসবে সৈকত নগরীতে।' মমতার অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথাও উল্লেখ করেন লিয়েন্ডার। 

মমতাও লিয়েন্ডারকে ভারতের গর্ব বলে বর্ণা করে বলেন, 'গোয়াকে বাংলার মতোই উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। এখানে বিজেপির দাদাগিরি চলবে না।' 

মমতার গোয়া সফরের আগে থেকেই শাসক দল বিজেপি বিরোধিতা করছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। শুধু পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়াই নয়, মমতা পানাজি বিমানবন্দর থেকে বার হতেই তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। 

বিষয়টি নজর এড়ায়নি মমতার। তিনি বলেন, 'আমি আসার সময় আমাকে কালো পতাকা দেখিয়েছে। গো ব্যাক বলেছে। আমি সকলকে নমস্তে করেছি। গোয়ায় মানুষই এদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দেবে।' 

সামনের বছরের শুরুতেই গোয়ায় বিধানসভা ভোট। ভোটে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল শিবির। গতবার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস একক গরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়। দলভাঙিয়ে সরকার গড়ে বিজেপি। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারে বিজেপির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস খুবই দুর্বল। তবে তৃণমূলের উত্থানে সমস্ত রাজনৈতিক হিসাব উল্টে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। 

লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, কংগ্রেসের ক্ষতি করার জন্যই তৃণমূল গোয়ায় গিয়েছে। বিজেপিকে খুশি করাই তৃণমূলের আসল উদ্দেশ্য বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

বিজেপি অবশ্য তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেত্রী ডা.  অর্চনা মজুমদারের মতে, গোয়ায় কিছুই করতে পারবে না তৃণমূল। গো-হারা হারবে। বাংলার বাইরে কোথাও তৃণমূলের স্থান নেই। 

তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেন অবশ্য গোয়া নিয়ে বেশ আশাবাদী। তাঁর মতে, সেখানকার মানুষ মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতেই তৃণমূলকে ভোট দেবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত