অবৈধভাবে ওষুধ মজুত করে শাস্তির মুখে গৌতম গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২১, ২২: ৫৪

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে যখন ওষুধের তীব্র সংকট তখন নিজ নির্বাচনী এলাকার জন্য ওষুধ মজুত ও বিতরণ করেছিলেন বিজেপির সাংসদ ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কাজের কারণে শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালে দিল্লির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দিল্লি হাইকোর্টকে বলেছে, ‘গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশনের’ বিরুদ্ধে ওষুধ কেনা ও বিতরণে অনিয়ম পাওয়া গেছে। অনুমোদন ছাড়াই কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ফাবিফ্লু ওষুধ মজুত করা হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনায় পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

দিল্লির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অনুমোদন ছাড়াই বিনা মূল্যে ফাবিফ্লু এবং অক্সিজেন বিতরণ করেছে গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশন। অনুমোদন ছাড়া ওষুধ কেনা ও বিতরণ ‘ড্রাগস এবং কসমেটিকস আইন’–এর ১৮ সি ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে অধিদপ্তর। 

শুনানি শেষে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার অগ্রগতির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ওষুধ কেনা ও বিতরণ নিয়ে এখনো নিজের পক্ষে সাফাই গাইছেন গৌতম গম্ভীর। ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

আদালতের শুনানির পর এক টুইট বার্তায় ভারতের বিপ্লবী ভগৎ সিংয়ের একটি বাণী উদ্ধৃত করে গৌতম গম্ভীর লিখেছেন, ‘আমি মানুষ এবং মানবজাতির সব বিষয়ই আমাকে চিন্তিত করে–ভগৎ সিং।’

হাইকোর্টে শুনানি চলাকালে দিল্লির পুলিশ আদালতকে বলেছে, গৌতম গম্ভীর ২ হাজার ৬২৮ পাতা ফাবিফ্লু ওষুধ মজুত করেন এবং বিতরণ করেন ২ হাজার ৩৪৩ পাতা। অবশিষ্টগুলো দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য সেবার পরিচালকের কাছে বিতরণের জন্য জমা দেন।

এর আগে গত সপ্তাহে সংকটের মধ্যে গৌতম গম্ভীর কীভাবে এত বড় ওষুধের চালান পেলেন এ বিষয়ে দিল্লি ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে জানতে চায় দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্ট দিল্লি ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্দেশে বলেন, যদি নিজেদের কাজ ঠিকমতো করতে না পারেন তাহলে বলে দিন। আমরা আপনাদের বাদ দিয়ে যাঁরা এ কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন তাঁদের নিয়োগ দেই।

ওষুধ বিতরণ চালিয়ে যাবেন এমন বক্তব্যের কারণে গৌতম গম্ভীরকে তিরস্কারও করেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, এটি নিয়মিত চলতে থাকলে কীভাবে মোকাবিলা করতে সেটি আমাদের জানা আছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত