পানির জন্য অনশন করে আইসিইউতে কেজরিওয়ালের মন্ত্রী অতীশি

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পানির জন্য হাহাকার করছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ অবস্থায় বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানাকে পানি ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে গত ২১ জুন অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছিলেন দিল্লির পানিমন্ত্রী অতীশি। তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠভাজন হিসেবে পরিচিত। 

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পানি সরবরাহ নিয়ে হরিয়ানা ও দিল্লির মধ্যে একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, হরিয়ানার কাছ থেকে মুনক খালের মাধ্যমে ১০৫০ কিউসেক পানি পাওয়ার কথা দিল্লির। কিন্তু গত জুনের শুরু থেকেই পানি ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে হরিয়ানা কর্তৃপক্ষ। এ জন্য দিল্লির ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলোর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। 

মঙ্গলবার অনশনরত অবস্থায় স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে পানিমন্ত্রী অতীশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তাঁর দল আম-আদমি পার্টি (এএপি) জানিয়েছে, ৪৩ বছর বয়সী পানিমন্ত্রীর রক্তে শর্করার মাত্রা ৩৬-এ নেমে গেলে তাঁকে দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালের জরুরি আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। 

অতীশির ছবিসহ এক্স পোস্টে এএপি লিখেছে, ‘তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা মাঝরাতে ৪৩ এবং ভোর ৩টায় ৩৬-এ নেমে আসে। পরে এলএনজেপি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। গত পাঁচ দিন ধরে তিনি কিছুই খাননি।’ 

গত ২১ জুন অনশন শুরু করার সময় বিজেপি শাসিত হরিয়ানা রাজ্য প্রতিদিন ১০ কোটি গ্যালনের কম পানি ছাড়ছে বলে দাবি করেন অতীশি। তিনি অভিযোগ করেন, কম পানি ছেড়ে দিয়ে দিল্লির ২৮ লাখ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। 

সোমবার অনশনের চতুর্থ দিনে অতীশি বলেছিলেন, ‘শহরে (দিল্লি) ২৮ লাখ মানুষ আছে, যারা মাত্র এক ফোঁটা পানির জন্য যন্ত্রণা সহ্য করছে।’ 

অনশনের কারণে নিজের শরীরের রক্তচাপ, চিনির মাত্রা এবং ওজন কমে গেছে বলেও এক এক্স পোস্টে জানিয়েছিলেন অতীশি। তবে শরীর খারাপ করলেও হরিয়ানা পানি না ছাড়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। 

আম-আদমি পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনশনের চার দিন পর অতীশির শরীরের ওজন দুই কেজির বেশি হ্রাস পেয়েছিল। এক বিবৃতিতে দলটি বলেছিল—পানিমন্ত্রী অতীশির ওজন অপ্রত্যাশিতভাবে কমছে। ২১ জুন অনশনে বসার আগে তাঁর ওজন ছিল ৬৫.৮ কেজি। অনশনের চতুর্থ দিনে তা নেমে এসেছে ৬৩.৬ কেজিতে। অর্থাৎ মাত্র চার দিনে তার ওজন ২.২ কেজি কমেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত