অনলাইন ডেস্ক
ভারতের লোকসভা ভবনে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে অধিবেশনে দুই ব্যক্তির ঢুকে পড়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করায় ১৫ জন বিরোধীদলীয় সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লোকসভা ও রাজ্যসভার এসব সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুই অনুপ্রবেশকারী স্লোগান দিয়ে লোকসভার ভেতরে প্রবেশ করে রঙিন ধোঁয়া স্প্রে করে ও তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্য এখনো অস্পষ্ট। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সংসদে ভয়াবহ হামলার ২২তম বার্ষিকীতে এই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদের ঘটনা ঘটে। বেষ্টনী ভেদের পরদিন আজ বৃহস্পতিবার প্রবেশ সীমিত করার জন্য লোকসভা ভবনের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
লোকসভার বিরোধী দলের সদস্যরা এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আলোচনার দাবি তুললে ভারতের আইনসভার উভয় কক্ষ স্থগিত করা হয়। এ সময় তাঁরা ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন।
উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিরোধী দলের সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এ ঘটনায় বিবৃতি দেওয়ার দাবি তুলে স্লোগান দেন। এ ঘটনায় ডেরেকের বিরুদ্ধে ‘অবজ্ঞানমূলক আচরণের’ অভিযোগ এনে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নিম্নকক্ষ লোকসভায় কংগ্রেস এবং দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগামের মতো বিরোধী দলগুলোর ১৪ জন সদস্যকে চলতি অধিবেশনের শেষ সময় ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভি কে শ্রীকান্দন (কংগ্রেস), বেনি বেহানান (কংগ্রেস), মোহাম্মদ জাভেদ (কংগ্রেস), পি আর নটরাজন (সিপিআই-মার্ক্সবাদী), কানিমোঝি (ডিএমকে), কে সুব্বারায়ণ (সিপিআই), এস আর পার্থিবন (ডিএমকে), এস ভেঙ্কটেসন (সিপিআই-মার্ক্সবাদী) এবং মানিকম ঠাকুর (কংগ্রেস)।
অধিবেশন মুলতবি হওয়ার আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে বলেন, ‘সবাই এই ঘটনার নিন্দা করেছে। আমাদের সবাইকে (ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলের সদস্য) কোনো ব্যক্তিকে আইনসভায় প্রবেশাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিরোধী নেতারা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন সদস্য প্রতাপ সিমহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি সংসদের পাবলিক গ্যালারিতে প্রবেশের জন্য তাণ্ডবকারীদের পাসে স্বাক্ষর করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এ ঘটনায় সিমহা বা তাঁর দল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সংসদ ভবনের নিরাপত্তা পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দর্শনার্থী পাস স্থগিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁদের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি, তবে তাঁদের পরিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছে এবং সংবাদপত্র তাঁদের ছবি ও নাম প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার নিম্নকক্ষ লোকসভার অধিবেশনে এ ঘটনার সময় আইনপ্রণেতারা উপস্থিত ছিলেন। আগের দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্য নেতারা ২০০১ সালে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ওই ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছিলেন এবং পাঁচ হামলাকারীর সবাই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
লোকসভার সদস্যরা বলেছেন, দুই ব্যক্তি পাবলিক গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং রঙিন ধোঁয়ার ক্যানিস্টার স্প্রে করেন। একজনকে টেবিল থেকে টেবিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকলে আইনপ্রণেতা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁকে ধরার চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, অন্য দুজন আইনসভার বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ক্যানিস্টার থেকে রঙিন ধোঁয়া ছাড়েন। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
ভারতের লোকসভা ভবনে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে অধিবেশনে দুই ব্যক্তির ঢুকে পড়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করায় ১৫ জন বিরোধীদলীয় সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার লোকসভা ও রাজ্যসভার এসব সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার দুই অনুপ্রবেশকারী স্লোগান দিয়ে লোকসভার ভেতরে প্রবেশ করে রঙিন ধোঁয়া স্প্রে করে ও তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় অন্তত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্য এখনো অস্পষ্ট। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সংসদে ভয়াবহ হামলার ২২তম বার্ষিকীতে এই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদের ঘটনা ঘটে। বেষ্টনী ভেদের পরদিন আজ বৃহস্পতিবার প্রবেশ সীমিত করার জন্য লোকসভা ভবনের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
লোকসভার বিরোধী দলের সদস্যরা এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আলোচনার দাবি তুললে ভারতের আইনসভার উভয় কক্ষ স্থগিত করা হয়। এ সময় তাঁরা ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন।
উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিরোধী দলের সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এ ঘটনায় বিবৃতি দেওয়ার দাবি তুলে স্লোগান দেন। এ ঘটনায় ডেরেকের বিরুদ্ধে ‘অবজ্ঞানমূলক আচরণের’ অভিযোগ এনে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নিম্নকক্ষ লোকসভায় কংগ্রেস এবং দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগামের মতো বিরোধী দলগুলোর ১৪ জন সদস্যকে চলতি অধিবেশনের শেষ সময় ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভি কে শ্রীকান্দন (কংগ্রেস), বেনি বেহানান (কংগ্রেস), মোহাম্মদ জাভেদ (কংগ্রেস), পি আর নটরাজন (সিপিআই-মার্ক্সবাদী), কানিমোঝি (ডিএমকে), কে সুব্বারায়ণ (সিপিআই), এস আর পার্থিবন (ডিএমকে), এস ভেঙ্কটেসন (সিপিআই-মার্ক্সবাদী) এবং মানিকম ঠাকুর (কংগ্রেস)।
অধিবেশন মুলতবি হওয়ার আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে বলেন, ‘সবাই এই ঘটনার নিন্দা করেছে। আমাদের সবাইকে (ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলের সদস্য) কোনো ব্যক্তিকে আইনসভায় প্রবেশাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিরোধী নেতারা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন সদস্য প্রতাপ সিমহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি সংসদের পাবলিক গ্যালারিতে প্রবেশের জন্য তাণ্ডবকারীদের পাসে স্বাক্ষর করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এ ঘটনায় সিমহা বা তাঁর দল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সংসদ ভবনের নিরাপত্তা পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দর্শনার্থী পাস স্থগিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁদের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি, তবে তাঁদের পরিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছে এবং সংবাদপত্র তাঁদের ছবি ও নাম প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার নিম্নকক্ষ লোকসভার অধিবেশনে এ ঘটনার সময় আইনপ্রণেতারা উপস্থিত ছিলেন। আগের দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্য নেতারা ২০০১ সালে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ওই ঘটনায় নয়জন নিহত হয়েছিলেন এবং পাঁচ হামলাকারীর সবাই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
লোকসভার সদস্যরা বলেছেন, দুই ব্যক্তি পাবলিক গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং রঙিন ধোঁয়ার ক্যানিস্টার স্প্রে করেন। একজনকে টেবিল থেকে টেবিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকলে আইনপ্রণেতা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাঁকে ধরার চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, অন্য দুজন আইনসভার বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ক্যানিস্টার থেকে রঙিন ধোঁয়া ছাড়েন। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
৯ মিনিট আগেপূর্ব তেল আবিবের পেতাহ তিকভাহ এলাকায় একাধিক হামলায় কয়েকজন মানুষ সামান্য আহত হয়েছে। একটি বাড়ি আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। টেলিভিশন ফুটেজে একটি অ্যাপার্টমেন্টকে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলি ইহুদি ধর্মীয় নেতা জভি কোগানকে হত্যার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। তবে অভিযুক্তদের কোনো পরিচয় বা হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য এক নির্বাহী আদেশ নিয়ে দেশটির ট্রান্সজেন্ডার তথা এলজিবিটিকিউআইএ+ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এমন একটি আদেশ জারির পরিকল্পনা করছেন, যার ফলে মার্কিন সেনাবাহিনী থেক
১ ঘণ্টা আগে