অনলাইন ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মুখোমুখি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। আজ বুধবার রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২০ সালের জুনে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক একরকম তলানিতে ঠেকেছিল। তারপর এই প্রথম ভারত ও চীনের সর্বোচ্চ নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট সি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে চীন ও ভারত— উভয়েরই কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব’ আছে।
নরেন্দ্র মোদি ও সি চিনপিং শেষবার বৈঠকে বসেছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাসিলিয়াতে। সেটাও ছিল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, যার আয়োজন করেছিল ব্রাজিল। মোদি-সির সেই বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই সম্মেলনের অবকাশেই।
চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার সূচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের অংশবিশেষ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হচ্ছে পাঁচ বছর বাদে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চীন সম্পর্ক শুধু আমাদের দুই দেশের মানুষের জন্যই নয়, বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও প্রগতির জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এরপর তিনি দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও কিছু মন্তব্য করেন। নরেন্দ্র মোদি সেখানে বলেন, ‘সীমান্তে গত চার বছরে কিছু কিছু ইস্যু তৈরি হয়েছিল, সেগুলোর ব্যাপারে যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখাটা আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আর আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে পারস্পরিক আস্থা, পারস্পরিক মর্যাদা ও পারস্পরিক সংবেদনশীলতা।’
দুই পক্ষই বৈঠকে ‘খোলা মনে’ কথাবার্তা বলবে এবং সেখানে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী মোদি আশা প্রকাশ করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করতে পেরে উষ্মা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর পরে আমরা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছি। শুধু আমাদের দুই দেশের মানুষেরাই নন, আন্তর্জাতিক বিশ্বও আমাদের এই বৈঠকের দিকে সতর্ক নজর রাখছে।’
চীন ও ভারত, উভয়েই যে পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলোর অন্যতম সে কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, বিশ্বের দুটি প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং ‘গ্লোবাল সাউথের’ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে উভয় দেশই তাদের আধুনিকায়নের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্ব অতিক্রম করছে।
এই পটভূমিতে দুই দেশ যদি তাদের ‘ইতিহাসের ধারা’ ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘সঠিক দিশা’য় থাকতে পারে, তাহলে তা উভয় দেশ ও উভয় দেশের মানুষের মৌলিক স্বার্থকে সবচেয়ে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সি চিনপিং আরও বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে যাতে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ে, আমরা যাতে নিজেদের মধ্যেকার মতবিরোধ ও মতানৈক্য ঠিকমতো সামলাতে পারি এবং আমাদের পরস্পরের ‘উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা বিকাশে সহায়তা করতে পারি সেটা আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারত ও চীন উভয়ের জন্যই তাদের ‘আন্তর্জাতিক দায়িত্ব’ পালন করাটাও যে খুব জরুরি, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দেন।
তার কথায়, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর শক্তি ও ঐক্য বিকশিত করতে আমাদের একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা (মাল্টিপোলারাইজেশন) ও গণতন্ত্রের প্রসারেও অবদান রাখতে হবে।’
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, এখন দুই দেশের এই সব বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও মানুষে-মানুষে সম্পর্ক যদি ‘স্বাভাবিক’ অবস্থায় ফেরার লক্ষণ দেখা যায়, তখনই বলা যাবে নরেন্দ্র মোদি ও সি জিনপিং-এর বৈঠক সফল হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মুখোমুখি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। আজ বুধবার রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২০ সালের জুনে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক একরকম তলানিতে ঠেকেছিল। তারপর এই প্রথম ভারত ও চীনের সর্বোচ্চ নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠকে দুই দেশের সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার ওপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট সি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে চীন ও ভারত— উভয়েরই কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব’ আছে।
নরেন্দ্র মোদি ও সি চিনপিং শেষবার বৈঠকে বসেছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাসিলিয়াতে। সেটাও ছিল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, যার আয়োজন করেছিল ব্রাজিল। মোদি-সির সেই বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই সম্মেলনের অবকাশেই।
চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার সূচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্যের অংশবিশেষ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হচ্ছে পাঁচ বছর বাদে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চীন সম্পর্ক শুধু আমাদের দুই দেশের মানুষের জন্যই নয়, বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও প্রগতির জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এরপর তিনি দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও কিছু মন্তব্য করেন। নরেন্দ্র মোদি সেখানে বলেন, ‘সীমান্তে গত চার বছরে কিছু কিছু ইস্যু তৈরি হয়েছিল, সেগুলোর ব্যাপারে যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখাটা আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আর আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে পারস্পরিক আস্থা, পারস্পরিক মর্যাদা ও পারস্পরিক সংবেদনশীলতা।’
দুই পক্ষই বৈঠকে ‘খোলা মনে’ কথাবার্তা বলবে এবং সেখানে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী মোদি আশা প্রকাশ করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করতে পেরে উষ্মা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর পরে আমরা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছি। শুধু আমাদের দুই দেশের মানুষেরাই নন, আন্তর্জাতিক বিশ্বও আমাদের এই বৈঠকের দিকে সতর্ক নজর রাখছে।’
চীন ও ভারত, উভয়েই যে পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলোর অন্যতম সে কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, বিশ্বের দুটি প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং ‘গ্লোবাল সাউথের’ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে উভয় দেশই তাদের আধুনিকায়নের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্ব অতিক্রম করছে।
এই পটভূমিতে দুই দেশ যদি তাদের ‘ইতিহাসের ধারা’ ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘সঠিক দিশা’য় থাকতে পারে, তাহলে তা উভয় দেশ ও উভয় দেশের মানুষের মৌলিক স্বার্থকে সবচেয়ে ভালোভাবে রক্ষা করতে পারবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সি চিনপিং আরও বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে যাতে যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ে, আমরা যাতে নিজেদের মধ্যেকার মতবিরোধ ও মতানৈক্য ঠিকমতো সামলাতে পারি এবং আমাদের পরস্পরের ‘উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা বিকাশে সহায়তা করতে পারি সেটা আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারত ও চীন উভয়ের জন্যই তাদের ‘আন্তর্জাতিক দায়িত্ব’ পালন করাটাও যে খুব জরুরি, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দেন।
তার কথায়, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর শক্তি ও ঐক্য বিকশিত করতে আমাদের একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা (মাল্টিপোলারাইজেশন) ও গণতন্ত্রের প্রসারেও অবদান রাখতে হবে।’
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, এখন দুই দেশের এই সব বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও মানুষে-মানুষে সম্পর্ক যদি ‘স্বাভাবিক’ অবস্থায় ফেরার লক্ষণ দেখা যায়, তখনই বলা যাবে নরেন্দ্র মোদি ও সি জিনপিং-এর বৈঠক সফল হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কাতারে কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভাও চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু তবুও গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামেনি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২৩ জন। আর এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায়...
১ few সেকেন্ড আগেদীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসন অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হবে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল
১৮ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, মুক্তির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে হামাসকে জিম্মিদের নামের তালিকা সরবরাহ করতে হবে। তবে এখনো হামাস এই তালিকা প্রকাশ করেনি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তির সময়সীমা...
৮ ঘণ্টা আগেএকজন বন্দুকধারী সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বিচারক নিহত হন। এ সময় আদালতের একজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। বন্দুকধারী পালানোর সময় আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মিজান।
৮ ঘণ্টা আগে