Ajker Patrika

নারীকে হত্যার পর ৫০ খণ্ড করে জঙ্গলে ফেলে দিল কসাই লিভ-ইন পার্টনার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ২২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ৪০-৫০ খণ্ড করার অভিযোগ উঠেছে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে। নারীকে হত্যার পর তাঁর দেহের খণ্ডিত অংশগুলো জঙ্গলে ফেলে আসেন পেশায় কসাই অভিযুক্ত নরেশ ভেংরা। ভারতের ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে তামিলনাড়ুতে লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন হত্যার শিকার নারী ও অভিযুক্ত নরেশ। কিছুদিন আগে ওই নারীকে না জানিয়ে তিনি ঝাড়খণ্ডে ফিরে অন্য নারীকে বিয়ে করেন। পরে স্ত্রীকে ছাড়াই ফিরে যান।

খুন্তির পুলিশ সুপার আমন কুমার জানান, গত ৮ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারী তাঁকে নরেশের বাড়িতে নিয়ে যেতে জোর করেন । সে সময় ওই নারীকে ঝাড়খণ্ডের জারিয়াগড় থানার জরদাগ গ্রামে তাঁর বাড়ির কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যান নরেশ। সেখানে হত্যা করে লাশ ৪০-৫০ খণ্ড করে ছড়িয়ে দেন। গত ২৪ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৫ দিন পর জরদাগ গ্রামের কাছে একটি সড়কে দেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। কুকুর জঙ্গল থেকে এটা টেনে নিয়ে এসেছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অশোক সিং জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কসাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন, ওই নারীকে হত্যা করে তাঁর দেহ ৪০-৫০ খণ্ড করে বন্য প্রাণীদের খাওয়ার জন্য রেখে আসেন।

অশোক সিং আরও জানান, ওই নারী নরেশের বিয়ের কথা জানতেন না। তাই খুন্তিতে ফিরে গিয়ে তাঁকে বিয়ের করার জন্য জোর করেছিলেন। পরে তাঁরা নরেশের গ্রামের দিকে রওনা দেন। সেখানে যাওয়ার পর তাঁকে ধর্ষণের পর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর দেহ খণ্ডিত করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নিহত নারী তাঁর মাকে নরেশের বাড়ি যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগে নিহতের আধার কার্ডসহ তাঁর জিনিসপত্র শনাক্ত করেন তিনি। মায়ের অভিযোগের পর নরেশকে আটক করা হলে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত