
ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া। সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি কোনোভাবেই ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এবং ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়েই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে হিন্দু নয়, মুসলিম জনসংখ্যা কমেছে সবচেয়ে বেশি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। এই সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দাবি করা হয়, ভারতে বর্তমান বিজেপি সরকার ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে লালন করার অনুকূল পরিবেশ দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের এই প্রতিবেদন দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির উপলক্ষ তৈরি করে দিয়েছে। বিজেপির দাবি, ‘কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতিই’ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ, সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে।
বেসরকারি এই সংস্থা বলেছে, ‘... (মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের) এই পতন হিন্দু জনগোষ্ঠীর তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্ট। একই সময়সীমার মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ভারতের ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমশুমারির যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তা নতুন নয়। পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার মতে, ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫-৬ সাল থেকে ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত সার্বিক প্রজনন উর্বরতা হার সবচেয়ে বেশি কমেছে মুসলমানদের মধ্যে, প্রায় ১ শতাংশ, বিপরীতে হিন্দুদের কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ।
ভারতের এই জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি বলছে, ‘এই প্রবণতা স্পষ্ট করে যে, উর্বরতার হার বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায় একই রকম। তাই এ ধরনের ব্যাখ্যা কেবল ভুল নয়, বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীনও বটে।’
এ বিষয়ে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক পুনম মুত্রেজা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে শঙ্কা ছড়াতে গবেষণার ফলাফল নিয়ে ‘ভুল প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এই গবেষণা মূলত বিগত ৬৫ বছরে সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনমিতির পরিবর্তনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এই গবেষণাকে কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয় বা বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পুনম মুত্রেজা আরও বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং লিঙ্গ সমতা খাতে বিনিয়োগ। আমাদের বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে, নারী শিক্ষা প্রজনন হার কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তাই, ধর্ম নির্বিশেষে শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা প্রদানের ওপর হস্তক্ষেপগুলি ফোকাস করা উচিত।’

ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া। সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি কোনোভাবেই ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এবং ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়েই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে হিন্দু নয়, মুসলিম জনসংখ্যা কমেছে সবচেয়ে বেশি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। এই সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দাবি করা হয়, ভারতে বর্তমান বিজেপি সরকার ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে লালন করার অনুকূল পরিবেশ দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের এই প্রতিবেদন দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির উপলক্ষ তৈরি করে দিয়েছে। বিজেপির দাবি, ‘কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতিই’ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ, সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে।
বেসরকারি এই সংস্থা বলেছে, ‘... (মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের) এই পতন হিন্দু জনগোষ্ঠীর তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্ট। একই সময়সীমার মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ভারতের ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমশুমারির যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তা নতুন নয়। পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার মতে, ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫-৬ সাল থেকে ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত সার্বিক প্রজনন উর্বরতা হার সবচেয়ে বেশি কমেছে মুসলমানদের মধ্যে, প্রায় ১ শতাংশ, বিপরীতে হিন্দুদের কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ।
ভারতের এই জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি বলছে, ‘এই প্রবণতা স্পষ্ট করে যে, উর্বরতার হার বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায় একই রকম। তাই এ ধরনের ব্যাখ্যা কেবল ভুল নয়, বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীনও বটে।’
এ বিষয়ে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক পুনম মুত্রেজা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে শঙ্কা ছড়াতে গবেষণার ফলাফল নিয়ে ‘ভুল প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এই গবেষণা মূলত বিগত ৬৫ বছরে সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনমিতির পরিবর্তনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এই গবেষণাকে কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয় বা বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পুনম মুত্রেজা আরও বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং লিঙ্গ সমতা খাতে বিনিয়োগ। আমাদের বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে, নারী শিক্ষা প্রজনন হার কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তাই, ধর্ম নির্বিশেষে শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা প্রদানের ওপর হস্তক্ষেপগুলি ফোকাস করা উচিত।’

ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া। সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি কোনোভাবেই ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এবং ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়েই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে হিন্দু নয়, মুসলিম জনসংখ্যা কমেছে সবচেয়ে বেশি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। এই সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দাবি করা হয়, ভারতে বর্তমান বিজেপি সরকার ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে লালন করার অনুকূল পরিবেশ দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের এই প্রতিবেদন দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির উপলক্ষ তৈরি করে দিয়েছে। বিজেপির দাবি, ‘কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতিই’ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ, সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে।
বেসরকারি এই সংস্থা বলেছে, ‘... (মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের) এই পতন হিন্দু জনগোষ্ঠীর তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্ট। একই সময়সীমার মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ভারতের ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমশুমারির যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তা নতুন নয়। পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার মতে, ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫-৬ সাল থেকে ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত সার্বিক প্রজনন উর্বরতা হার সবচেয়ে বেশি কমেছে মুসলমানদের মধ্যে, প্রায় ১ শতাংশ, বিপরীতে হিন্দুদের কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ।
ভারতের এই জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি বলছে, ‘এই প্রবণতা স্পষ্ট করে যে, উর্বরতার হার বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায় একই রকম। তাই এ ধরনের ব্যাখ্যা কেবল ভুল নয়, বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীনও বটে।’
এ বিষয়ে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক পুনম মুত্রেজা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে শঙ্কা ছড়াতে গবেষণার ফলাফল নিয়ে ‘ভুল প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এই গবেষণা মূলত বিগত ৬৫ বছরে সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনমিতির পরিবর্তনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এই গবেষণাকে কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয় বা বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পুনম মুত্রেজা আরও বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং লিঙ্গ সমতা খাতে বিনিয়োগ। আমাদের বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে, নারী শিক্ষা প্রজনন হার কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তাই, ধর্ম নির্বিশেষে শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা প্রদানের ওপর হস্তক্ষেপগুলি ফোকাস করা উচিত।’

ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া। সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি কোনোভাবেই ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এবং ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়েই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। তবে সামগ্রিকভাবে হিন্দু নয়, মুসলিম জনসংখ্যা কমেছে সবচেয়ে বেশি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। এই সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দাবি করা হয়, ভারতে বর্তমান বিজেপি সরকার ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে লালন করার অনুকূল পরিবেশ দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের এই প্রতিবেদন দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির উপলক্ষ তৈরি করে দিয়েছে। বিজেপির দাবি, ‘কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতিই’ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ, সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে।
বেসরকারি এই সংস্থা বলেছে, ‘... (মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের) এই পতন হিন্দু জনগোষ্ঠীর তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্ট। একই সময়সীমার মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ভারতের ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমশুমারির যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় তার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তা নতুন নয়। পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার মতে, ভারতে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই সার্বিক প্রজনন উর্বরতার হার কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫-৬ সাল থেকে ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত সার্বিক প্রজনন উর্বরতা হার সবচেয়ে বেশি কমেছে মুসলমানদের মধ্যে, প্রায় ১ শতাংশ, বিপরীতে হিন্দুদের কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ।
ভারতের এই জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি বলছে, ‘এই প্রবণতা স্পষ্ট করে যে, উর্বরতার হার বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রায় একই রকম। তাই এ ধরনের ব্যাখ্যা কেবল ভুল নয়, বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীনও বটে।’
এ বিষয়ে পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক পুনম মুত্রেজা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে শঙ্কা ছড়াতে গবেষণার ফলাফল নিয়ে ‘ভুল প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এই গবেষণা মূলত বিগত ৬৫ বছরে সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনমিতির পরিবর্তনের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এই গবেষণাকে কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভয় বা বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পুনম মুত্রেজা আরও বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং লিঙ্গ সমতা খাতে বিনিয়োগ। আমাদের বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে, নারী শিক্ষা প্রজনন হার কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তাই, ধর্ম নির্বিশেষে শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা প্রদানের ওপর হস্তক্ষেপগুলি ফোকাস করা উচিত।’

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৪ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে
১১ মে ২০২৪
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
গতকাল রোববার এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। এর মাত্র একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশিত এক ‘ব্লকেডের’ অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় জাহাজ জব্দ করে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
আল জাজিরাকে ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জাহাজটিকে “সক্রিয়ভাবে ধাওয়া” করছে আমাদের কোস্ট গার্ড। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, জাহাজটি ভেনেজুয়েলার সেই “ডার্ক ফ্লিট”-এর অংশ, যা লাতিন আমেরিকার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তেল খাতের ওপর ওয়াশিংটনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাহাজটি ‘ভুয়া পতাকা’ ব্যবহার করছিল। একই সঙ্গে এটি একটি ‘বিচারিক জব্দাদেশ’-এর আওতাভুক্ত।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ট্যাঙ্কারটি নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত জাহাজটিতে কেউ আরোহণ করেনি। জাহাজটির গতিরোধের প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার মধ্যে সন্দেহভাজন জাহাজের খুব কাছ দিয়ে নৌযান চালানো বা ওপর দিয়ে বিমান ওড়ানোও অন্তর্ভুক্ত।
অভিযানটি কোথায় চলছে বা কোন জাহাজের পিছু নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সামুদ্রিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ভ্যানগার্ড ওই জাহাজটিকে ‘বেলা ১’ হিসেবে শনাক্ত করেছে। এটি একটি বিশাল আকারের অপরিশোধিত তেলবাহী জাহাজ, যা গত বছর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় যুক্ত করা হয়। জাহাজটির সঙ্গে ইরানের যোগসূত্র রয়েছে বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি।
ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ভেনেজুয়েলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বেলা ১ খালি ছিল।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ (PDVSA)-র অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২১ সালে ভেনেজুয়েলার তেল চীনে পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল এই জাহাজটি। একই সঙ্গে, একটি জাহাজ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি আরও জানায় যে, জাহাজটি এর আগে ইরানের অপরিশোধিত তেলও বহন করেছিল।
ভেনেজুয়েলার তেল খাতকে লক্ষ্য করে এই অভিযানটি এমন এক সময়ে পরিচালিত হচ্ছে যখন এই অঞ্চলে বৃহৎ আকারে মার্কিন সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো মাদক পাচার মোকাবিলা করা। এছাড়াও, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির নিকটবর্তী প্রশান্ত মহাসাগর এবং ক্যারিবীয় সাগরে কথিত মাদক পাচারকারী জাহাজগুলোর ওপর দুই ডজনেরও বেশি হামলা চালানো হয়েছে।
সমালোচকেরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, বিশ্বের বৃহত্তম তেল মজুত দখলের উদ্দেশ্যেই ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ জব্দের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
এ প্রসঙ্গে গতকাল হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা প্রথম দুটি তেলের ট্যাঙ্কার কালোবাজারে পরিচালিত হচ্ছিল এবং নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করছিল।
শনিবার জব্দ করা দ্বিতীয় জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী ‘সেঞ্চুরিজ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ১৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছিল। ভেনেজুয়েলার এই তেলগুলো চীনে নেওয়ার কথা ছিল।
প্রথম জব্দ জাহাজ ‘স্কিপার’ বর্তমানে টেক্সাস উপকূলে নোঙর করা আছে। জাহাজটিতে থাকা ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সেখানে খালাস করে যুক্তরাষ্ট্রে পরিশোধনের প্রস্তুতি চলছে।
এই জাহাজ জব্দের ঘটনায় ভেনেজুয়েলা সরকার অভিযোগ করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেল চুরি করছে।

পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে
১১ মে ২০২৪
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৪ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে
১১ মে ২০২৪
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৪ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া বলছে, আদমশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গত তিন দশক ধরে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ সেখানে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে
১১ মে ২০২৪
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৪ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাঙ্কার ধাওয়া করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একজন মার্কিন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই অভিযান ওয়াশিংটনের।
৬ ঘণ্টা আগে
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে