জি-২০ সম্মেলনে জৈব জ্বালানি জোট গঠনের ঘোষণা দিল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৩৮
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ০৭

ভারত আজ শনিবার নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈশ্বিক জৈব জ্বালানির (বায়োফুয়েল) জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নিল ভারত। আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ জোটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। কার্বন নির্গমনের শূন্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোটটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্জ্য থেকে প্রাপ্ত জৈব জ্বালানির ব্যবহার ত্বরান্বিত করবে। 

জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আমরা গ্লোবাল বায়োফুয়েল অ্যালায়েন্স চালু করছি। ভারত আপনাদের সবাইকে এই উদ্যোগে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।’ 

সাশ্রয়ী সৌরশক্তি সবার নাগালে আনতে ২০১৫ সালে নয়াদিল্লি এবং প্যারিস যেই আন্তর্জাতিক সৌর জোট গঠন করেছিল—এটি সেই জোটেরই প্রতিফলন। 

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি জুলাইয়ের একটি প্রতিবেদনে অনুমান করে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জ্বালানি শক্তি ব্যবহারের ফলে নির্গত কার্বনের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনতে টেকসই জৈব জ্বালানির উৎপাদন ২০৩০ সালের মধ্যে তিন গুণ করতে হবে। 

ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক এবং ভোক্তা। দেশটি অপরিশোধিত তেলে চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশ আমদানি করে। তবে ধীরে ধীরে ভারত জৈব জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। 

ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে এবং পরিবহন খাতে জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশব্যাপী ইথানল মিশ্রণ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। 

ভারতের তেলমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জুলাইয়ে বলেছিলেন, জোটটি বিশ্বব্যাপী জৈব জ্বালানি বাণিজ্যকে উৎসাহ, দৃঢ় নীতি গ্রহণ এবং বিশ্বব্যাপী জাতীয় জৈব জ্বালানি কর্মসূচির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রচার করবে। 

ভারত ফসলের খড়, গাছের বর্জ্য এবং পৌরসভার কঠিন বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনের জন্য ১২টি জৈব শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত