Ajker Patrika

‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা’, ইঙ্গিত শশী–দিগ্বিজয়ের

অনলাইন ডেস্ক
‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা’, ইঙ্গিত শশী–দিগ্বিজয়ের

জমে উঠেছে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খেলা। এরই মধ্যে ছিটকে গেছেন সবচেয়ে বেশি আলোচিত নেতা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর জায়গায় নতুন করে হাজির হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন শশী থারুর বনাম দিগ্বিজয় সিংয়ের মধ্যে। তবে এই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা বলে আখ্যা দিয়েছেন দুই নেতাই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি এই দুই নেতা সাক্ষাৎ করেছেন এবং একে অপরকে আসন্ন নির্বাচনের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন। বৈঠকের পর শশী থারুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর ও দিগ্বিজয় সিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে দুই নেতাকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। ছবিতে হাস্যোজ্জ্বল দুই নেতা যেন এটিই জানান দিতে চেষ্টা করলেন, ‘এটি (কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন) প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে যুদ্ধ নয়, দুই সহকর্মীর মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা।’

শশী তাঁর পোস্টে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে কংগ্রেসের জয় এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জোর আরোপ করেন। শশীর পোস্টে রিটুইট করে তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন দিগ্বিজয় সিং। তিনি জানান, তাঁদের দুজনেরই একই লক্ষ্য—সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি আরও জানান, তাঁর উভয়ই গান্ধীবাদ এবং নেহেরুর মতাদর্শে বিশ্বাস করেন। রিটুইটে দিগ্বিজয় সিংও শশী থারুরকে শুভ কামনা জানান।

দুই নেতা নিজেদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টিকে হালকা করতে চাইলেও সূক্ষ্ম বিভাজন তো রয়েছেই। মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং কংগ্রেসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। অপরদিকে শশী থারুর দলের ভেতরে বিরুদ্ধ মতাবলম্বী বলে খ্যাত জ্যেষ্ঠ ২৩ নেতার অলিখিত জোট জি–২৩ এর অন্যতম সদস্য। এই গ্রুপের অন্যতম লক্ষ্য দলে সংস্কার আনা। ফলে, তাঁরা যতই গান্ধী–নেহরুবাদের কথা বলেন না কেন নিজেদের মধ্যেও সূক্ষ্ম তফাৎ রয়েছে। এই তফাৎ নির্বাচনে বড় নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত