আজ হিন্দু বাঙালিদের বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ দুর্গাপূজা। একই দিনে অবাঙালিদের রয়েছে দশেরা বা রাবন বধ। উৎসবের আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। আর সেই আনন্দের মধ্যেই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও। 

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে গতকালের তুলনায় ১৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৮৭ এবং মৃত ৩৭৯। বর্তমানে ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ৬৭৮। 

মহারাষ্ট্র ও কেরালা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। দুর্গাপূজায় মাতোয়ারা পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩৯ জন। মৃতের সংখ্যা ১০। 

করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এবার ঠাকুর দেখার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কলকাতায় দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর পূজায় ভিড়ের কারণে ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বিসর্জন। তবে বিসর্জনের ক্ষেত্রে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তাছাড়া রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শোভাযাত্রা সহকারে বিসর্জনকে ঘিরে উৎসবও বন্ধ রাখা হয়েছে। 

করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও বন্ধ রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ইছামতী নদীতে উভয় দেশের প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে উৎসবের আয়োজন। 

এদিকে, বিজয়া দশমী ও দশেরা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী প্রমুখ। 

দুর্গাপূজার মধ্য দিয়েই ভারতে শুরু হলো টানা উৎসবের মৌসুম। গত বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। এরপর নভেম্বরের ৪ তারিখে কালীপূজা ও দেওয়ালি উৎসব। ১০ নভেম্বর বিহারীদের ছটপূজা। 

ফলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা সতর্ক করে চলেছেন। কিন্তু উৎসবের আমেজ উপেক্ষা করতে রাজি নন আপামর ভারতবাসী। এমনকি, উৎসবের দিনগুলোতে মাস্ক পরতেও অনেকের অনীহা। 

এবারের শারদ উৎসবে জঙ্গিহানার আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই এখনও। সতর্ক রয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।