অনলাইন ডেস্ক
চার বছর বন্ধ থাকার পর সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য ভারতকে চাপ দিচ্ছে চীন। তবে সীমান্ত বিরোধের জেরে চীনের প্রস্তাব না শোনার ভান করছে নয়াদিল্লি।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২০২০ সালের জুন মাসে হিমালয় সীমান্তে দেশ দুটির মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন ভারতীয় এবং কমপক্ষে চারজন চীনা সেন্য নিহত হন। এর পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত-চীন সীমান্তে উভয় পক্ষই হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন রেখেছে।
সংঘর্ষের পর থেকে ভারত চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য বিনিয়োগ কঠিন করে তুলেছে। শত শত জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে এবং যাত্রীবাহী বিমানের রুট বিচ্ছিন্ন করেছে। যদিও সরাসরি কার্গো ফ্লাইট এখনো এশিয়ার এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে চলমান রয়েছে।
বলা হচ্ছে, সরাসরি ফ্লাইট উভয় দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। তবে এতে চীনের লাভই বেশি হবে। কেননা, কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে পিছিয়ে রয়েছে। আর ভারতের বিমান চালনা খাতে আয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চীনের সরকার এবং বিমান সংস্থাগুলো গত বছরে বেশ কয়েকবার ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি বিমান সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে বলেছে। এই বিষয়ে সরাসরি জ্ঞাত দুজন ব্যক্তি রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন। একজন বলেছেন, চীন এটিকে ‘বড় সমস্যা’ বলে মনে করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে রয়টার্সকে বলেছে, ‘আমরা আশা করি, সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে ভারত একই তালে চীনের সঙ্গে কাজ করবে।’
তবে ভারত-চীন দ্বিপক্ষীয় উন্নয়নের সঙ্গে পরিচিত একজন সিনিয়র ভারতীয় কর্মকর্তা বেইজিংয়ের ফ্লাইট পুনরায় শুরু করার ইচ্ছা সম্পর্কে বলেছেন, সীমান্তে শান্তি না থাকলে বাকি সম্পর্ক এগিয়ে যেতে পারে না।
ভারতের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো এ নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করছে। চীনা পরিবহন সংস্থাগুলোও সরাসরি রুট পুনরায় চালু করতে চীন সরকারের সঙ্গে কথা বলছে।
তবে ভারতের বৈদেশিক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের সাড়া দেয়নি।
বেইজিং ২০২০ সাল থেকে ভারতে চীনা ব্যবসা-বাণিজ্যে একের পর এক যাচাই-বাছাই ও কড়াকড়ি আরোপের প্রতিবাদ করে আসছে। চীনা স্মার্টফোন জায়ান্ট শাওমি এই বছর ভারত সরকারকে বলেছিল, ভারতে স্থায়ীভাবে ব্যবসার জন্য ব্যবসায়ীদের ‘আস্থা তৈরিতে’ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কেননা, যন্ত্রসামগ্রী সরবরাহকারীরা সম্মতি এবং ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা বারবার উল্লেখ করে আসছে।
‘আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে’
অ্যাভিয়েশন অ্যানালাইটিকস ফার্ম সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সরাসরি ভারত-চীন ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, চায়না সাউদার্ন, চায়না ইস্টার্ন, এয়ার চায়না এবং শানডং এয়ারলাইনসের মতো বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর নির্ধারিত ফ্লাইটসহ ওই সময় মোট ৫৩৯টি ফ্লাইট চলাচল করে। ওই বছর চীনা এয়ারলাইনসগুলোর লক্ষ্য ছিল ৩৭১টি ফ্লাইট ও ভারতী এয়ারলাইনসগুলোর ১৬৮টি ফ্লাইট।
করোনা মহামারির চার মাসের মাথায় দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ভারতীয়দের প্রত্যাবাসন ফ্লাইট ব্যতীত দেশ দুটির মধ্যে পুরোদমে আর ফ্লাইট শুরু হয়নি। যদিও ভারত এক বছর পরে আন্তর্জাতিক বিমান রুটে কোভিড নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে এবং চীন ২০২৩ সালের প্রথম দিকে করোনাসংক্রান্ত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ভারতীয় ভ্রমণকারীদের এখন হংকংয়ে নেমে বিমান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। অথবা দুবাই বা সিঙ্গাপুরের মতো হাবগুলোতে একটি পৃথক এয়ারলাইনসে উঠতে হচ্ছে। এতে ছয় ঘণ্টার কম সময়ের ভারত-চীন যাত্রা ১০ ঘণ্টার ওপরে উঠেছে। আর এখান থেকে লাভবান হচ্ছে এমিরেটস, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস এবং ক্যাথে প্যাসিফিকের মতো বিমান পরিবহনগুলো।
খরচ বৃদ্ধি এবং ভিসা জটিলতার কারণে চীনের এয়ারলাইনস খাত দিন দিন আরও পিছিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বর্তমানে ইন্ডিগো সপ্তাহে সাতবার দিল্লি-হংকং রুটে চলাচল করছে। সম্প্রতি দুবাইয়ে একটি সাক্ষাৎকারে ইন্ডিগোর এলবার্স বলেছেন, ‘যখন সঠিক সময় হবে এবং দুই দেশের সরকার পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আসবে, তখন আমরা বাজার মূল্যায়ন করব।’
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন বলেছেন, ‘সরাসরি ভারত-চীন ফ্লাইট চালু একটি বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার সৃষ্টি করবে। তবে আপাতত এটি আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।’
চার বছর বন্ধ থাকার পর সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য ভারতকে চাপ দিচ্ছে চীন। তবে সীমান্ত বিরোধের জেরে চীনের প্রস্তাব না শোনার ভান করছে নয়াদিল্লি।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২০২০ সালের জুন মাসে হিমালয় সীমান্তে দেশ দুটির মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন ভারতীয় এবং কমপক্ষে চারজন চীনা সেন্য নিহত হন। এর পর থেকে ভারত-চীন সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত-চীন সীমান্তে উভয় পক্ষই হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন রেখেছে।
সংঘর্ষের পর থেকে ভারত চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য বিনিয়োগ কঠিন করে তুলেছে। শত শত জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে এবং যাত্রীবাহী বিমানের রুট বিচ্ছিন্ন করেছে। যদিও সরাসরি কার্গো ফ্লাইট এখনো এশিয়ার এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে চলমান রয়েছে।
বলা হচ্ছে, সরাসরি ফ্লাইট উভয় দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। তবে এতে চীনের লাভই বেশি হবে। কেননা, কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে পিছিয়ে রয়েছে। আর ভারতের বিমান চালনা খাতে আয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চীনের সরকার এবং বিমান সংস্থাগুলো গত বছরে বেশ কয়েকবার ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি বিমান সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে বলেছে। এই বিষয়ে সরাসরি জ্ঞাত দুজন ব্যক্তি রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন। একজন বলেছেন, চীন এটিকে ‘বড় সমস্যা’ বলে মনে করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে রয়টার্সকে বলেছে, ‘আমরা আশা করি, সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে ভারত একই তালে চীনের সঙ্গে কাজ করবে।’
তবে ভারত-চীন দ্বিপক্ষীয় উন্নয়নের সঙ্গে পরিচিত একজন সিনিয়র ভারতীয় কর্মকর্তা বেইজিংয়ের ফ্লাইট পুনরায় শুরু করার ইচ্ছা সম্পর্কে বলেছেন, সীমান্তে শান্তি না থাকলে বাকি সম্পর্ক এগিয়ে যেতে পারে না।
ভারতের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো এ নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করছে। চীনা পরিবহন সংস্থাগুলোও সরাসরি রুট পুনরায় চালু করতে চীন সরকারের সঙ্গে কথা বলছে।
তবে ভারতের বৈদেশিক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের সাড়া দেয়নি।
বেইজিং ২০২০ সাল থেকে ভারতে চীনা ব্যবসা-বাণিজ্যে একের পর এক যাচাই-বাছাই ও কড়াকড়ি আরোপের প্রতিবাদ করে আসছে। চীনা স্মার্টফোন জায়ান্ট শাওমি এই বছর ভারত সরকারকে বলেছিল, ভারতে স্থায়ীভাবে ব্যবসার জন্য ব্যবসায়ীদের ‘আস্থা তৈরিতে’ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কেননা, যন্ত্রসামগ্রী সরবরাহকারীরা সম্মতি এবং ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা বারবার উল্লেখ করে আসছে।
‘আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে’
অ্যাভিয়েশন অ্যানালাইটিকস ফার্ম সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সরাসরি ভারত-চীন ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, চায়না সাউদার্ন, চায়না ইস্টার্ন, এয়ার চায়না এবং শানডং এয়ারলাইনসের মতো বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর নির্ধারিত ফ্লাইটসহ ওই সময় মোট ৫৩৯টি ফ্লাইট চলাচল করে। ওই বছর চীনা এয়ারলাইনসগুলোর লক্ষ্য ছিল ৩৭১টি ফ্লাইট ও ভারতী এয়ারলাইনসগুলোর ১৬৮টি ফ্লাইট।
করোনা মহামারির চার মাসের মাথায় দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ভারতীয়দের প্রত্যাবাসন ফ্লাইট ব্যতীত দেশ দুটির মধ্যে পুরোদমে আর ফ্লাইট শুরু হয়নি। যদিও ভারত এক বছর পরে আন্তর্জাতিক বিমান রুটে কোভিড নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে এবং চীন ২০২৩ সালের প্রথম দিকে করোনাসংক্রান্ত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ভারতীয় ভ্রমণকারীদের এখন হংকংয়ে নেমে বিমান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। অথবা দুবাই বা সিঙ্গাপুরের মতো হাবগুলোতে একটি পৃথক এয়ারলাইনসে উঠতে হচ্ছে। এতে ছয় ঘণ্টার কম সময়ের ভারত-চীন যাত্রা ১০ ঘণ্টার ওপরে উঠেছে। আর এখান থেকে লাভবান হচ্ছে এমিরেটস, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস এবং ক্যাথে প্যাসিফিকের মতো বিমান পরিবহনগুলো।
খরচ বৃদ্ধি এবং ভিসা জটিলতার কারণে চীনের এয়ারলাইনস খাত দিন দিন আরও পিছিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বর্তমানে ইন্ডিগো সপ্তাহে সাতবার দিল্লি-হংকং রুটে চলাচল করছে। সম্প্রতি দুবাইয়ে একটি সাক্ষাৎকারে ইন্ডিগোর এলবার্স বলেছেন, ‘যখন সঠিক সময় হবে এবং দুই দেশের সরকার পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আসবে, তখন আমরা বাজার মূল্যায়ন করব।’
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন বলেছেন, ‘সরাসরি ভারত-চীন ফ্লাইট চালু একটি বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার সৃষ্টি করবে। তবে আপাতত এটি আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা আইসিসির ইতিহাসে একটি বিরল পদক্ষেপ।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সামরিক ঘাঁটির ওপর রহস্যজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। কিছু কিছু মহল এমনটাও বলছেন, অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) বহির্জাগতিক বা এলিয়েন টাইপ কিছু হতে পারে। এই ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এমন
৫ ঘণ্টা আগেএকজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন ডিডি বোসওয়েল নামে এক মার্কিন নারী। সম্প্রতি তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে