বিধানসভা ভোট নিয়ে চিন্তিত বিজেপি

কলকাতা প্রতিনিধি
Thumbnail image

কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পরেও কৃষক আন্দোলন থামছে না। ভারতের ৫ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপির চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এই কৃষক আন্দোলন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কংগ্রেসশাসিত পাঞ্জাবে বিজেপি এবারও লড়াইয়ের ময়দানে নেই। উত্তরাখণ্ডেও কৃষক বিদ্রোহের কারণে ক্ষমতা হারাতে পারে মোদীর দল। দুই ছোট রাজ্য মণিপুর ও গোয়াতে কী হবে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। 

সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে নিয়েও চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে বিজেপির। কারণ ভারতীয় কিষান সংস্থার নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, ভোটের ময়দান বিজেপির হিন্দু-মুসলিম খেলার মাঠ নয়। জাত-পাতের বদলে উন্নয়নের নিরিখেই ভোটদানের ডাক দেন তিনি। সেই সঙ্গে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যুতে বিজেপি সরকারের নীরবতা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। 

ভারতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই কৃষি আইন সংশোধনের নামে তিনটি নতুন আইন পাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয় কৃষক আন্দোলন। টানা এক বছর আন্দোলন চলার পর সরকার বাধ্য হয় আইন প্রত্যাহার করতে। কিন্তু আইন প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইলেও বহু আন্দোলনরত কৃষকের মৃত্যু নিয়ে নীরব সরকার। আর তাই ক্ষোভ কমেনি কৃষক নেতাদের। 

উত্তর প্রদেশে ভোট শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি। ২০১৩-র দাঙ্গায় বিধ্বস্ত মজফ্ফরপুরেই প্রথম দফায় ভোট হবে। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, মানুষই সাম্প্রদায়িক উসকানিকে প্রতিহত করবেন। 

এদিকে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অনুমান, কৃষক বিদ্রোহের জেরে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপির ফল এবার খারাপ হবে। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষ ক্ষেপে আছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। কৃষি প্রধান পাঞ্জাবে বিজেপির এবারও তেমন কোনো অস্তিত্বই নেই। গতবার ১১৭ কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল মাত্র ৩টি কেন্দ্রে। এবারও ভালো কিছু বলছে না বিভিন্ন জরিপ। বরং উত্তরাখন্ড চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে। একই চিত্র মণিপুর ও গোয়াতেও। কারণ দুই রাজ্যেই হিন্দুরা সংখ্যালঘু। ধর্মীয় বিভাজন বা কৃষক বিদ্রোহ বুমেরাং হতে পারে বিজেপির জন্য। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত